শেষের পাতা
আতঙ্কের জনপদ নিউ ইয়র্ক
আরো চার বাংলাদেশির মৃত্যু
বিশেষ সংবাদদাতা, নিউ ইয়র্ক থেকে
২৬ মার্চ ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৮:১০ পূর্বাহ্ন
আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে নিউ ইয়র্ক। গত চারদিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও নিহতের সংখ্যা যেভাবে লাফিয়ে বেড়েছে দুনিয়ার রাজধানীখ্যাত এই নগরীতে তাতে আতঙ্কিত না হয়ে উপায় কী? ইতিমধ্যেই হোয়াইট হাউসের করোনা টাস্কফোর্সের ব্রিফিংয়ে স্বয়ং ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, নিউ ইয়র্ক এখন করোনা সংক্রমণের হটস্পট। সেখানে প্রতি ১ হাজার মানুষের মধ্যে একজন করোনায় আক্রান্ত। এটা সত্যিই ভয়াবহ। ওই ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, নিউ ইয়র্ক থেকে কোনো ব্যক্তি অন্য যে কোনো অঙ্গরাজ্যে গেলে তার ১৫ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
এদিকে গত মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে আরো ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। এর আগে মারা গিয়েছিলেন আরো চারজন। সবমিলিয়ে প্রাণঘাতী এই রোগ নিউ ইয়র্কে কেড়ে নিলো ৮ বাংলাদেশির প্রাণ। মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত নিউ ইয়র্ক রাজ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ছিল ২৭১ জন এবং আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ হাজার ৩৪৮। সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে মঙ্গলবার মধ্যরাত অবধি মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৫ হাজার এবং মৃত্যু ৮শ’ ছুঁই ছুঁই। এদিকে করোনা ভাইরাসের দ্রুত বিস্তারের প্রেক্ষিতে নিউ ইয়র্কসহ আশপাশের কয়েকটি রাজ্যে চতুর্থ দিনের মতো লকডাউন চলছে। অতিজরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। রাজ্য সরকার ও নিউ ইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষের অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার দ্রুত অবনতিশীল পরিস্থিতিতে নিউ ইয়র্কের হাসপাতালগুলোর জন্য গতকাল জরুরী ভিত্তিতে ৪শ’ ভেনটিলেশন ইউনিট পাঠিয়েছে। তবে রাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো ও নিই ইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্লাজিও ফেডারেল সরকারের পাঠানো চিকিৎসা সরঞ্জামকে যৎসামান্য বলে অভিহিত করেছেন। তাঁরা ক্রমবর্ধমান উচ্চ চাহিদার প্রেক্ষিতে নিউ ইয়র্কের জন্য আরো বেশি পরিমাণে চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রেরণের জন্য ফেডারেল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অসহায় ভঙ্গিতে বলেছেন, নিউ ইয়র্কে করোনা সংক্রমণ বুলেটের গতিতে বাড়ছে।
নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে যে চার জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে কুইন্স কাউন্টির এলমহার্স্ট হসপিটালে নূরজাহান বেগম (৭০), আবদুল বাতেন (৬০) এবং ৪২ বছর বয়সী অপর এক নারী, যার নাম জানা যায়নি। তবে তিনি কুইন্সের এস্টোরিয়ায় বসবাস করতেন এবং তাঁর দেশের বাড়ি মৌলভীবাজার বলে জানা গেছে। এছাড়া নর্থওয়েলের প্লেইনভিউ হসপিটালে মারা গেছেন এটিএম সালাম (৫৯) নামের এক ব্যক্তি, যিনি নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডে ওয়েস্ট বে তে বসবাস করতেন। মৃত নূরজাহানের দেশের বাড়ি ঢাকার মোহাম্মদপুরে। নিউ ইয়র্কে তিনি বসবাস করতেন এলমহার্স্ট হসপিটালের অদূরেই। মৃত আবদুল বাতেনের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায়। নিউ ইয়র্কে তিনি বাস করতেন ব্রুকলিনে। এর আগের দিন সোমবার নিউ ইয়র্কে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন বাংলাদেশি তরুণী আমিনা ইন্দ্রালিব তৃষা। তিনি তিন সন্তানের জননী ছিলেন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত শনিবার নিউ ইয়র্কে প্রথম যে দু’জন বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেন তারা হলেন- মোতাহের হোসেন ও মোহাম্মদ আলী। মাত্র চারদিনের মধ্যেই ৮ বাংলাদেশির মৃত্যুতে নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে যেমন শোকের ছায়া নেমে এসেছে তেমনি গোটা কমিউনিটি জুড়ে বিরাজ করছে আতঙ্ক।
