খেলা
ভেতরের সমস্যা জানবেন পাপন!
স্পোর্টস রিপোর্টার
৩০ জানুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৮:৫০ পূর্বাহ্ন
অনেক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলে পাকিস্তান সফরে গেছে বাংলাদেশ দল। হেরে এসেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এবার আরো দুই দফায় টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যাবে টাইগাররা। সফরে যাওয়ার আগে নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা ছিল তুঙ্গে। সঙ্গে যোগ হয়েছে বাংলাদেশ দলের যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্সও। দ্বিতীয় ধাপে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তার আগে দলের নৈপুণ্য নিয়ে হতাশা ঝরে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কণ্ঠে। সেই কথকোপকথনের মূল অংশ তুলে ধরা হলো-
মনে হয়নি বাংলাদেশ খেলছে
অনেকদিন পর বাংলাদেশের খেলা দেখে মনে হয়েছে এটা বাংলাদেশের খেলা না। আমার মনে হয়নি বাংলাদেশ খেলছিল। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে সাধারণত আমরা যেভাবে খেলি এটা সম্পূর্ণ উলটা। ১২-১৪ ওভার পরও আমরা এত ডিফেন্সিভ অ্যাপ্রোচ খেলছি। অনেক কিছু আসলে বুঝতে হবে। সব জানতে পেরেছি তা না। খেলোয়াড় কোচ, টিম ম্যানেজমেন্টে যারা আছে তাদের সঙ্গে বসতে হবে। আমি বসেছিলাম রিয়াদ, তামিম ওদের সঙ্গে। প্রথম ম্যাচের পরেই আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম ব্যাটিং নিলাম কেন। আমরা এত বছর পর পাকিস্তানে এলাম। একটা অপরিচিত কন্ডিশনে ব্যাটিং নিলাম কেন। ওরা বলছিল ব্যাটিং পিচ সেজন্য। কিন্তু দেখে মনে হয়নি ভাল পিচ। দ্বিতীয় ম্যাচের পরেও ওদের সঙ্গে বসেছিলাম। তারা আগে বলছে ব্যাটিং পিচ, খেলা শেষে বলছে ডিফিকাল্ট টু ব্যাট। বুঝলাম না, তারমানে কি পিচ বুঝতে পারছি না। ওরা যদি বলে আমাদের পিচ বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে তাহলেও তো আমরা সাহায্য করতে পারি।
আশ্চর্যের ব্যাপার ব্যাটিং অর্ডার
তামিম যখন ছিল না ইন্ডিয়ায় আমরা ওপেন করিয়েছি লিটন দাস আর নাঈমকে। আমাদের দুজন ওপেনার এখানে আছে। আবার সৌম্য আছে যে ওপেন করতো। সেকেন্ড ম্যাচে যখন নাঈম আউট হয়ে গেল তখন লিটন, সৌম্যকে না নামিয়ে হঠাৎ করে মেহেদী। যার খেলার কথা আমার হিসাবে ছয়ে। এক্সপেরিমেন্ট না কি আমি জানি না। আমার মনে হয়নি এটা লর্জিক্যাল। ইনফ্যাক্ট চারে যেহেতু মুশফিক নাই, রিয়াদ আসতে পারে। কিন্তু এই সিরিজে গিয়ে রিয়াদ পারলে দেখি একেবারে শেষে নামে। আমি এই জিনিসগুলাই জিজ্ঞেস করেছিলাম ব্যাপার কি। সব আপনাদের বলা যাবে না। এটা আমার মনে হয় সামথিং ভেরি সিরিয়াস ইস্যু।
মুশফিককে বলা উচিত কিনা জানি না
সাকিব নিউজিল্যান্ড সফরে যায়নি। এরপরে দেখলাম তামিম দুই সিরিজ গেল না। এখন দেখলাম মুশফিক। এরকম হঠাৎ করে যদি জানি তাহলে আমাদের জন্য সমস্যা। ওদের বিকল্প তো তৈরি করতে সুযোগ দিতে হবে। সেটা আমি আলাপ করে বুঝেছি কজনের সঙ্গে। মুশফিকে পাকিস্তান যাওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হবে কিনা আমি জানি না। যেটা বলতে পারি হঠাৎ করে বললে আমাদের জন্য অসুবিধা। আমাদের আগে থেকে জানতে হবে। আগে মানে অন্তত ছয় মাস। কারণ একটা ছেলেকে তো হঠাৎ এক সিরিজে পাঠানো যায় না। আমি গত বছরই বলেছি এই বছরটা আমাদের সাংঘাতিক কঠিন বছর।
সংকট কোথায় বলা মুশকিল
সংকট কোথায় আসলে বলা মুশকিল। কোচের সঙ্গে বসতে হবে। আমি বসেছি ক্রিকেটারদের সঙ্গে। তারা কেউ বলেনি কোচ আমাদের সিদ্ধান্ত দিয়েছে, বা কোচ বলেছে এটা। এখন কোচকে জিজ্ঞেস করতে হবে কে সিদ্ধান্তগুলো দিচ্ছিল।
