এক্সক্লুসিভ

ইভিএমেই ভোট

স্টাফ রিপোর্টার

২৭ জানুয়ারি ২০২০, সোমবার, ৮:২২ পূর্বাহ্ন

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে আগামী ১লা ফেব্রুয়ারি সিটি নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণে বাধা রইলো না। গতকাল বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. নুর উস সাদিক। ইসির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ড. মো. ইয়াসিন খান ও তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সানজানা ইয়াসিন খান। এর আগে গত ২২শে জানুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন ইউনুছ আলী আকন্দ। রিটে ইভিএম-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ-২০১৮ এবং এর বিধিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব, আইন সচিব ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়।

ওই দিন আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ইভিএম-সংক্রান্ত আইন সংসদে পাস হয়নি এবং আরপিও ধারা ২৬(এ) অনুযায়ী ইভিএম বাধ্যতামূলক নয়। সুতরাং এ আইন জরুরি ছিল না। এটি সংবিধানের ৯৩ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ, অনুচ্ছেদ ৯৩ বলে কেবল জরুরি প্রয়োজনে সংসদ না থাকলে অধ্যাদেশ জারি করা যেতে পারে। ২০১৮ সালে সংসদ বহাল ছিল এবং ইভিএমের বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করা জরুরি ছিল না। ২০১৮ সালের নির্বাচনে মাত্র ছয়টিতে ইভিএম চালু ছিল। কিন্তু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়নি। এছাড়া সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদে এবং অন্যান্য আইনে জনগণের সরাসরি ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেয়ার বিধান আছে, যন্ত্রের মাধ্যমে নয়। যন্ত্রের মাধ্যমে প্রকৃত ভোটার যাচাই-বাছাই করা যেতে পারে, কিন্তু ভোট ব্যালটের মাধ্যমেই সরাসরি দিতে হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status