বাংলারজমিন
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে লাশ হয়ে ফিরলেন শাকিল
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
২৯ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার, ৮:১১ পূর্বাহ্ন
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দাউদকান্দির গৌরীপুর ইউনিয়নের পেন্নাই গ্রামে পৌঁছেছে শাকিল মিয়ার দগ্ধ লাশ। সোমবার ভোরে নিজ বাড়িতে পৌঁছার পর লাশের সামনে দেড় বছরের শিশু সিনথিয়াকে কোলে নিয়ে বিলাপ করতে থাকেন স্ত্রী শান্তা আক্তার। রিকশাচালক বাবা হোসেন মিয়া আহাজারি করেন, বারবার মূর্ছা যান। মা সামছুন নাহার ও একমাত্র বোন লিপি আক্তার অঝোরে কাঁদেন। এ দৃশ্য প্রতিবেশী স্বজনদেরকে শোকাহত করে। সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে দুই বছর আগে প্রবাসী হন শাকিল মিয়া। স্বজনরা জানান, জোহানেসবার্গের নিকটবর্তী পামব্রিজ কেতলেহং এলাকায় একদল সন্ত্রাসী শাকিলের দোকানে ঢুকে লুটপাট চালায়। এরপর বেধড়ক মারধর করে তাকে ভেতরে রেখে পেট্রল ঢেলে দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শাকিলের বাবা হোসেন মিয়া জানান, রিকশা চালিয়ে ছেলেমেয়েদের বড় করেছেন। এখন আর রিকশা চালানোর শক্তি নেই। যখন যে কাজ পান, সে কাজই করেন। তার ওপরে ঋণের বোঝা। এত শোকের মধ্যে এ ভাবনাও তাকে দিশেহারা করে তুলেছে। স্ত্রী শান্তা আক্তার জানান, মৃত্যুর এক ঘণ্টা আগেও শাকিলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে তার। বলেছেন, ব্যবসা করতে তার খুব ভয় হয়। তাই ঋণ শোধ হয়ে গেলে চলে আসবেন। ফের বাসে সুপারভাইজারের কাজ নেবেন। শাকিলের মৃত্যু কাতর হয়ে পড়েন তার স্বজনরা।
শাকিলের বাবা হোসেন মিয়া জানান, রিকশা চালিয়ে ছেলেমেয়েদের বড় করেছেন। এখন আর রিকশা চালানোর শক্তি নেই। যখন যে কাজ পান, সে কাজই করেন। তার ওপরে ঋণের বোঝা। এত শোকের মধ্যে এ ভাবনাও তাকে দিশেহারা করে তুলেছে। স্ত্রী শান্তা আক্তার জানান, মৃত্যুর এক ঘণ্টা আগেও শাকিলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে তার। বলেছেন, ব্যবসা করতে তার খুব ভয় হয়। তাই ঋণ শোধ হয়ে গেলে চলে আসবেন। ফের বাসে সুপারভাইজারের কাজ নেবেন। শাকিলের মৃত্যু কাতর হয়ে পড়েন তার স্বজনরা।