প্রথম পাতা
স্পেশাল ফ্লাইট চায় যুক্তরাষ্ট্র, থাই এয়ার বন্ধের সিদ্ধান্তে বিকল্প ভাবছে ইইউ
মিজানুর রহমান
২৫ মার্চ ২০২০, বুধবার, ৯:০৭ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি বিশেষত ঢাকায় থাকা বিদেশি কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। যদিও সরকারের তরফে কূটনীতিকদের অভয় দেয়া হয়েছে। দফায় দফায় ব্রিফিং হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্পেশাল ফ্লাইটে ঢাকায় থাকা আমেরিকানদের ফেরানোর চিন্তা করছে মার্কিন দূতাবাস। মঙ্গলবার এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার এমনটাই জানিয়েছেন।
মার্কিন দূত আমেরিকান চার্টার্ড ফ্লাইট ঢাকায় নামানো এবং তাতে নাগরিকদের ফেরার কারিগরি সহায়তা নিশ্চিতেও সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে কবে নাগাদ ওই ফ্লাইট আসবে এবং তাতে কতজন আমেরিকান ফিরবেন তা তিনি খোলাসা করেননি। এদিকে সেগুনবাগিচার বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিঙ্ক জানিয়েছেন, ইউরোপের ৯ জন নাগরিক তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরতে থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে বুকিং দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ থাই এয়ার জানিয়ে দিয়েছে করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের ভয়াবহতার আশঙ্কায় তারা তাদের সমুদয় ফ্লাইট বন্ধ করতে যাচ্ছে। তাদের বুকিংও বাতিল হয়ে গেছে। ফলে ওই ইউরোপীয়ানদের গন্তব্যে ফেরাতে দূতাবাসগুলোকে বিকল্প খুঁজতে হচ্ছে। করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে বিদেশি কূটনীতিক, পরিবার ও তাদের নাগরিকদের সুরক্ষা বিষয়ে আলোচনায় ঢাকাস্থ প্রভাবশালী ৬ জন রাষ্ট্রদূত একসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠক করতে যান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ২৭ রাষ্ট্রের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্টদূতদ্বয় ছাড়াও বৈঠকে অংশ নেন বৃটেন, জাপান, ইতালি ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূত। করোনা সেলের প্রধান অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ডা. খলিলুর রহমান সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়। মন্ত্রী-সচিবের দপ্তর সংলগ্ন সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ, পশ্চিম ইউরোপ ও ইইউ, কনস্যুলার ও কল্যাণ, অফ্রিকাসহ সংশ্লিষ্ট ৫ মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক সূত্র জানিয়েছে- কূটনীতিকদের বলা হয়েছে- বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টিকারী মহামারী করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধে গোটা দেশকে কার্যত লকডাউন করা হয়েছে। নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকার নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। বিদেশি কূটনীতিকদের বিষয়ে সরকারের বিশেষ নজর অর্থাত অগ্রাধিকার রয়েছে। কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কেউ করোনা আক্রান্ত হলে রাজধানীর ৩টি নির্দিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আইসিইউ ফ্যাসিলিটিজ সমৃদ্ধ একটি ফ্লোরই প্রস্তুত করা হচ্ছে। তাছাড়া বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে ৮টি বেড প্রস্তুত থাকবে। উত্তরার একটি হাসপাতালেও কূটনীতিকদের চিকিৎসার কথাবার্তা হচ্ছে।
মঙ্গলবারের বৈঠকে কূটনীতিকদের সুবিধাদির বিস্তারিত ব্রিফ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের জানানো হয়েছে, ঢাকায় থাকা বিদেশি নাগরিকরা বাংলাদেশিদের মতই যখন যেখানে সম্ভব সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। বাংলাদেশ তার সাধ্য মত বিদেশিদের বিষয়গুলো দেখভাল করবে। উন্নত চিকিৎসা বা সুরক্ষার জন্য বিদেশিরা তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরতে বিশেষ বিমান কিংবা এখনও খোলা রয়েছে এমন ৪ রুট ব্যবহার করতে পারেন।
উল্লেখ্য, গত রোববার ঢাকাস্থ ইউরোপীয় কূটনীতিকদের উদ্বেগের প্রেক্ষিকে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ইউরোপীয় দূতকে পরিস্থিতির বিস্তারিত জানিয়ে তাদের অভয় দেয়ার চেষ্টা করেন। সরকারের দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র সচিব জানান- করোনা ভাইরাস প্রতিরোধকল্পে নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার জরুরি পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে কূটনৈতিক জোনখ্যাত গুলশান-বনানী ও বারিধারা এলাকায় করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কূটনৈতিক মিশন এবং কূটনীতিকদের বাসভবন এলাকায় বাইরের লোকজনের অবাধ যাতায়াতে বিধি-নিষেধ আরোপসহ সতর্কতামূলক বাড়তি ব্যবস্থা রয়েছে। তারপরও কোন কূটনীতিক বা তাদের পরিবারের সদস্যের করোনা আক্রান্তের লক্ষণ স্পষ্ট হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের চিকিৎসা-সেবা নিশ্চিত করা হবে। ব্রিফিং সূত্র জানায়, সেখানে কূটনীতিকদের উদ্বেগের অন্যতম বিষয় ছিল- ইউরোপের সঙ্গে ঢাকার ফ্লাইট বন্ধের মুহুর্তে পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে ইউরোপীয় কূটনীতিক, তাদের পরিবারের সদস্য এবং নাগরিকদের ঢাকা ছাড়ার ব্যবস্থা কি? জবাবে সচিব বলেন, দুনিয়ার সঙ্গে ঢাকার ফ্লাইট যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। বৃটেন, চীন, থাইল্যান্ড ও তাইওয়ান- ওই চারটি রুট চালু রাখা হয়েছে, বিশেষ প্রয়োজনে যাতায়াতের বিবেচনায়। আগ্রহীরা ওই রুটে ফিরতে পারেন। অন্যথায় চার্টার্ড ফ্লাইট নিতে পারেন। সরকারের তরফে তাতে কোনো আপত্তি থাকবে না।