টেস্ট খেলতে যেতে সমস্যা নেই
টি-টোয়েন্টি খেলতে যাওয়ার ব্যাপারটা ছিল সিকিউরিটি কেমন না গিয়ে আমরা স্বস্তি পারছিলাম না। যেটা হয়েছে খেলতে গিয়ে দেখে এসেছি সিকিউরিটি ওরা যা দিয়েছে এরচেয়ে বেশি কিছু দেয়ার নেই। একটা ঘটনা যেকোনো জায়গায় ঘটতে পারে। ক্রিকেটারদের সঙ্গেও কথা বলেছি কারো কোনো সমস্যা নেই। কাজেই টেস্ট খেলতে না যাওয়ার কোনো কারণ নাই।
মনে হয়নি বাংলাদেশ খেলছে
অনেকদিন পর বাংলাদেশের খেলা দেখে মনে হয়েছে এটা বাংলাদেশের খেলা না। আমার মনে হয়নি বাংলাদেশ খেলছিল। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে সাধারণত আমরা যেভাবে খেলি এটা সম্পূর্ণ উলটা। ১২-১৪ ওভার পরও আমরা এত ডিফেন্সিভ অ্যাপ্রোচ খেলছি। অনেক কিছু আসলে বুঝতে হবে। সব জানতে পেরেছি তা না। খেলোয়াড় কোচ, টিম ম্যানেজমেন্টে যারা আছে তাদের সঙ্গে বসতে হবে। আমি বসেছিলাম রিয়াদ, তামিম ওদের সঙ্গে। প্রথম ম্যাচের পরেই আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম ব্যাটিং নিলাম কেন। আমরা এত বছর পর পাকিস্তানে এলাম। একটা অপরিচিত কন্ডিশনে ব্যাটিং নিলাম কেন। ওরা বলছিল ব্যাটিং পিচ সেজন্য। কিন্তু দেখে মনে হয়নি ভাল পিচ। দ্বিতীয় ম্যাচের পরেও ওদের সঙ্গে বসেছিলাম। তারা আগে বলছে ব্যাটিং পিচ, খেলা শেষে বলছে ডিফিকাল্ট টু ব্যাট। বুঝলাম না, তারমানে কি পিচ বুঝতে পারছি না। ওরা যদি বলে আমাদের পিচ বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে তাহলেও তো আমরা সাহায্য করতে পারি।
আশ্চর্যের ব্যাপার ব্যাটিং অর্ডার
তামিম যখন ছিল না ইন্ডিয়ায় আমরা ওপেন করিয়েছি লিটন দাস আর নাঈমকে। আমাদের দুজন ওপেনার এখানে আছে। আবার সৌম্য আছে যে ওপেন করতো। সেকেন্ড ম্যাচে যখন নাঈম আউট হয়ে গেল তখন লিটন, সৌম্যকে না নামিয়ে হঠাৎ করে মেহেদী। যার খেলার কথা আমার হিসাবে ছয়ে। এক্সপেরিমেন্ট না কি আমি জানি না। আমার মনে হয়নি এটা লর্জিক্যাল। ইনফ্যাক্ট চারে যেহেতু মুশফিক নাই, রিয়াদ আসতে পারে। কিন্তু এই সিরিজে গিয়ে রিয়াদ পারলে দেখি একেবারে শেষে নামে। আমি এই জিনিসগুলাই জিজ্ঞেস করেছিলাম ব্যাপার কি। সব আপনাদের বলা যাবে না। এটা আমার মনে হয় সামথিং ভেরি সিরিয়াস ইস্যু।
মুশফিককে বলা উচিত কিনা জানি না
সাকিব নিউজিল্যান্ড সফরে যায়নি। এরপরে দেখলাম তামিম দুই সিরিজ গেল না। এখন দেখলাম মুশফিক। এরকম হঠাৎ করে যদি জানি তাহলে আমাদের জন্য সমস্যা। ওদের বিকল্প তো তৈরি করতে সুযোগ দিতে হবে। সেটা আমি আলাপ করে বুঝেছি কজনের সঙ্গে। মুশফিকে পাকিস্তান যাওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হবে কিনা আমি জানি না। যেটা বলতে পারি হঠাৎ করে বললে আমাদের জন্য অসুবিধা। আমাদের আগে থেকে জানতে হবে। আগে মানে অন্তত ছয় মাস। কারণ একটা ছেলেকে তো হঠাৎ এক সিরিজে পাঠানো যায় না। আমি গত বছরই বলেছি এই বছরটা আমাদের সাংঘাতিক কঠিন বছর।
সংকট কোথায় বলা মুশকিল
সংকট কোথায় আসলে বলা মুশকিল। কোচের সঙ্গে বসতে হবে। আমি বসেছি ক্রিকেটারদের সঙ্গে। তারা কেউ বলেনি কোচ আমাদের সিদ্ধান্ত দিয়েছে, বা কোচ বলেছে এটা। এখন কোচকে জিজ্ঞেস করতে হবে কে সিদ্ধান্তগুলো দিচ্ছিল।
টেস্ট খেলতে যেতে সমস্যা নেই
টি-টোয়েন্টি খেলতে যাওয়ার ব্যাপারটা ছিল সিকিউরিটি কেমন না গিয়ে আমরা স্বস্তি পারছিলাম না। যেটা হয়েছে খেলতে গিয়ে দেখে এসেছি সিকিউরিটি ওরা যা দিয়েছে এরচেয়ে বেশি কিছু দেয়ার নেই। একটা ঘটনা যেকোনো জায়গায় ঘটতে পারে। ক্রিকেটারদের সঙ্গেও কথা বলেছি কারো কোনো সমস্যা নেই। কাজেই টেস্ট খেলতে না যাওয়ার কোনো কারণ নাই।