বিশ্বজমিন
করোনা ভাইরাসে বড় আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা
মানবজমিন ডেস্ক
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন
জানুয়ারি থেকে প্রথমবারের মতো চীনে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজারের নিচে নেমে এসেছে। মঙ্গলবার এ তথ্য প্রকাশ হলেও এ বিষয়ে বিশ্বজুড়ে যেসব বিশেষজ্ঞ রয়েছেন তারা সতর্কতা দিচ্ছেন। বলছেন, এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এসেছে এ কথা এত তাড়াতাড়ি বলা যাবে না। ওদিকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে এবার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান অ্যাপল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তারা বলেছে, আইফোনের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। ফলে অ্যাপলের রাজস্ব আয় কমে যাবে বলে সতর্ক করা হয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন এ পরিস্থিতিকে তার দেশের জন্য অর্থনৈতিক জরুরি এক অবস্থা বলে বর্ণনা করেছেন। এ ভাইরাসে আক্রান্ত আরো ৯৮ জন মারা গেছেন। চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন বলেছে, সব মিলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৬৮। আর মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭২ হাজার ৪৩৬। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এতে বলা হয়েছে, ভ্রমণ ও চলাফেরার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এর ফলে করোনা ভাইরাসের বিস্তার এর উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হয়েছে। তবে এতে চীনের অর্থনীতি এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য বড় অংকের ক্ষতির মুখে পড়েছে।
করোনা ভাইরাস মহামারির ফলে রাজস্ব আয় কমে যাওয়ার বিষয়ে যেসব কোম্পানি সতর্কতা দিয়েছে তার মধ্যে সর্বশেষটি হলো অ্যাপল। তারা বলেছে, মার্চ পর্যন্ত এ বছরের প্রথম চতুর্ভাগের গাইডলাইন অনুসরণ করতে পারছে না। কারণ,তাদের আইফোন উৎপাদন কমে গেছে। চীনে চাহিদা কমে গেছে। চীনে মার্কিন এই প্রতিষ্ঠানটির কারখানা বন্ধ রাখার পর নতুন করে খোলা হয়েছে। কিন্তু সেখানে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক ধীর গতিতে কাজ চলছে। এর ফলে আইফোনের ঘাটতি দেখা দেবে। তাতে বিক্রির ওপর প্রভাব পড়বে। বিশ্বের মধ্যে চীন হলো স্মার্টফোনের সবচেয়ে বড় বাজার। কিছু বিশ্লেষক বলেছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে এ বছর প্রথম চতুর্ভাগে হ্যান্ডফোন সেটের চাহিদা কমে যাবে অর্ধেক।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন আজ মঙ্গলবার তার দেশে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চাহিদা মেটাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন এবং ব্যবসাকে করোনা ভাইরাসের মহামারি থেকে রক্ষা করবেন। হংকংয়ে ব্যবসা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে সরকার ২৮০০ কোটি হংকং ডলার (৩৬০ কোটি মার্কিন ডলার) ছাড় দিয়েছে করোনা ভাইরাসে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে। আগে ২৫০০ কোটি হংকং ডলার ছাড় দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তা বাড়ানো হয়েছে ৩০০ কোটি ডলার। বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ জাপান ও অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র সিঙ্গাপুরে প্রকাশিত সর্বশেষ অর্থনৈতিক ডাটা প্রকাশ পাওয়ার পর এসব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাতে এ বছরের আগামী চতুর্ভাগে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সম্পদ নিয়ন্ত্রকরা বলেছে, করোনা ভাইরাসের ক্ষতিকর প্রভাব মূলত ফ্রেব্রুয়ারিতে দেখা দেবে। তবে ব্যবসায় এর আরো ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।
এতে বলা হয়েছে, ভ্রমণ ও চলাফেরার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এর ফলে করোনা ভাইরাসের বিস্তার এর উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হয়েছে। তবে এতে চীনের অর্থনীতি এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য বড় অংকের ক্ষতির মুখে পড়েছে।
করোনা ভাইরাস মহামারির ফলে রাজস্ব আয় কমে যাওয়ার বিষয়ে যেসব কোম্পানি সতর্কতা দিয়েছে তার মধ্যে সর্বশেষটি হলো অ্যাপল। তারা বলেছে, মার্চ পর্যন্ত এ বছরের প্রথম চতুর্ভাগের গাইডলাইন অনুসরণ করতে পারছে না। কারণ,তাদের আইফোন উৎপাদন কমে গেছে। চীনে চাহিদা কমে গেছে। চীনে মার্কিন এই প্রতিষ্ঠানটির কারখানা বন্ধ রাখার পর নতুন করে খোলা হয়েছে। কিন্তু সেখানে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক ধীর গতিতে কাজ চলছে। এর ফলে আইফোনের ঘাটতি দেখা দেবে। তাতে বিক্রির ওপর প্রভাব পড়বে। বিশ্বের মধ্যে চীন হলো স্মার্টফোনের সবচেয়ে বড় বাজার। কিছু বিশ্লেষক বলেছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে এ বছর প্রথম চতুর্ভাগে হ্যান্ডফোন সেটের চাহিদা কমে যাবে অর্ধেক।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন আজ মঙ্গলবার তার দেশে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চাহিদা মেটাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন এবং ব্যবসাকে করোনা ভাইরাসের মহামারি থেকে রক্ষা করবেন। হংকংয়ে ব্যবসা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে সরকার ২৮০০ কোটি হংকং ডলার (৩৬০ কোটি মার্কিন ডলার) ছাড় দিয়েছে করোনা ভাইরাসে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে। আগে ২৫০০ কোটি হংকং ডলার ছাড় দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তা বাড়ানো হয়েছে ৩০০ কোটি ডলার। বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ জাপান ও অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র সিঙ্গাপুরে প্রকাশিত সর্বশেষ অর্থনৈতিক ডাটা প্রকাশ পাওয়ার পর এসব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাতে এ বছরের আগামী চতুর্ভাগে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সম্পদ নিয়ন্ত্রকরা বলেছে, করোনা ভাইরাসের ক্ষতিকর প্রভাব মূলত ফ্রেব্রুয়ারিতে দেখা দেবে। তবে ব্যবসায় এর আরো ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।