বাংলারজমিন
করোনা প্রতিরোধে যা করছেন নাসিকের দুই কাউন্সিলর
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
২৪ মার্চ ২০২০, মঙ্গলবার, ৮:১১ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে যখন মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে ছোট বড় বিভিন্ন সংগঠন, ঠিক সেই সময় একেবারেই নির্লিপ্ত ভূমিকা নিয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। বর্তমান পরিস্থিতিতে সিটি করপোরেশনের কোন ভূমিকা না থাকায় মেয়রের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটি।
তবে করোনা বিষয়ে যখন একেবারেই নির্লিপ্ত নাসিক ঠিক সেই সময় ব্যক্তি উদ্যোগে নিজ ওয়ার্ডবাসীকে সংরক্ষায় মাঠে কাজ করছেন সিটি করপোরেশনের ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর। এ দুই কাউন্সিলরের কর্মকাণ্ড ইতিমধ্যেই নগরবাসীর নজর কেড়েছে। তাদের দেখে অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোও মাঠে নেমেছে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু ওয়ার্ডবাসীকে রক্ষায় নিজের স্ত্রী দীপা হাশেমকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে নেমেছেন। শকু নিজে হ্যান্ড সেনিটাইজার, স্যাভলন সাবান ও মাস্ক বিতরণের পাশাপাশি গণপরিবহনে জীবানুনাশক স্প্রে করার ব্যবস্থা করেছেন। তিনি আরোও বলেন, আগামী সাতদিন এই কর্মসূচি চলবে। পাশাপাশি যারা বাসায় নিরাপদে রয়েছেন, তাদের হোম ডেলিভারি শুরু করা হয়েছে। এছাড়া কারো প্রয়োজন পড়লে একাধিক হট নাম্বার দেয়া হয়েছে। কারো প্রয়োজনে ফোন করলে বাসায় পৌছে দেয়া হবে।
নাসিকের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে ওয়ার্ডবাসীকে রক্ষায় সচেতনতা মূলক লিফলেটের পাশাপাশি মাস্ক বিতরণ, হ্যান্ড সেনিটাইজার ও হ্যান্ডওয়াশ তৈরি করে বিতরণের পাশাপাশি ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্পটে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া যানবাহন ও ওয়ার্ডের মসজিদ, মন্দিরে জীবানুনাশক স্প্রে ছিটানোর ব্যবস্থা করেছেন। তার সামর্থ্য অনুযায়ী এ কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এদিকে দুই ওয়ার্ড কাউন্সিলর যখন নিজেদের ওয়ার্ডবাসীর সুরক্ষায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ঠিক সেই সময় একেবারেই নীরব সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের করোনা সম্পর্কে কার্যক্রম শুধু সচেতনতামূলক কিছু লিফলেট ও স্টিকারেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। যোগাযোগ করা হলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল আমিন বলেন, তারা করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে নগরে ১০ হাজার লিফলেট বিতরণ ও ৫ হাজার স্টীকার লাগিয়েছেন। রেল ও বাসস্টেশনে জীবানুনাশক ছিটিয়েছেন এবং সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেছেন। এ বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন। আরও কী করা যায় সে বিষয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সহ সভাপতি রফিউর রাব্বি সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অবাক করার বিষয় হচ্ছে করোনার মতো ভয়াবহ একটি দুর্যোগের ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকাণ্ডই লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সাধারণ মানুষের জন্য তাদের এগিয়ে আসা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
তবে করোনা বিষয়ে যখন একেবারেই নির্লিপ্ত নাসিক ঠিক সেই সময় ব্যক্তি উদ্যোগে নিজ ওয়ার্ডবাসীকে সংরক্ষায় মাঠে কাজ করছেন সিটি করপোরেশনের ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর। এ দুই কাউন্সিলরের কর্মকাণ্ড ইতিমধ্যেই নগরবাসীর নজর কেড়েছে। তাদের দেখে অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোও মাঠে নেমেছে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু ওয়ার্ডবাসীকে রক্ষায় নিজের স্ত্রী দীপা হাশেমকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে নেমেছেন। শকু নিজে হ্যান্ড সেনিটাইজার, স্যাভলন সাবান ও মাস্ক বিতরণের পাশাপাশি গণপরিবহনে জীবানুনাশক স্প্রে করার ব্যবস্থা করেছেন। তিনি আরোও বলেন, আগামী সাতদিন এই কর্মসূচি চলবে। পাশাপাশি যারা বাসায় নিরাপদে রয়েছেন, তাদের হোম ডেলিভারি শুরু করা হয়েছে। এছাড়া কারো প্রয়োজন পড়লে একাধিক হট নাম্বার দেয়া হয়েছে। কারো প্রয়োজনে ফোন করলে বাসায় পৌছে দেয়া হবে।
নাসিকের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে ওয়ার্ডবাসীকে রক্ষায় সচেতনতা মূলক লিফলেটের পাশাপাশি মাস্ক বিতরণ, হ্যান্ড সেনিটাইজার ও হ্যান্ডওয়াশ তৈরি করে বিতরণের পাশাপাশি ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্পটে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া যানবাহন ও ওয়ার্ডের মসজিদ, মন্দিরে জীবানুনাশক স্প্রে ছিটানোর ব্যবস্থা করেছেন। তার সামর্থ্য অনুযায়ী এ কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এদিকে দুই ওয়ার্ড কাউন্সিলর যখন নিজেদের ওয়ার্ডবাসীর সুরক্ষায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ঠিক সেই সময় একেবারেই নীরব সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের করোনা সম্পর্কে কার্যক্রম শুধু সচেতনতামূলক কিছু লিফলেট ও স্টিকারেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। যোগাযোগ করা হলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল আমিন বলেন, তারা করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে নগরে ১০ হাজার লিফলেট বিতরণ ও ৫ হাজার স্টীকার লাগিয়েছেন। রেল ও বাসস্টেশনে জীবানুনাশক ছিটিয়েছেন এবং সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেছেন। এ বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন। আরও কী করা যায় সে বিষয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সহ সভাপতি রফিউর রাব্বি সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অবাক করার বিষয় হচ্ছে করোনার মতো ভয়াবহ একটি দুর্যোগের ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকাণ্ডই লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সাধারণ মানুষের জন্য তাদের এগিয়ে আসা উচিত বলে তিনি মনে করেন।