খেলা
না ফেরার দেশে ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-করিম
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৩ মার্চ ২০২০, সোমবার, ৮:১৬ পূর্বাহ্ন
না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-করিম (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৮২ বছর। রেজা-ই-করিম দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন।
এক সময় ক্রিকেট খেলেছেন তিনি। পাকিস্তান আমলে ইগলেটস দলের খেলোয়াড় থাকা অবস্থাতেই তার সংগঠক হিসেবে কাজে জড়িয়ে পড়া। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের ক্রিকেটকে প্রায় ‘শূন্য’ থেকে যারা শুরু করেছিলেন, তাদের মধ্যে একজন ছিলেন রেজা-ই-করিম। তিনি যে সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কার্যনির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন, তখন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের একটি কক্ষে ছিল ক্রিকেটের কার্যালয়। আসবাবপত্র হিসেবে ছিল একটি করে টেবিল-চেয়ার আর একটি স্টিলের আলমারি। সেখানেই রাখা হতো দেশের ক্রিকেটের সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের আইসিসির সহযোগী সদস্যপদ পাওয়ার পেছনেও তার অবদান রয়েছে। ১৯৭৭ সালে বিখ্যাত মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) বাংলাদেশ সফর করে। সেটিই ছিল কোনো বিদেশি ক্রিকেট দলের প্রথম বাংলাদেশ সফর। এমসিসিকে যে আমন্ত্রণপত্রটি পাঠানো হয়েছিল, সেটির খসড়াও করেছিলেন রেজা-ই-করিম। দেশের মাটিতে এমসিসির বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। সংগঠক-আম্পায়ারিং ছাড়াও রেজা-ই-করিম আশির দশকে জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নীতিবান এ সংগঠক ১৯৮৬ সালে আইসিসি ট্রফিগামী বাংলাদেশ দল নির্বাচন নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতদ্বৈততায় পদত্যাগও করেছিলেন। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে তিনি বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বহুদিন ধরেই বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন দেশের ক্রিকেটের দুঃসময়ের অন্যতম এই সংগঠক। মণিপুরী পাড়ার বাসায় তার জীবনের শেষ দিনগুলি কেটেছে ওষুধ আর চিকিৎসকের সানিধ্যেই। রেজা-ই-করিমের পুত্র নাজমুল করিম বলেন, ‘বাবা কয়েক দিন ধরেই একটু বেশি অসুস্থ ছিলেন। গতকাল ফজরের সময় তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। ফার্মগেটের বাইতুশ শরফ জামে মসজিদে বাদ জানাজা শেষে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়েছে।
এক সময় ক্রিকেট খেলেছেন তিনি। পাকিস্তান আমলে ইগলেটস দলের খেলোয়াড় থাকা অবস্থাতেই তার সংগঠক হিসেবে কাজে জড়িয়ে পড়া। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের ক্রিকেটকে প্রায় ‘শূন্য’ থেকে যারা শুরু করেছিলেন, তাদের মধ্যে একজন ছিলেন রেজা-ই-করিম। তিনি যে সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কার্যনির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন, তখন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের একটি কক্ষে ছিল ক্রিকেটের কার্যালয়। আসবাবপত্র হিসেবে ছিল একটি করে টেবিল-চেয়ার আর একটি স্টিলের আলমারি। সেখানেই রাখা হতো দেশের ক্রিকেটের সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের আইসিসির সহযোগী সদস্যপদ পাওয়ার পেছনেও তার অবদান রয়েছে। ১৯৭৭ সালে বিখ্যাত মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) বাংলাদেশ সফর করে। সেটিই ছিল কোনো বিদেশি ক্রিকেট দলের প্রথম বাংলাদেশ সফর। এমসিসিকে যে আমন্ত্রণপত্রটি পাঠানো হয়েছিল, সেটির খসড়াও করেছিলেন রেজা-ই-করিম। দেশের মাটিতে এমসিসির বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। সংগঠক-আম্পায়ারিং ছাড়াও রেজা-ই-করিম আশির দশকে জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নীতিবান এ সংগঠক ১৯৮৬ সালে আইসিসি ট্রফিগামী বাংলাদেশ দল নির্বাচন নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতদ্বৈততায় পদত্যাগও করেছিলেন। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে তিনি বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বহুদিন ধরেই বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন দেশের ক্রিকেটের দুঃসময়ের অন্যতম এই সংগঠক। মণিপুরী পাড়ার বাসায় তার জীবনের শেষ দিনগুলি কেটেছে ওষুধ আর চিকিৎসকের সানিধ্যেই। রেজা-ই-করিমের পুত্র নাজমুল করিম বলেন, ‘বাবা কয়েক দিন ধরেই একটু বেশি অসুস্থ ছিলেন। গতকাল ফজরের সময় তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। ফার্মগেটের বাইতুশ শরফ জামে মসজিদে বাদ জানাজা শেষে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়েছে।