খেলা
উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে বিদেশি কোচদের
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৩ মার্চ ২০২০, সোমবার, ৮:১৬ পূর্বাহ্ন
করোনার ভয়াল থাবায় থমকে গেছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন। ঘরোয়া ক্রীড়াঙ্গনেও স্থবিরতা নেমে এসেছে। ঘরোয়া খেলাধুলা বন্ধ। ঘরের মধ্যে সময় কাটছে খেলোয়াড়দের। গৃহবন্দি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে খেলতে আসা বিদেশি ফুটবলাররাও। যারা জীবিকার তাগিদে পরিবার ছেড়ে বাংলাদেশে এসেছেন কোচিং করাতে তাদেরও উৎকণ্ঠার শেষ নেই। এমন কঠিন সময়ে স্ত্রী-সন্তানদের পাশে থাকতে না পারার কষ্টে পুড়ছেন তারা। সব মিলিয়ে নিদারুণ সময়ের মধ্যেই কাটছে বিদেশি কোচদের দিন।
বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার আন্তর্জাতিক রুট সব বন্ধ। ঘরোয়া ফুটবলের কার্যক্রমও বন্ধ। বাংলাদেশে জীবিকার তাগিদে কোচিং করাতে আসা বিদেশি এই কোচদের তাই থাকতে হচ্ছে ঢাকায়। দেশের ফেরার সুযোগ নেই বিদেশি কোচদের। করোনাভীতি সঙ্গে করেই কাটছে বিদেশি কোচদের দিন। এর মধ্যেও দেশের ক্লাব ফুটবল ভাবনা নিয়ে পরিকল্পনা করছেন কোচরা। কেউ কেউ দীর্ঘমেয়াদী ফুটবল কার্যক্রম বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন। আবার কারও শঙ্কা- এর মধ্যে ফুটবলাররা হারাতে পারে কষ্টার্জিত ফিটনেস। স্ত্রী ও দুই সন্তানের পাশে না থাকতে পেরে কষ্টেই দিন পার করছেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের ইরানি বংশোদ্ভূত জার্মান কোচ রেজা পার্কাস, জার্মানি থেকে বাংলাদেশ নিরাপদ এখন। তবে নিজেকে নিয়ে যত চিন্তিত তার থেকে বেশি চিন্তিত আমার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে।’ ঢাকা আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমোসের কষ্টটা যেন আরও বেশি। গর্ভবতী স্ত্রী পাশে পাচ্ছেন না লেমসকে। সেটাও জানালেন মারিও। বলেন, ‘পরিবার ছাড়া বাইরে থাকা এমনিতেই একটু কষ্টের। ১৬ই মার্চ ফ্লাইট ছিল কিন্তু যেতে পারিনি। স্ত্রী সাত মাসের সন্তান গর্ভে নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় আছে। ওদের দেখতেও যেতে পারছি না। মনটা খুব খারাপ লাগছে।’ এমন কঠিন সময়ে ঢাকা থেকেই পরিবারকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কোচ শন লেন, ‘যেকোন কিছুই হতে পারে। পরিবারকে বুঝিয়েছি এখন দেশে ফেরাটাও নিরাপদ হবে না।’ এমন কঠিন সময়েও ক্লাব নিয়ে পরিকল্পনা করে যাচ্ছেন এই মাস্টারমাইন্ডরা। শন লেন অবশ্য লম্বা প্রি সিজনের পক্ষে, ‘বিরতি লম্বা হলে একটা লম্বা প্রি সিজন করতে হবে। ফুটবলাররা যদি নাই জানে যে লীগ কবে শুরু হবে তাহলে আর পরিকল্পনা করা যাবে না।’ ঘরেই ফুটবলারদের ফিটনেস নিয়ে কাজ করার পরামর্শ আবাহনী কোচ মারিও লেমসের, ‘যে ছন্দে ছিলাম আমরা তা হারিয়ে ফেলাটা স্বাভাবিক। আবার তাদের ফিটনেস নিয়েও কাজ করতে হবে আমাদের।’ লীগ বন্ধ রেখে নতুন লীগ চালুর পক্ষে জার্মান কোচ পার্কাস, ‘সব জায়গায়তো লীগ বন্ধ। আর আমাদের লীগের তো এক চতুর্থাংশ শেষ। ছোট ছোট বন্ধ না করে একেবারে বন্ধ করে নতুন লীগ চালু করা যায় কিনা সেটাও মাথায় রাখা যেতে পারে।’ এছাড়া বসুন্ধরা কিংসের স্প্যানিয়ার্ড কোচ অস্কার ব্রুজন ও বাংলাদেশ পুলিশের কোচ নিকোলা ভেটোরোভিচ দলের ক্যাম্পেই আছেন। পরিবার নিয়ে থাকায় ব্রুজন খুব একটা উদ্বিগ্ন নন। তবে বিশ্বের সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে ভয়ে আছেন। ‘এখনো যদি আমরা সচেতন না হই। তাহলে ভয়াবহ ভবিষ্যৎ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে’-বলেন তিনি। এদিকে জাতীয় দলের কোনও কার্যক্রম না থাকায় প্রধান কোচ জেমি ডে পরিবারসহ হোম আইসোলেশনে ইংল্যান্ডে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে বাংলাদেশের জনগনকে সচেতন হয়ে নিজ নিজ বাসায় থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এই বৃটিশ কোচ।
বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার আন্তর্জাতিক রুট সব বন্ধ। ঘরোয়া ফুটবলের কার্যক্রমও বন্ধ। বাংলাদেশে জীবিকার তাগিদে কোচিং করাতে আসা বিদেশি এই কোচদের তাই থাকতে হচ্ছে ঢাকায়। দেশের ফেরার সুযোগ নেই বিদেশি কোচদের। করোনাভীতি সঙ্গে করেই কাটছে বিদেশি কোচদের দিন। এর মধ্যেও দেশের ক্লাব ফুটবল ভাবনা নিয়ে পরিকল্পনা করছেন কোচরা। কেউ কেউ দীর্ঘমেয়াদী ফুটবল কার্যক্রম বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন। আবার কারও শঙ্কা- এর মধ্যে ফুটবলাররা হারাতে পারে কষ্টার্জিত ফিটনেস। স্ত্রী ও দুই সন্তানের পাশে না থাকতে পেরে কষ্টেই দিন পার করছেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের ইরানি বংশোদ্ভূত জার্মান কোচ রেজা পার্কাস, জার্মানি থেকে বাংলাদেশ নিরাপদ এখন। তবে নিজেকে নিয়ে যত চিন্তিত তার থেকে বেশি চিন্তিত আমার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে।’ ঢাকা আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমোসের কষ্টটা যেন আরও বেশি। গর্ভবতী স্ত্রী পাশে পাচ্ছেন না লেমসকে। সেটাও জানালেন মারিও। বলেন, ‘পরিবার ছাড়া বাইরে থাকা এমনিতেই একটু কষ্টের। ১৬ই মার্চ ফ্লাইট ছিল কিন্তু যেতে পারিনি। স্ত্রী সাত মাসের সন্তান গর্ভে নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় আছে। ওদের দেখতেও যেতে পারছি না। মনটা খুব খারাপ লাগছে।’ এমন কঠিন সময়ে ঢাকা থেকেই পরিবারকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কোচ শন লেন, ‘যেকোন কিছুই হতে পারে। পরিবারকে বুঝিয়েছি এখন দেশে ফেরাটাও নিরাপদ হবে না।’ এমন কঠিন সময়েও ক্লাব নিয়ে পরিকল্পনা করে যাচ্ছেন এই মাস্টারমাইন্ডরা। শন লেন অবশ্য লম্বা প্রি সিজনের পক্ষে, ‘বিরতি লম্বা হলে একটা লম্বা প্রি সিজন করতে হবে। ফুটবলাররা যদি নাই জানে যে লীগ কবে শুরু হবে তাহলে আর পরিকল্পনা করা যাবে না।’ ঘরেই ফুটবলারদের ফিটনেস নিয়ে কাজ করার পরামর্শ আবাহনী কোচ মারিও লেমসের, ‘যে ছন্দে ছিলাম আমরা তা হারিয়ে ফেলাটা স্বাভাবিক। আবার তাদের ফিটনেস নিয়েও কাজ করতে হবে আমাদের।’ লীগ বন্ধ রেখে নতুন লীগ চালুর পক্ষে জার্মান কোচ পার্কাস, ‘সব জায়গায়তো লীগ বন্ধ। আর আমাদের লীগের তো এক চতুর্থাংশ শেষ। ছোট ছোট বন্ধ না করে একেবারে বন্ধ করে নতুন লীগ চালু করা যায় কিনা সেটাও মাথায় রাখা যেতে পারে।’ এছাড়া বসুন্ধরা কিংসের স্প্যানিয়ার্ড কোচ অস্কার ব্রুজন ও বাংলাদেশ পুলিশের কোচ নিকোলা ভেটোরোভিচ দলের ক্যাম্পেই আছেন। পরিবার নিয়ে থাকায় ব্রুজন খুব একটা উদ্বিগ্ন নন। তবে বিশ্বের সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে ভয়ে আছেন। ‘এখনো যদি আমরা সচেতন না হই। তাহলে ভয়াবহ ভবিষ্যৎ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে’-বলেন তিনি। এদিকে জাতীয় দলের কোনও কার্যক্রম না থাকায় প্রধান কোচ জেমি ডে পরিবারসহ হোম আইসোলেশনে ইংল্যান্ডে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে বাংলাদেশের জনগনকে সচেতন হয়ে নিজ নিজ বাসায় থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এই বৃটিশ কোচ।