প্রথম পাতা
করোনা আতঙ্কে ঢাকা ছাড়ছেন বিদেশিরা
কূটনৈতিক রিপোর্টার
২৭ মার্চ ২০২০, শুক্রবার, ৭:৫১ পূর্বাহ্ন
করোনা ভাইরাস কভিড-১৯ এর ভয়াবহতার আশঙ্কায় দলে দলে ঢাকা ছাড়ছেন বিদেশিরা। উদ্বিগ্ন কূটনীতিকরাও তাদের পরিবার-পরিজনকে নিজ নিজ দেশে ফেরত যাচ্ছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সিভিল এভিয়েশন এবং বিদেশি মিশন সূত্র জানিয়ে ভুটানের দ্রুক এয়ারের দুটি স্পেশাল ফ্লাইট ভোররাতে ঢাকায় এসে ১২৬ জন ভুটানিজ নাগরিককে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে। ফেরত যাওয়া ওই দলে সাধারণ ভুটানিজ ছাড়াও ব্যবসায়ী, পেশাজীবী এবং দূতাবাসে কর্মরত কূটনীতিক ও স্টাফদের পরিবারের সদস্যরা ছিলেন।
ভুটান দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এখনো দূতাবাসের কোনো কর্মী ফিরেননি। তবে তারাও উদ্বিগ্ন, এখানে ভাইরাসটির আক্রমণ কতটা ভয়ঙ্কর হয় সেই শঙ্কায়। দূতাবাসের সবাই সুস্থ এবং নিরাপদে আছেন বলে সরকারকে জানিয়েছে ভুটান মিশন। সেগুনবাগিচার একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে দ্রুক এয়ারের ওই বিশেষ ফ্লাইটে থিম্পু যাওয়া যাত্রীদের মধ্যে ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহীদুল করিমের দুই ছেলেও রয়েছেন। এদিকে সরকারি সূত্র জানিয়েছে, গতরাতে মালয়েশিয়ান একটি স্পেশাল ফ্লাইটে দেশটির ২৩০ জন নাগরিককে ঢাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ওই দলে দূতাবাসের কর্মরত কূটনীতিক ও কর্মচারীদের পরিবারও ছিল। মালয়েশিয়া মিশনও দাবি করেছে তাদের মধ্যে করোনা নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা থাকলেও কোনো কূটনীতিক এখনো বাংলাদেশ ছেড়ে যাননি। তারা ঢাকাতেই আছেন এবং এখনো সুস্থতার সঙ্গে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে যতটা সম্ভব কাজ করছেন।
এদিকে শ্রীলঙ্কার প্রায় ৪৫০ জন নাগরিক আগামী দু’একদিনের মধ্যে ঢাকা ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। সূত্র মতে, স্পেশাল ফ্লাইটে লঙ্কান নাগরিকদের ফেরানোর বিষয়ে কূটনৈতিক চ্যানেলে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। তবে এখনো তাদের ফ্লাইট চূড়ান্ত হয়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঢাকায় অবস্থানরত ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের একটি অংশও ঢাকা ছাড়তে চান। এ নিয়ে ঢাকায় ইইউ দেশের কূটনীতিকরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দু’দফা কথা বলেছেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইউরোপের কূটনীতিকদের বলা হয়েছে, যেকোনো দেশ চাইলে ভাড়া করা উড়োজাহাজে তাদের নাগরিকদের ঢাকা থেকে দেশে নিয়ে যেতে পারে। তবে যে উড়োজাহাজ ঢাকায় আসবে সেটিকে যাত্রীশূন্য আসতে হবে। এ জন্য সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে। বাংলাদেশ বিমানের সব ফ্লাইট বন্ধ থাকায় আগ্রহীরা চাইলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজও ভাড়া করে নিয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে পারেন।
জানা গেছে, এ মুহূর্তে ইইউ জোটের ২৭ রাষ্ট্রের প্রায় ৬০০ নাগরিক বাংলাদেশে কাজ করছেন। একক রাষ্ট্র হিসেবে জার্মানির নাগরিকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। শতাধিক জার্মান নাগরিক ঢাকা ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। ওদিকে আমেরিকানদের ফেরাতে স্পেশাল ফ্লাইট আনতে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস। এ নিয়ে রাষ্ট্র্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সরকারের তরফে মার্কিন চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনায় সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
ভুটান দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এখনো দূতাবাসের কোনো কর্মী ফিরেননি। তবে তারাও উদ্বিগ্ন, এখানে ভাইরাসটির আক্রমণ কতটা ভয়ঙ্কর হয় সেই শঙ্কায়। দূতাবাসের সবাই সুস্থ এবং নিরাপদে আছেন বলে সরকারকে জানিয়েছে ভুটান মিশন। সেগুনবাগিচার একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে দ্রুক এয়ারের ওই বিশেষ ফ্লাইটে থিম্পু যাওয়া যাত্রীদের মধ্যে ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহীদুল করিমের দুই ছেলেও রয়েছেন। এদিকে সরকারি সূত্র জানিয়েছে, গতরাতে মালয়েশিয়ান একটি স্পেশাল ফ্লাইটে দেশটির ২৩০ জন নাগরিককে ঢাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ওই দলে দূতাবাসের কর্মরত কূটনীতিক ও কর্মচারীদের পরিবারও ছিল। মালয়েশিয়া মিশনও দাবি করেছে তাদের মধ্যে করোনা নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা থাকলেও কোনো কূটনীতিক এখনো বাংলাদেশ ছেড়ে যাননি। তারা ঢাকাতেই আছেন এবং এখনো সুস্থতার সঙ্গে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে যতটা সম্ভব কাজ করছেন।
এদিকে শ্রীলঙ্কার প্রায় ৪৫০ জন নাগরিক আগামী দু’একদিনের মধ্যে ঢাকা ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। সূত্র মতে, স্পেশাল ফ্লাইটে লঙ্কান নাগরিকদের ফেরানোর বিষয়ে কূটনৈতিক চ্যানেলে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। তবে এখনো তাদের ফ্লাইট চূড়ান্ত হয়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঢাকায় অবস্থানরত ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের একটি অংশও ঢাকা ছাড়তে চান। এ নিয়ে ঢাকায় ইইউ দেশের কূটনীতিকরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দু’দফা কথা বলেছেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইউরোপের কূটনীতিকদের বলা হয়েছে, যেকোনো দেশ চাইলে ভাড়া করা উড়োজাহাজে তাদের নাগরিকদের ঢাকা থেকে দেশে নিয়ে যেতে পারে। তবে যে উড়োজাহাজ ঢাকায় আসবে সেটিকে যাত্রীশূন্য আসতে হবে। এ জন্য সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে। বাংলাদেশ বিমানের সব ফ্লাইট বন্ধ থাকায় আগ্রহীরা চাইলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজও ভাড়া করে নিয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে পারেন।
জানা গেছে, এ মুহূর্তে ইইউ জোটের ২৭ রাষ্ট্রের প্রায় ৬০০ নাগরিক বাংলাদেশে কাজ করছেন। একক রাষ্ট্র হিসেবে জার্মানির নাগরিকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। শতাধিক জার্মান নাগরিক ঢাকা ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। ওদিকে আমেরিকানদের ফেরাতে স্পেশাল ফ্লাইট আনতে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস। এ নিয়ে রাষ্ট্র্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সরকারের তরফে মার্কিন চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনায় সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।