প্রথম পাতা

রংপুরে চীনা নারী করোনা সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি

স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা ও রংপুর

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার, ৯:৫৭ পূর্বাহ্ন

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে এক চীনা নাগরিককে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২৮ বছর বয়সী চীনা ওই নারীর নাম জিং জং। গতকাল বেলা ২টায় তাকে হাসপাতালের আইসোলেশন করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ওই চীনা নাগরিক বাংলাদেশে আসেন। তিনি রংপুর অঞ্চলের নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উত্তরা ইপিজেডে প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করছিলেন। জ্বর হওয়ায় রোববার বেলা ২টায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে করোনা ইউনিটে ভর্তি করেন। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. দেবেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, ওই চীনা নাগরিক হাসপাতালে আসলে তাকে করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তার লালা রক্তসহ বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রতিবেদন ঢাকা থেকে এলে বোঝা যাবে ওই চীনা নাগরিক করোনায় আক্রান্ত কিনা। অন্যদিকে এর আগে এই মাসের প্রথম সপ্তাহে একই হাসপাতালে চীন ফেরত দুই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে করোনা সন্দেহে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের একজনকে ঢাকায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে  পাঠানো হয় এবং অন্যজন ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে গতকাল রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট(আইইডিসিআর)-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন,  চীন-সিঙ্গাপুর ফেরত যাত্রী মানেই সন্দেহজনক করোনা ভাইরাস বা কভিড-১৯ রোগী নয়। চীন ও সিঙ্গাপুর থেকে প্রতিদিন অনেক যাত্রী বাংলাদেশে আসছেন। চীনের সকল প্রদেশে করোনা ভাইরাস বা কভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাব ঘটেনি। চীনের সে সব অঞ্চলে মহামারীর প্রাদুর্ভাব ঘটেছে, চীন সরকার সে সব অঞ্চলে গণ কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা জারী করেছে। সকল প্রকার যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে মহামারী আক্রান্ত উপদ্রুত এলাকা থেকে কারো বাংলাদেশে আসার সুযোগ নেই। অনুরূপভাবে গোটা সিঙ্গাপুর শহর মহামারী আক্রান্ত নয়। তিনি আরো জানান, সতর্কার অংশ হিসেবে আমরা বাংলাদেশে আগত চীন ও সিঙ্গাপুর ফেরত যাত্রীদের মধ্যে যারা জ্বর, হাঁচি ও কাশিতে ভুগছেন তাদের আইসোলেশন করে চিকিৎসার ব্যবস্থা ও নমুনা পরীক্ষা করছি। বাকীদের যার যার বাসাতে স্বেচ্ছায়-কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। পরিচালক আরো বলেন, হজক্যাম্পে কোয়ারেন্টিনে থাকা উহান ফেরত বাংলাদেশের নাগরিকদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন ১৫ই ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে। তাদের সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে কারো মধ্যে করোনা ভাইরাস বা কভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। কোয়ারেন্টিন পরবর্তী আরো ১০ দিন ৩১২জনকে সীমিত চলাচল ও নিজেদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি অবহিত করতে আইইডিসিআর-এর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুর  প্রসঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাসের বরাত দিয়ে আইইডিসিআর’র পরিচালক বলেন, মোট ৫ জন বাংলাদেশের নাগরিক করোনা বা কভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে একজন আইসিইউতে রয়েছেন। কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫ জন বাংলাদেশের নাগরিক। সিঙ্গাপুরে মোট ৭২ জন করোনা ভাইরাসের রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। অন্যদিকে গতকাল পর্যন্ত দেশে বিমান, নৌ ও স্থলবন্দরে এবং একটি ট্রেনে মোট ১ লাখ ৭৬ হাজার ৭৬২ জন যাত্রীর স্ক্রিনিং করা হয়েছে। ৬৬ জনের নমুনা সংগ্রহ হলেও করো করোনা ভাইরাস ধরা পড়েনি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status