প্রথম পাতা
দুই সিটিতে শতাধিক অভিযোগ তদন্তেই সীমাবদ্ধ ইসি
শাকিল আহমেদ
২৬ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
ভোট যত ঘনিয়ে আসছে বাড়ছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অভিযোগ। দুই সিটিতে এমন অভিযোগ শতাধিক। যদিও নির্বাচন কমিশন বলছে অভিযোগের কোনোটিই গুরুতর নয়। কমিশনে আসা কিছু অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। কয়েকটি ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েছে ইসিতে। তবে এ পর্যন্ত কমিশনের ব্যবস্থা নেয়ার তেমন তথ্য নেই। দুই সিটির রিটার্নিং অফিস থেকে জানা যায়, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ১০৩ টি অভিযোগ পেয়েছেন তারা। বেশির ভাগই কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, প্রচারে বাধা, অতিরিক্ত নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন, মাইক ভাংচুর ও হামলার ঘটনায় এই অভিযোগ এসেছে। কাউন্সিলর প্রার্থীদের পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসার প্রবণতা থাকলেও মেয়র প্রার্থীদের অভিযোগ এসেছে শুধু বিএনপি প্রার্থীর পক্ষ থেকে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর ও মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে ৩৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ইসির যুগ্মসচিব আবুল কাসেম জানান, যখনই কোনো অভিযোগ লিখিতভাবে আসছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে দুই জনকে সতর্ক করা হয়েছে। একজনকে জরিমানা করা হয়েছে। এদিকে শুক্রবার পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ৭০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এরমধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ আসেনি। কাউন্সিলরদের পক্ষ থেকে এসেছে বেশি। বিএনপি মেয়র প্রার্থীর পক্ষ থেকে অন্তত সাতটি এসেছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেলেই সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করা হচ্ছে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন। এদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটলেও কারও বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি ইসি। মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের প্রচারণায় হামলার ঘটনায় কমিশনে যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েছে তাতে হামলার ঘটনার প্রমাণ মেলেনি। দুই প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে ধাক্কা ধাক্কির ঘটনা ঘটে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণে এক নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রচার ও তার বাড়িতে হামলার ঘটনায় দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এদিকে রাস্তা বন্ধ করে প্রার্থীদের প্রচার, দিনভর মাইকে প্রচারণাসহ আচরণ বিধি ভঙ্গ করছেন হরহামেশা। বিধি ভঙ্গের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না নগরীতে। যদিও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা সার্বিক পরিস্থিতিতে সন্তুষ্ট। তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ আছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত পরিস্তিতি সন্তোষজনক। নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, দিন ঘনিয়ে আসলে প্রার্থীদের অভিযোগও বাড়বে। তাই এখন থেকেই কঠোর হতে হবে ইসিকে। এদিকে অভিযোগের পাশপাশি ইভিএম নিয়ে এখনও চলছে সরব আলোচনা। এবারই প্রথমবারের মতো অর্ধকোটির বেশি ভোটার ইভিএমের মাধ্যমে ভোট প্রদান করবেন। ইভিএমে ভোট গ্রহণের নিয়ে বিএনপিসহ বিভিন্ন মহলের আপত্তি থাকলেও শুরু থেকে সিদ্ধান্তে অনড় নির্বাচন কমিশন। যদিও এর আগে একসাথে এত ভোটারের ভোট ইভিএমে নেয়ার অভিজ্ঞতা নেই ইসির, অতিতের যেটুকু অভিজ্ঞতা রয়েছে তাও সুখকর নয়। তাই এবারের সিটি নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন, সুষ্ঠু ভোট গ্রহণে নেয়া হচ্ছে নানা প্রস্তুতি। সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে ১৯শে জানুয়ারি রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম। এর আগে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর আজিমপুরে গভঃ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের (প্রিজাইডিং অফিসার,সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার) প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ২৪শে জানুয়ারি বিকালে উত্তরা হাই স্কুল, আজমপুর, সেক্টর-৭ এ ইভিএম এর প্রশিক্ষণ দেয়া হয় কর্মকর্তাদের। সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ায় ভোট গ্রহনকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় দিকনির্দেশনা দেন কমিশনার কবিতা খানম।
