খেলা
সৈনিক থেকে ‘ল্যান্স নায়েক’ রোমান সানা
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৯ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার, ৯:০৮ পূর্বাহ্ন
দিন কয়েক আগেই পেয়েছেন অনন্য সম্মান। সাকিব আল হাসানকে পেছনে ফেলে হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রীড়ালেখক সমিতির বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ। এই সাফল্যের রেশ থাকতেই এবার ফের সম্মানিত হলেন রোমান সানা। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য পাওয়া এই আরচার ২০১৪ সালে সৈনিক হিসেবে যোগ দেন বাংলাদেশ আনসারে। তারপর তীর-ধনুকে যাদু দেখিয়ে দেশকে এনে দিয়েছেন একাধিক সাফল্য। সেই রোমান সানাকে এবার বাংলাদেশ আনসার ল্যান্সনায়েক পদ দিয়ে সম্মানিত করল। খিলগাঁও বাংলাদেশ আনসারের হেড কোয়ার্টারে মঙ্গলবার সকালে রোমান সানাকে ল্যান্স নায়েক’র ব্যাজ পরিয়ে দেওয়া হয়। রোমান সানার পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে (এসএ গেমস) পদকজয়ী সকল আনসার প্রতিযোগীকে পুরস্কৃত করে সংস্থাটি। পদোন্নতি পাওয়ার পর রোমান বলেন, ‘৬ বছর ধরে এ প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছি। আজ (গতকাল) আমাকে অনেক সম্মান দেয়া হয়েছে। এতে আমি যে কত খুশি, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আমার দারুণ ভালো লাগছে। মনে হয়েছে আমার প্রতিষ্ঠান ও দেশের জন্য কিছু একটা করতে পেরেছি। তবে এই সম্মান পাওয়ার পর আমার দায়িত্বও বেড়ে গেল। আগামীতে আামাকে আরো ভালো করতে হবে।’
আরচারিতে রোমান সানার অভিষেক ২০১০ সালে। ওই বছরই তিনি প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ২০১৩তে বাংলাদেশ গেমসে দুটি স্বর্ণ জিতে প্রথম লাইমটাইটে আসেন রোমান। এরপর আর পেছনে তাকাননি খুলনার এই তীরন্দাজ। সর্বশেষ গত বছর জুনে ওয়ার্ল্ড আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পেয়ে সরাসরি ২০২০ অলিম্পিক গেমসে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন তিনি। গত ডিসেম্বরে নেপালে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী আরচার বললেন, ‘আনসার আমাকে এই সম্মান দেয়ায় আমি দারুণভাবে অনুপ্রাণিত।’ অনুষ্ঠানে আনসারের ডিজি মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ বলেন, ‘ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অনুগ্রহ আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আমরা প্রতি বছরেই ক্রীড়াবিদদের সাফল্যের স্বীকৃতি দিয়ে থাকি। এসএ গেমসে সাফল্য অর্জন করায় আমরা সংবর্ধনা দিলাম। বিশেষ করে বিদেশের মাটিতে বেশ ক’বার বাংলাদেশকে সম্মানিত করায় তীরন্দাজ রোমান সানাকে আমরা ল্যান্স নায়েক পদে পদোন্নতি দিয়েছি। সামনেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস। ওই গেমসে আনসার ফের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করবে বলে আশা করি। যারা পদক জিতবে তাদের জন্যও সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে।’
নেপালে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে আনসার ও ভিডিপির ১৪৪ জন ক্রীড়াবিদ বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের হয়ে অংশ নেন। যার মধ্যে একক ও দলগত ইভেন্ট মিলিয়ে ৮টি স্বর্ণ, ১৩টি রুপা ও ৪৭টি ব্রোঞ্জপদক জেতেন। পদকজয়ী ক্রীড়াবিদদের ৩৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার প্রাইজমানি দেয়া হয়। একক ইভেন্টের সোনাজয়ীদের এক লাখ, রুপা জয়ীদের ৭৫ হাজার এবং ব্রোঞ্জপদক জয়ীদের ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ এক লাখ ৮০ হাজার টাকা পান রোমান সানা। এ সময় বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের (বিওএ) সহ-সভাপতি ও মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভানেত্রী মাহবুব আরা গিনি এমপি, আনসার ও ভিডিপির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম আসিফ ইকবাল, পরিচালক (ক্রীড়া ও সংস্কৃতি) নুরুল হাসান ফরিদী, উপ-পরিচালক (ক্রীড়া ও সংস্কৃতি) রায়হান উদ্দিন ফকির, বিওএ’র উপ-মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু ও আসাদুজ্জামান কোহিনুরসহ বিভিন্ন ফেডারেশনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরচারিতে রোমান সানার অভিষেক ২০১০ সালে। ওই বছরই তিনি প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ২০১৩তে বাংলাদেশ গেমসে দুটি স্বর্ণ জিতে প্রথম লাইমটাইটে আসেন রোমান। এরপর আর পেছনে তাকাননি খুলনার এই তীরন্দাজ। সর্বশেষ গত বছর জুনে ওয়ার্ল্ড আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পেয়ে সরাসরি ২০২০ অলিম্পিক গেমসে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন তিনি। গত ডিসেম্বরে নেপালে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী আরচার বললেন, ‘আনসার আমাকে এই সম্মান দেয়ায় আমি দারুণভাবে অনুপ্রাণিত।’ অনুষ্ঠানে আনসারের ডিজি মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ বলেন, ‘ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অনুগ্রহ আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আমরা প্রতি বছরেই ক্রীড়াবিদদের সাফল্যের স্বীকৃতি দিয়ে থাকি। এসএ গেমসে সাফল্য অর্জন করায় আমরা সংবর্ধনা দিলাম। বিশেষ করে বিদেশের মাটিতে বেশ ক’বার বাংলাদেশকে সম্মানিত করায় তীরন্দাজ রোমান সানাকে আমরা ল্যান্স নায়েক পদে পদোন্নতি দিয়েছি। সামনেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস। ওই গেমসে আনসার ফের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করবে বলে আশা করি। যারা পদক জিতবে তাদের জন্যও সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে।’
নেপালে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে আনসার ও ভিডিপির ১৪৪ জন ক্রীড়াবিদ বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের হয়ে অংশ নেন। যার মধ্যে একক ও দলগত ইভেন্ট মিলিয়ে ৮টি স্বর্ণ, ১৩টি রুপা ও ৪৭টি ব্রোঞ্জপদক জেতেন। পদকজয়ী ক্রীড়াবিদদের ৩৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার প্রাইজমানি দেয়া হয়। একক ইভেন্টের সোনাজয়ীদের এক লাখ, রুপা জয়ীদের ৭৫ হাজার এবং ব্রোঞ্জপদক জয়ীদের ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ এক লাখ ৮০ হাজার টাকা পান রোমান সানা। এ সময় বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের (বিওএ) সহ-সভাপতি ও মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভানেত্রী মাহবুব আরা গিনি এমপি, আনসার ও ভিডিপির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম আসিফ ইকবাল, পরিচালক (ক্রীড়া ও সংস্কৃতি) নুরুল হাসান ফরিদী, উপ-পরিচালক (ক্রীড়া ও সংস্কৃতি) রায়হান উদ্দিন ফকির, বিওএ’র উপ-মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু ও আসাদুজ্জামান কোহিনুরসহ বিভিন্ন ফেডারেশনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।