দেশ বিদেশ
মুন্সীগঞ্জে হঠাৎ জ্বরে চাচী-ভাতিজার মৃত্যু নিয়ে সংশয়
স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা ও মুন্সীগঞ্জ থেকে
২৮ জানুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:০৭ পূর্বাহ্ন
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের একই পরিবারের দুইজন হঠাৎ জ্বরে মারা যাওয়ায় সংশয় ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। আর সংশয় তৈরির কারণ হচ্ছে সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে আলোচিত নতুন করোনা ভাইরাস নিয়ে। স্থায়ীয় ও পরিবারের সদস্যদের শঙ্কা ‘করোনা ভাইরাসে’ তাদের মৃত্যু হয়েছে। জেলার লৌহজংয়ের জসলদিয়া গ্রামে মাত্র ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে হঠাৎ জ্বরে চাচী-ভাতিজার এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক ডা. হাসান ইমাম মানবজমিনকে বলেন, প্রাথমিকভাবে বলা যায়, তারা করোনা ভাইরাসে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ওই বাড়িতে সম্প্রতি বিদেশ ভ্রমণের কোনো ইতিহাস নেই। জেলার সিভিল সার্জনের বরাত দিয়ে পরিচালক বলেন, ওই দু’জনের জ্বর হয়েছে। বমি করেছেন এবং শরীরে রেশ উঠেছে। আপাতত মনে হচ্ছে অজ্ঞাত কোনো রোগে তারা মারা গেছে। পুরো বিষয়টি তদন্তে শেষে বলা যাবে। এই বিষয়ে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-কে জানানো হয়েছে।
জানা যায়, রোববার দিবাগত রাত ২টায় লৌহজংয়ের জসলদিয়া গ্রামের মীর সোহেলের ছেলে মীর আব্দুর রহমান (৩) হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে মারা যায়। এর আগে রোববার সকাল ৮টায় তার চাচী মীর জুয়েলের স্ত্রী শামীমা বেগম (৩৪) একই ভাবে মারা যান। শামীমা বেগমের দেবর মীর শিবলু গণমাধ্যমকে জানান, তার ভাবী রোববার সকালে জ্বর জ্বর অনুভব করেন। আস্তে আস্তে জ্বর বেড়ে যায়। একই সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশে চাকা চাকা রক্তের দাগ দেখা যায়। মাত্র ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। এরপর রোববার রাতে তার ভাই মীর সোহেলের ছেলে আব্দুর রহমান (৩) একইভাবে জ্বর জ্বর অনুভব করে মাত্র ঘণ্টাখানেকের মধ্যে মারা যায়। তার শরীরেও রক্তের চাকা চাকা দাগ দেখা যায়। বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ মানবজমিনকে বলেন, তার অফিসের দুই সদস্যের চিকিৎসকদের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। অল্প সময়ের ব্যবধানে দুইজন মারা যান। লক্ষণগুলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, জ্বর ১০২ ডিগ্রি উঠেছিল। পাতলা পায়খানা, শরীরে রেশ ওঠা, বমি, শরীরে ব্যথা অনুভব করেছে তারা। অসুস্থ হওয়ার পর পল্লী চিকিৎসক থেকে ইজিথ্রমাইজন, প্যারাসিটামল ও স্যালাইন খায় তারা। তিনি বলেন, ওই বাড়িতে সম্প্রতি চীন বা বিদেশ ভ্রমণের কোনো ইতিহাস নেই। সিভিল সার্জন আরো বলেন, তাই প্রাথমিকভাবে বলা যায় তারা অজানা রোগে মারা গেছেন। আজ তিন সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল ওই বাড়িতে যাবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। শামীমা বেগম ও শিশুটির দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, রোববার দিবাগত রাত ২টায় লৌহজংয়ের জসলদিয়া গ্রামের মীর সোহেলের ছেলে মীর আব্দুর রহমান (৩) হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে মারা যায়। এর আগে রোববার সকাল ৮টায় তার চাচী মীর জুয়েলের স্ত্রী শামীমা বেগম (৩৪) একই ভাবে মারা যান। শামীমা বেগমের দেবর মীর শিবলু গণমাধ্যমকে জানান, তার ভাবী রোববার সকালে জ্বর জ্বর অনুভব করেন। আস্তে আস্তে জ্বর বেড়ে যায়। একই সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশে চাকা চাকা রক্তের দাগ দেখা যায়। মাত্র ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। এরপর রোববার রাতে তার ভাই মীর সোহেলের ছেলে আব্দুর রহমান (৩) একইভাবে জ্বর জ্বর অনুভব করে মাত্র ঘণ্টাখানেকের মধ্যে মারা যায়। তার শরীরেও রক্তের চাকা চাকা দাগ দেখা যায়। বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ মানবজমিনকে বলেন, তার অফিসের দুই সদস্যের চিকিৎসকদের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। অল্প সময়ের ব্যবধানে দুইজন মারা যান। লক্ষণগুলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, জ্বর ১০২ ডিগ্রি উঠেছিল। পাতলা পায়খানা, শরীরে রেশ ওঠা, বমি, শরীরে ব্যথা অনুভব করেছে তারা। অসুস্থ হওয়ার পর পল্লী চিকিৎসক থেকে ইজিথ্রমাইজন, প্যারাসিটামল ও স্যালাইন খায় তারা। তিনি বলেন, ওই বাড়িতে সম্প্রতি চীন বা বিদেশ ভ্রমণের কোনো ইতিহাস নেই। সিভিল সার্জন আরো বলেন, তাই প্রাথমিকভাবে বলা যায় তারা অজানা রোগে মারা গেছেন। আজ তিন সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল ওই বাড়িতে যাবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। শামীমা বেগম ও শিশুটির দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।