মার্কিন দূত আমেরিকান চার্টার্ড ফ্লাইট ঢাকায় নামানো এবং তাতে নাগরিকদের ফেরার কারিগরি সহায়তা নিশ্চিতেও সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে কবে নাগাদ ওই ফ্লাইট আসবে এবং তাতে কতজন আমেরিকান ফিরবেন তা তিনি খোলাসা করেননি। এদিকে সেগুনবাগিচার বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিঙ্ক জানিয়েছেন, ইউরোপের ৯ জন নাগরিক তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরতে থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে বুকিং দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ থাই এয়ার জানিয়ে দিয়েছে করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের ভয়াবহতার আশঙ্কায় তারা তাদের সমুদয় ফ্লাইট বন্ধ করতে যাচ্ছে। তাদের বুকিংও বাতিল হয়ে গেছে। ফলে ওই ইউরোপীয়ানদের গন্তব্যে ফেরাতে দূতাবাসগুলোকে বিকল্প খুঁজতে হচ্ছে। করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে বিদেশি কূটনীতিক, পরিবার ও তাদের নাগরিকদের সুরক্ষা বিষয়ে আলোচনায় ঢাকাস্থ প্রভাবশালী ৬ জন রাষ্ট্রদূত একসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠক করতে যান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ২৭ রাষ্ট্রের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্টদূতদ্বয় ছাড়াও বৈঠকে অংশ নেন বৃটেন, জাপান, ইতালি ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূত। করোনা সেলের প্রধান অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ডা. খলিলুর রহমান সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়। মন্ত্রী-সচিবের দপ্তর সংলগ্ন সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ, পশ্চিম ইউরোপ ও ইইউ, কনস্যুলার ও কল্যাণ, অফ্রিকাসহ সংশ্লিষ্ট ৫ মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক সূত্র জানিয়েছে- কূটনীতিকদের বলা হয়েছে- বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টিকারী মহামারী করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধে গোটা দেশকে কার্যত লকডাউন করা হয়েছে। নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকার নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। বিদেশি কূটনীতিকদের বিষয়ে সরকারের বিশেষ নজর অর্থাত অগ্রাধিকার রয়েছে। কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কেউ করোনা আক্রান্ত হলে রাজধানীর ৩টি নির্দিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আইসিইউ ফ্যাসিলিটিজ সমৃদ্ধ একটি ফ্লোরই প্রস্তুত করা হচ্ছে। তাছাড়া বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে ৮টি বেড প্রস্তুত থাকবে। উত্তরার একটি হাসপাতালেও কূটনীতিকদের চিকিৎসার কথাবার্তা হচ্ছে।
মঙ্গলবারের বৈঠকে কূটনীতিকদের সুবিধাদির বিস্তারিত ব্রিফ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের জানানো হয়েছে, ঢাকায় থাকা বিদেশি নাগরিকরা বাংলাদেশিদের মতই যখন যেখানে সম্ভব সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। বাংলাদেশ তার সাধ্য মত বিদেশিদের বিষয়গুলো দেখভাল করবে। উন্নত চিকিৎসা বা সুরক্ষার জন্য বিদেশিরা তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরতে বিশেষ বিমান কিংবা এখনও খোলা রয়েছে এমন ৪ রুট ব্যবহার করতে পারেন।
উল্লেখ্য, গত রোববার ঢাকাস্থ ইউরোপীয় কূটনীতিকদের উদ্বেগের প্রেক্ষিকে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ইউরোপীয় দূতকে পরিস্থিতির বিস্তারিত জানিয়ে তাদের অভয় দেয়ার চেষ্টা করেন। সরকারের দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র সচিব জানান- করোনা ভাইরাস প্রতিরোধকল্পে নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার জরুরি পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে কূটনৈতিক জোনখ্যাত গুলশান-বনানী ও বারিধারা এলাকায় করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কূটনৈতিক মিশন এবং কূটনীতিকদের বাসভবন এলাকায় বাইরের লোকজনের অবাধ যাতায়াতে বিধি-নিষেধ আরোপসহ সতর্কতামূলক বাড়তি ব্যবস্থা রয়েছে। তারপরও কোন কূটনীতিক বা তাদের পরিবারের সদস্যের করোনা আক্রান্তের লক্ষণ স্পষ্ট হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের চিকিৎসা-সেবা নিশ্চিত করা হবে। ব্রিফিং সূত্র জানায়, সেখানে কূটনীতিকদের উদ্বেগের অন্যতম বিষয় ছিল- ইউরোপের সঙ্গে ঢাকার ফ্লাইট বন্ধের মুহুর্তে পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে ইউরোপীয় কূটনীতিক, তাদের পরিবারের সদস্য এবং নাগরিকদের ঢাকা ছাড়ার ব্যবস্থা কি? জবাবে সচিব বলেন, দুনিয়ার সঙ্গে ঢাকার ফ্লাইট যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। বৃটেন, চীন, থাইল্যান্ড ও তাইওয়ান- ওই চারটি রুট চালু রাখা হয়েছে, বিশেষ প্রয়োজনে যাতায়াতের বিবেচনায়। আগ্রহীরা ওই রুটে ফিরতে পারেন। অন্যথায় চার্টার্ড ফ্লাইট নিতে পারেন। সরকারের তরফে তাতে কোনো আপত্তি থাকবে না।