২২শে জনুয়ারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে কোন অনিয়ম হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, সিটি নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনে কোন অনিয়ম ও গাফলতি হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এদিকে গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে দুই সিটিতে মোট ১৮টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৪০ হাজার সদস্য ভোটে মাঠে থাকবে। কেন্দ্রভিত্তিক সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবে। এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে র্যাব, বিজিবি থাকবেন। কেন্দ্রে সংখ্যা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এছাড়া ২২টি নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থার ১ হাজার ১৩ জনকে ভোট পর্যবেক্ষণ করার অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ৫০৩ জন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৪৫৭ জন পর্যবেক্ষক থাকবেন। আর কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন ৫৩ জন। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাড়ে সাতশ’ প্রার্থীর এ ভোটে প্রচারণা শেষ হবে ৩০শে জানুয়ারি। ২২ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণার পর ১০ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩৫ হাজার ইভিএম। ইতোমধ্যে মেশিনগুলো রির্টানিং কর্মকর্তাদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। দুই সিটিতে এবার ১৩ জন মেয়র প্রার্থীর সঙ্গে ৭৪৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী লড়ছেন। মেয়র পদে ৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে দক্ষিণে ৭ জন ও উত্তরে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ গেজেট অনুযায়ি ঢাকার দুই সিটিতে মোট ভোটার ৫৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬৯ জন। নতুন ইউনিয়নসহ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশ (ডিএনসিসি) এলাকায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৭ জন ও মহিলা ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৭০৬ জন। এই সিটিতে মোট সাধারণ ওয়ার্ড ৫৪ টি, সংরক্ষিত, ১৮ টি। মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৩ হাজার ১৮টি, ভোটকক্ষ ৭ হাজার ৮৪৬ টি। দক্ষিণ সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৪৪১ জন ও মহিলা ১১ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫৩ জন। এই সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ড ৭৫টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ২৫টি। মোট ভোট কেন্দ্র ১ হাজার ১৫০টি ও ভোট কক্ষ ৬ হাজার ৫৮৮টি।
২২শে জনুয়ারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে কোন অনিয়ম হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, সিটি নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনে কোন অনিয়ম ও গাফলতি হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এদিকে গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে দুই সিটিতে মোট ১৮টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৪০ হাজার সদস্য ভোটে মাঠে থাকবে। কেন্দ্রভিত্তিক সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবে। এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে র্যাব, বিজিবি থাকবেন। কেন্দ্রে সংখ্যা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এছাড়া ২২টি নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থার ১ হাজার ১৩ জনকে ভোট পর্যবেক্ষণ করার অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ৫০৩ জন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৪৫৭ জন পর্যবেক্ষক থাকবেন। আর কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন ৫৩ জন। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাড়ে সাতশ’ প্রার্থীর এ ভোটে প্রচারণা শেষ হবে ৩০শে জানুয়ারি। ২২ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণার পর ১০ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩৫ হাজার ইভিএম। ইতোমধ্যে মেশিনগুলো রির্টানিং কর্মকর্তাদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। দুই সিটিতে এবার ১৩ জন মেয়র প্রার্থীর সঙ্গে ৭৪৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী লড়ছেন। মেয়র পদে ৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে দক্ষিণে ৭ জন ও উত্তরে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ গেজেট অনুযায়ি ঢাকার দুই সিটিতে মোট ভোটার ৫৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬৯ জন। নতুন ইউনিয়নসহ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশ (ডিএনসিসি) এলাকায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৭ জন ও মহিলা ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৭০৬ জন। এই সিটিতে মোট সাধারণ ওয়ার্ড ৫৪ টি, সংরক্ষিত, ১৮ টি। মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৩ হাজার ১৮টি, ভোটকক্ষ ৭ হাজার ৮৪৬ টি। দক্ষিণ সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৪৪১ জন ও মহিলা ১১ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫৩ জন। এই সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ড ৭৫টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ২৫টি। মোট ভোট কেন্দ্র ১ হাজার ১৫০টি ও ভোট কক্ষ ৬ হাজার ৫৮৮টি।