ষোলো আনা
স্পেন সরকারের আফসোস
ড. তাহসিনা আফরিন
২০ মার্চ ২০২০, শুক্রবার, ৮:২৪ পূর্বাহ্ন
আমাদের হাতে তিন মাসের লম্বা সময় ছিল। যা আমরা হেলায় হারাচ্ছি। সে সময়ে তাসের ঘরের মতো থুবড়ে পড়বে স্বাভাবিক প্রতিরোধটুকুও। বিপদের আন্দাজও করতে পারছি না, এত ভয়াবহ হবে সেটা! স্পেন হলো ইউরোপের উষ্ণতর, আলোকোজ্জ্বল দেশ। রোদে খটখট সারা বছর। মরুভূমির মতো ভূপ্রকৃতি। লোকজনের আয়ুষ্কাল দীর্ঘ। এদেশের ৯০ শতাংশ দেশবাসী সুস্থ। সামনেই সামার। পর্যটন নির্ভর সুন্দর দেশটির রুটি রুজির অন্যতম সময়। এ সময়ে করোনা নিয়ে মাতামাতি করতে কারোই ভালো লাগছিল না।করোনা যখন ইতালিতে বিষবাষ্প ছাড়ছে তখনো স্পেন ছিল নির্বিকার! অথচ করোনা হাঁটিহাঁটি পা পা করে সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই হানা দিলো রাজধানী মাদ্রিদে। কর্তারা তখনো শাক দিয়ে মাছ ঢাকছেন। সেরে যাবে। চলে যাবে।
এক সপ্তাহ পরেই বোঝা গেল করোনা কোনো করুণা করছে না, বিদ্যুৎ বেগে ছড়াচ্ছে, যাকে বাগে পাচ্ছে আইসিইউ অবধি টেনে নিয়ে মেরে ফেলছে। মরার পর কেউ ছুঁতে পারছে না। দেখতে পারছে না। মরার বুকে আছড়ে পড়ে কাঁদতে পারছে না। জানাজায় লোক হচ্ছে না, ফিউনারেল হচ্ছে না। দাফন হচ্ছে না। সরাসরি ক্রিমেশনে পুড়িয়ে ফেলছে! এমনটিই তিনি লেখেন তার ফেসবুকে।
তিনি আরো লেখেন, শেষবর্ষের শিক্ষার্থীদের যুক্ত করা হচ্ছে চিকিৎসক কাতারে। এরপর যুদ্ধ চলছে। হাসপাতালে হাসপাতালে। তবুও কমছে না মৃত্যুর মিছিল।
হাত কামড়াচ্ছে সরকার, দুয়ো দিচ্ছে একে অন্যকে। আহা! আর একটা সপ্তাহ! আর দিন দশেক আগেও যদি সবাইকে খেদিয়ে ঘরে ঢুকাতাম, তো এই দাবানল রুখে দেয়া যেত। যেমন- চীন, সাউথ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর রুখেছে। আমি ডাক্তারি পড়াশোনা করেছি, এসব ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার নাশকতা সম্পর্কে জানি। এখানে স্বচক্ষে ইউরোপের দুর্গতিও দেখেছি। তবুও চাই, ভুল প্রমাণিত হোক আমার ধারণা। করোনা জাদুমন্ত্র বলে সরে যাক বাংলার আকাশ থেকে। নয়তো আজাব আসন্ন। অতি আসন্ন।
এক সপ্তাহ পরেই বোঝা গেল করোনা কোনো করুণা করছে না, বিদ্যুৎ বেগে ছড়াচ্ছে, যাকে বাগে পাচ্ছে আইসিইউ অবধি টেনে নিয়ে মেরে ফেলছে। মরার পর কেউ ছুঁতে পারছে না। দেখতে পারছে না। মরার বুকে আছড়ে পড়ে কাঁদতে পারছে না। জানাজায় লোক হচ্ছে না, ফিউনারেল হচ্ছে না। দাফন হচ্ছে না। সরাসরি ক্রিমেশনে পুড়িয়ে ফেলছে! এমনটিই তিনি লেখেন তার ফেসবুকে।
তিনি আরো লেখেন, শেষবর্ষের শিক্ষার্থীদের যুক্ত করা হচ্ছে চিকিৎসক কাতারে। এরপর যুদ্ধ চলছে। হাসপাতালে হাসপাতালে। তবুও কমছে না মৃত্যুর মিছিল।
হাত কামড়াচ্ছে সরকার, দুয়ো দিচ্ছে একে অন্যকে। আহা! আর একটা সপ্তাহ! আর দিন দশেক আগেও যদি সবাইকে খেদিয়ে ঘরে ঢুকাতাম, তো এই দাবানল রুখে দেয়া যেত। যেমন- চীন, সাউথ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর রুখেছে। আমি ডাক্তারি পড়াশোনা করেছি, এসব ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার নাশকতা সম্পর্কে জানি। এখানে স্বচক্ষে ইউরোপের দুর্গতিও দেখেছি। তবুও চাই, ভুল প্রমাণিত হোক আমার ধারণা। করোনা জাদুমন্ত্র বলে সরে যাক বাংলার আকাশ থেকে। নয়তো আজাব আসন্ন। অতি আসন্ন।