এদিকে গত মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে আরো ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। এর আগে মারা গিয়েছিলেন আরো চারজন। সবমিলিয়ে প্রাণঘাতী এই রোগ নিউ ইয়র্কে কেড়ে নিলো ৮ বাংলাদেশির প্রাণ। মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত নিউ ইয়র্ক রাজ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ছিল ২৭১ জন এবং আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ হাজার ৩৪৮। সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে মঙ্গলবার মধ্যরাত অবধি মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৫ হাজার এবং মৃত্যু ৮শ’ ছুঁই ছুঁই। এদিকে করোনা ভাইরাসের দ্রুত বিস্তারের প্রেক্ষিতে নিউ ইয়র্কসহ আশপাশের কয়েকটি রাজ্যে চতুর্থ দিনের মতো লকডাউন চলছে। অতিজরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। রাজ্য সরকার ও নিউ ইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষের অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার দ্রুত অবনতিশীল পরিস্থিতিতে নিউ ইয়র্কের হাসপাতালগুলোর জন্য গতকাল জরুরী ভিত্তিতে ৪শ’ ভেনটিলেশন ইউনিট পাঠিয়েছে। তবে রাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো ও নিই ইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্লাজিও ফেডারেল সরকারের পাঠানো চিকিৎসা সরঞ্জামকে যৎসামান্য বলে অভিহিত করেছেন। তাঁরা ক্রমবর্ধমান উচ্চ চাহিদার প্রেক্ষিতে নিউ ইয়র্কের জন্য আরো বেশি পরিমাণে চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রেরণের জন্য ফেডারেল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অসহায় ভঙ্গিতে বলেছেন, নিউ ইয়র্কে করোনা সংক্রমণ বুলেটের গতিতে বাড়ছে।
নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে যে চার জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে কুইন্স কাউন্টির এলমহার্স্ট হসপিটালে নূরজাহান বেগম (৭০), আবদুল বাতেন (৬০) এবং ৪২ বছর বয়সী অপর এক নারী, যার নাম জানা যায়নি। তবে তিনি কুইন্সের এস্টোরিয়ায় বসবাস করতেন এবং তাঁর দেশের বাড়ি মৌলভীবাজার বলে জানা গেছে। এছাড়া নর্থওয়েলের প্লেইনভিউ হসপিটালে মারা গেছেন এটিএম সালাম (৫৯) নামের এক ব্যক্তি, যিনি নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডে ওয়েস্ট বে তে বসবাস করতেন। মৃত নূরজাহানের দেশের বাড়ি ঢাকার মোহাম্মদপুরে। নিউ ইয়র্কে তিনি বসবাস করতেন এলমহার্স্ট হসপিটালের অদূরেই। মৃত আবদুল বাতেনের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায়। নিউ ইয়র্কে তিনি বাস করতেন ব্রুকলিনে। এর আগের দিন সোমবার নিউ ইয়র্কে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন বাংলাদেশি তরুণী আমিনা ইন্দ্রালিব তৃষা। তিনি তিন সন্তানের জননী ছিলেন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত শনিবার নিউ ইয়র্কে প্রথম যে দু’জন বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেন তারা হলেন- মোতাহের হোসেন ও মোহাম্মদ আলী। মাত্র চারদিনের মধ্যেই ৮ বাংলাদেশির মৃত্যুতে নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে যেমন শোকের ছায়া নেমে এসেছে তেমনি গোটা কমিউনিটি জুড়ে বিরাজ করছে আতঙ্ক।