বিশ্বজমিন

করোনা ভাইরাস: চীনে মৃতের সংখ্যা ১৩২, উদ্ধার অভিযান

মানবজমিন ডেস্ক

২৯ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার, ১২:০৭ অপরাহ্ন

করোনা ভাইরাসের প্রাণকেন্দ্র চীনের উহান থেকে শত শত বিদেশী নাগরিককে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। এ রোগে এরই মধ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ১৩২। এ ভাইরাস নিয়ে সারাবিশ্বে উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে এরই মধ্যে সেখান থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নেয়া শুরু করেছে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন। অন্যদিকে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে ৬০০ নাগরিককে উদ্ধার করে মূল ভূখন্ড থেকে প্রায় ২০০০ কোলিমিটার দূরে খ্রিস্টমাস আইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এই ভাইরাসকে ‘ডেভিল’ বলে আখ্যায়িত করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং। তিনি বলেছেন, চীন এই ভাইরাসকে পরাজিত করবে। চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে আছে একটি সামুদ্রিক খাবারের মার্কেট। সেখানে অবৈধভাবে বন্যপ্রাণির কেনাবেচা হয়। সেখান থেকেই এই ভাইরাসের বিস্তার বলে মনে করছেন অনেকে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন তার দেশের নাগরিকদের উদ্ধারে পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। এ পরিকল্পনায় উদ্ধার হওয়া নাগরিকদের ক্রিস্টমাস আইল্যান্ডে রাখার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সরকারের এমন ঘোষণায় তীব্র বিতর্ক দেখা দিয়েছে। কারণ, ওই আইল্যান্ড বা দ্বীপটি অভিবাসীদের বন্দিশিবির হিসেবেই বেশি পরিচিত। সেখানে যারা বন্দি আছেন তাদের অবস্থা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কড়া সমালোচনা আছে। ওই দ্বীপে কমপক্ষে ১০০০ মানুষকে ধারণক্ষমতা সম্পন্ন স্থাপনা তৈরি করা হয়েছিল, অভিবাসীদের আটকে রাখার জন্য। কিন্তু সেখানে এখন শুধু একটি পরিবারই অবস্থান করছে। এ পরিবারের সদস্য সংখ্যা চার জন। অস্ট্রেলিয়া যখন তাদের নাগরিকদের উদ্ধার করবে তখন নিজেদের ৫৩ জন নাগরিককে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে উদ্ধার করে নেয়ার জন্য ক্যানবেরাকে সহযোগিতা করবে নিউজিল্যান্ড।

এরই মধ্যে উহান থেকে বিমানযোগে উড়াল দিয়েছেন প্রায় ২০০ জাপানি নাগরিক। তারা এরই মধ্যে রাজধানী টোকিও’র হানেডা বিমানবন্দরে অবতরণ করেছেন। এর বাইরে রয়েছেন আরও ৬৫০ জন অভিবাসী। তারাও চাইছেন, তাদেরকে উদ্ধার করা হোক। জবাবে জাপান সরকার বলেছে, তারা উদ্ধার অভিযানের জন্য নতুন ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করছে। জাপানের মিডিয়ার মতে, যেসব নাগরিক দেশে ফিরে গেছেন তাদের অনেকেই জ্বর ও কাশিতে ভুগছেন। ফেরত যাওয়া সব নাগরিককে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে হাসপাতালে, তাতে তাদের কোনো সমস্যা থাক বা না থাক। হাসপাতাল থেকে তাদের দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হবে। বিচ্ছিন্ন করে ফেলা একটি ওয়ার্ডে তাদের পরীক্ষা করার কথা রয়েছে। এরপরই যার যার বাড়ি যেতে দেয়া হবে। তাদেরকে বলে দেয়া হবে, তারা যেন পরীক্ষার ফল না জানা পর্যন্ত বাসা থেকে বের না হন।

আজ বুধবার প্রায় ২০০ মার্কিন নাগরিক উহান শহর ছেড়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কনসুলেটের কিছু কর্মী ও মার্কিন নাগরিক। সিএনএন বলছে, যাদেরকে উদ্ধার করা হবে তাদেরকে দু সপ্তাহ পর্যন্ত বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকতে হবে। ওদিকে ২০০ বৃটিশ নাগরিককে উদ্ধারের প্রস্তিুতি নিচ্ছে বৃটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু দেশে ফেরার পর সরকারি সমর্থনের অভাব থাকার অভিযোগে বৃটিশ অনেক নাগরিক সরকারের সমালোচনা করেছেন। আলাদাভাবে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের নাগরিকদের দুটি বিমানে করে উদ্ধার করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ফ্লাইটে উহান ছাড়ার কথা রয়েছে ২৫০ ফরাসি নাগরিকের। দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, এ সপ্তাহে চারটি ফ্লাইটে তাদের ৭০০ নাগরিককে উদ্ধার করা হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status