শেষের পাতা

উন্নত দেশের পরিকল্পনা কাজে লাগাবেন আতিক

স্টাফ রিপোর্টার

২৯ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার, ৯:১৩ পূর্বাহ্ন

বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে শহর নিয়ে পরিকল্পনা হয়। তারপর সে অনুযায়ী কাজ করে নগরায়ন করে। কিন্তু বাংলাদেশে সেরকম নজির নেই। ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম উন্নত দেশের পরিকল্পনা কাজে লাগিয়ে ঢাকাকে গড়ে তুলতে চান। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আতিকুল ইসলাম বলেন, একটি অপরিকল্পিত শহর এই ঢাকা। বিদেশে দেখেছি, একটা প্ল্যান করে তারপর নগরায়ন করা  হয়। আমাদের এখানে বাস্তবে এটা হয়নি। এটা একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। আমার সামনে চ্যালেঞ্জ অনেকগুলো। অপরিকল্পিত শহরে যেমন আছে যানজট, জলজট, তেমন আছে মশার উপদ্রব, বায়ুদূষণ। অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ আছে। শুরু কিন্তু করতেই হবে। শুরু করতে পারলে শেষ হবেই। তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর নয় মাসে একটি দিনও নষ্ট করিনি। নগরপিতা নয়, নগরের সেবক হিসেবে সবার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করেছি। সেটি অত্যন্ত কঠিন কাজ ছিল। সেটা একটা অনুশীলন ছিল। নির্বাচিত হলে সিটি করপোরেশনের কাজগুলো এগিয়ে নিতে সে অভিজ্ঞতা কাজে দেবে। আতিকুল বলেন, আমাদের স্লোগান ছিল আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। সেই প্ল্যাটফর্ম জাতীয় প্রেসক্লাব তৈরি করে গেছে। আমার যারা প্রতিদ্বন্দ্বী তারাও প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। আমরা মনে করি, সুন্দর পরিবেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। মশকনিধন প্রসঙ্গে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সিটি করপোরেশনে কীটতত্ত্ব বিভাগ বলে কিছুই ছিল না, যারা মশা নিয়ে কাজ করবে। প্রজনন ক্ষেত্র কোথায়, নিয়ন্ত্রণ কীভাবে হবে, সে ধরনের কোনো বিভাগ সিটি করপোরেশনে ছিল না। গত ৯ মাসে বের করেছি এই বিভাগ লাগবে। এ ছাড়া মশক নিধন সম্ভব না। মশার কর্মীরা ওষুধ মেরে যাচ্ছে, কিন্তু তাদের কাজের কোয়ালিটি চেক করার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এটা করার জন্য সিস্টেম তৈরির কাজ করছি। মতবিনিময় সভায় নৌকার ব্যাকগিয়ার নেই বলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ মনোনীত এই মেয়রপ্রার্থী বলেন, নৌকার গিয়ার একটিই। সেটি হচ্ছে উন্নয়নের গিয়ার। নৌকা দিয়েছে স্বাধীনতা, নৌকা দেবে উন্নয়ন, নৌকা দেবে একটি সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা। নৌকা এগিয়ে যাবে। সভায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, আমরা মনে করি জাতীয় প্রেসক্লাবের ঐতিহাসিক ভূমিকা আছে এ দেশের মুক্তিযুদ্ধে, গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও অসামপ্রদায়িক আন্দোলনে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের প্রেসক্লাব। আমরা একটা নিরাপদ, সবুজ ও স্বচ্ছন্দে চলার মতো ঢাকা চাই। মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ শ্যামল দত্ত। উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. শফিকুর রহমান প্রমুখ। প্রেসক্লাবের এই সভা শেষে বের হওয়ার পথে মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলামের সঙ্গে দেখা হয় বিএনপির নেতাদের। তারাও দক্ষিণের বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের ইশতেহার অনুষ্ঠান শেষ করে বের হন। মুখোমুখি ওই দেখায় আতিকুল বিএনপির নেতাদের কাছে নৌকায় ভোট চান। এসময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আতিকুলের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি ঢাকা সিটির ভোটার নই। ঠাকুরগাঁওয়ের ভোটার। তবে সব প্রার্থীর জন্যই দোয়া থাকবে, যাতে একটা সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠিত হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে কুশল বিনিময় হয়।
এদিকে প্রেসক্লাবের মতবিনিময় শেষ করেই আতিকুল চলে যান মিরপুরের পল্লবীতে। সেখানে প্রতিদিনের মতো গণসংযোগে যোগ দেন এই। গণসংযোগকালে আতিকুল এলাকাবাসীকে হোল্ডিং ট্যাক্স অনলাইনে পরিশোধের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। তিনি বলেন,  আমি নির্বাচিত হলে নগরবাসী হোল্ডিং ট্যাক্সসহ বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্স অনলাইনেই দিতে পারবেন। কিন্তু কেউ কেউ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন যে, এতে ট্যাক্সের পরিমাণ বেড়ে যাবে। আসলে এটা সত্য নয়। ট্যাক্স যা ছিল তাই শুধু দেয়া যাবে অনলাইনে। পুরো ব্যবস্থাকে অনলাইনে নিয়ে আসতে জনগণের থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হবে না। অনলাইন সুবিধার আওতায় এলে দুর্নীতির পথও বন্ধ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন আতিকুল। তিনি বলেন, নগরবাসীর সুবিধায় ও দুর্নীতি প্রতিরাধে এমন অনলাইন প্রক্রিয়া চালু করা হবে। একই সঙ্গে সিটি করপোরেশনের যারা অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন, দুর্নীতি করেন তাদের পথ বন্ধ হবে। এ সময় মাদক নির্মূল ও ওয়ার্ডভিত্তিক মাসিক সভার মাধ্যমে মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন আতিক।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status