শেষের পাতা
কোয়ারেন্টিনে চিকিৎসক
চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতালে নারীর মৃত্যু
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২৪ মার্চ ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:০৬ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রামের জিইসি এলাকার বেসরকারি ‘রয়েল হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেড’র আইসিইউ-এইচডিইউ ইউনিটে বিবি মরিয়ম (৩৬) নামে জ্বর-সর্দি আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ১৯শে মার্চ দিবাগত রাত ১টার দিকে এই রোগী হাসপাতালে মারা যায়। তার মৃত্যুর পর থেকেই অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে যে চিকিৎসক সেবা দিয়েছেন তাকে কোয়ারেন্টিন মেনে চলার পাশাপাশি আইসিইউ ও এইচডিইউ ইউনিট বন্ধ করে দেয়া হয়। শুক্রবার রাত থেকে ইউনিট দুটি বন্ধ হলেও ২৩শে মার্চ সোমবার তা প্রকাশ পায়। রয়েল হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপক নুরুল আমিন বলেন, আমাদের আইসিইউ (ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিট) ও এইচডিইউ (হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে) ইউনিট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যে চিকিৎসক ওই রোগীকে সেবা দিয়েছেন তাকেও হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিবি মরিয়মকে ১৯শে মার্চ হাসপাতালে ভর্তি হয়। তার জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট ছিলো। ওইদিন রাতেই তার মৃত্যু হয়। তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। পরে বিষয়টি সিভিল সার্জন কার্যালয়কে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
বিবি মরিয়মের স্বামী আনসার আলী বলেন, আমার স্ত্রী শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। পরে তাকে চট্টগ্রামে রয়েল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ডাক্তার তার মৃত্যুর কারণ নিউমোনিয়া বলে জানিয়েছেন। রয়েল হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক ডা. লিয়াকত আলী খান বলেন, কয়েকদিন আগে একজন রোগীর মৃত্যুর খবর জেনেছি। তবে তিনি করোনায় আক্রান্ত কীনা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তার মৃত্যুর পর সন্দেহ করা হচ্ছে-করোনা। ফলে ওই চিকিৎসককে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে ওই রোগীর মৃত্যুর ব্যাপারে জানিয়েছে। রোগীর কাশি এবং শ্বাসকষ্ট ছিলো। তবে ওই রোগী নিজে এবং তার কোনো আত্মীয়-স্বজন বিদেশ ফেরত ছিলেন না। তাই তার মৃত্যু করোনায় হয়েছে বলে আমরা মনে করছি না। হয়তো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সতর্কতা হিসেবে আইসিইউ-এইচডিইউ সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। এদিকে, হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিন বলেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষ শাখার একটি টিম রোববার তাদের হাসপাতালে তদন্ত কার্যক্রম চালিয়েছে। তদন্ত কাজের ফলাফল সম্পর্কে পুলিশ এখনো কিছুই জানায়নি। প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে এখনো পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। তবে বিদেশ ফেরত সহস্রাধিক প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টিমে পাঠানো হয়েছে।
বিবি মরিয়মের স্বামী আনসার আলী বলেন, আমার স্ত্রী শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। পরে তাকে চট্টগ্রামে রয়েল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ডাক্তার তার মৃত্যুর কারণ নিউমোনিয়া বলে জানিয়েছেন। রয়েল হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক ডা. লিয়াকত আলী খান বলেন, কয়েকদিন আগে একজন রোগীর মৃত্যুর খবর জেনেছি। তবে তিনি করোনায় আক্রান্ত কীনা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তার মৃত্যুর পর সন্দেহ করা হচ্ছে-করোনা। ফলে ওই চিকিৎসককে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে ওই রোগীর মৃত্যুর ব্যাপারে জানিয়েছে। রোগীর কাশি এবং শ্বাসকষ্ট ছিলো। তবে ওই রোগী নিজে এবং তার কোনো আত্মীয়-স্বজন বিদেশ ফেরত ছিলেন না। তাই তার মৃত্যু করোনায় হয়েছে বলে আমরা মনে করছি না। হয়তো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সতর্কতা হিসেবে আইসিইউ-এইচডিইউ সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। এদিকে, হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিন বলেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষ শাখার একটি টিম রোববার তাদের হাসপাতালে তদন্ত কার্যক্রম চালিয়েছে। তদন্ত কাজের ফলাফল সম্পর্কে পুলিশ এখনো কিছুই জানায়নি। প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে এখনো পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। তবে বিদেশ ফেরত সহস্রাধিক প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টিমে পাঠানো হয়েছে।