দেশ বিদেশ
ডেসটিনির এমডি রফিকুলের ৩ বছর কারাদণ্ড
স্টাফ রিপোর্টার
২৯ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার, ৯:০১ পূর্বাহ্ন
সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা না দেয়ায় ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার ৮ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শামীম আহাম্মাদ রফিকুল আমীনের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে আসামিকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক। এই টাকা ৩০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রের অনুকূলে জমা দিতে বলা হয়েছে। আদালতে দুদকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান জাহাঙ্গীর। অপরদিকে, রফিকুল আমিনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এহসানুল হক সমাজী। আইনজীবী এহসানুল বলেন, নিয়ম অনুযায়ী কারাদণ্ড থেকে হাজতবাসকালীন সময় বাদ যাবে। ফলে ২০১২ সাল থেকে কারাগারে থাকা রফিকুল আমীনকে এ মামলায় আর সাজা খাটতে হবে না। তবে মুদ্রা পাচারের আরো দুটি মামলায় গ্রেপ্তার থাকায় আপাতত তিনি মুক্তি পাচ্ছেন না। আমরা এর বিরুদ্ধে আপিল করবো। তিনি আরো বলেন, রফিকুল কারাগারে যান ২০১২ সালের ১২ই অক্টোবরে। কারা অন্তরীণ থাকাকালে ২০১৬ সালে তাকে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয় দুদক। সে কারণে তিনি জবাব দিতে পারেননি। অপরদিকে দুদকের অন্যতম কৌঁসুলি মাহমুদ হাসান জাহাঙ্গীর বলেন, রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৫ জনের সাক্ষ্য শুনে এ মামলার রায় দিয়েছে আদালত। এর আগে, ২০১২ সালের ৩১শে জুলাই প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাত ও পাচারের অভিযোগে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন এবং ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় আলাদা দুটি মামলা করে দুদক। ওই বছরের ১১ই অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ওই দুই মামলার তদন্ত চলার মধ্যেই প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে রফিকুল আমিনের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১৮ কোটি ২ লাখ ২৯ হাজার ৩২৩ টাকার সম্পদের হিসাব চেয়ে ২০১৬ সালের ১৬ই জুন নোটিশ দেয় দুদক।
সাত দিনের মধ্যে তাকে তথ্য বিবরণী জমা দিতে বলা হয়। কারাবন্দি রফিকুল আমীন সময়ের আবেদন করলে তাকে আরো সাত দিন সময় দেয়া হয়। এরপরও সম্পদের তথ্য বিবরণী না দেয়ায় ২০১৬ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর রমনা থানায় এই মামলা করে দুদক। এরপর ২০১৭ সালের ৬ই জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র জমা পড়ে। পরের বছরের ১২ই মার্চ অভিযোগ গঠন করে এ মামলায় রফিকুল আমিনের বিচার শুরু করে আদালত। এ মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে হাইকোর্টে যান রফিকুল আমীনের আইনজীবীরা। ২০১৮ সালে ১৮ই আগস্ট হাইকোর্ট সে আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন।
সাত দিনের মধ্যে তাকে তথ্য বিবরণী জমা দিতে বলা হয়। কারাবন্দি রফিকুল আমীন সময়ের আবেদন করলে তাকে আরো সাত দিন সময় দেয়া হয়। এরপরও সম্পদের তথ্য বিবরণী না দেয়ায় ২০১৬ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর রমনা থানায় এই মামলা করে দুদক। এরপর ২০১৭ সালের ৬ই জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র জমা পড়ে। পরের বছরের ১২ই মার্চ অভিযোগ গঠন করে এ মামলায় রফিকুল আমিনের বিচার শুরু করে আদালত। এ মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে হাইকোর্টে যান রফিকুল আমীনের আইনজীবীরা। ২০১৮ সালে ১৮ই আগস্ট হাইকোর্ট সে আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন।