প্রথম পাতা

ব্যাটসম্যানদের অ্যাটিচুড নিয়ে প্রশ্ন

স্পোর্টস রিপোর্টার

২৫ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার, ৯:২৩ পূর্বাহ্ন

বঙ্গবন্ধু বিপিএল’র সুবাদে গত এক মাস টি-টোয়েন্টি চর্চায় কাটিয়েছে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টে সেরা পারফর্মারদের নিয়েই পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গেছে বাংলাদেশ। কিন্তু গতকাল লাহোরে প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে তামিম-মাহমুদুল্লাহদের ব্যাটিং ছিল হতাশাজনক। তাদের শরীরী ভাষায় মনে হয়নি টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেছেন। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মন্থর গতিতে ইনিংস শুরু। যদিও ওপেনিং জুটিতে আসে ৭১ রান। কিন্তু সেটি ৬৬ বলে। পরে সর্বোচ্চ জুটি ২৭ রানের। ৫ উইকেট হারালেও তাই বাংলাদেশকে থামতে হয় ১৪১ রানে। জবাবে নিজেদের চেনা কন্ডিশনে লক্ষ্যটা ৩ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় পাকিস্তান। ৪৫ বলে ৫৮ রানের হার না মানা ইনিংসে ব্যবধান গড়ে দেন অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিপিএল’র শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খেলেছেন তিনিও। রাজশাহী রয়্যালসের হয়ে জিতেছেন শিরোপা। এমন উইকেটে কীভাবে খেলতে হয় তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন তিনি। মালিকের ৫৮ রানের ইনিংসে চার মাত্র ৫টি। স্ট্রাইকরেট ১২৮.৮৮। যেখানে বাংলাদেশের প্রথম সারির তিন ব্যাটসম্যানের কারোরই স্ট্রাইকরেট ১২০-ও ছুঁয়নি। সর্বোচ্চ ১১৪ ছিল তামিম ইকবালের। চারে নামা মাহমদুল্লাহর স্ট্রাইকরেট ১৩৫.৭১। বল হাতে পাকিস্তানি বোলাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৬ রান দিয়েছেন মোহাম্মদ হাসনাইন। বাংলাদেশের সেরা বোলার মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে খরচ করেন ৪০ রান। যদিও একটি উইকেট পেয়েছেন। কিন্তু তার বোলিংটা অন্য দুই পেসার শফিউল ইসলাম ও আল আমিনের মতো হলে ম্যাচের ফল ভিন্ন হতে পারতো। শফিউল ৪ ওভারে দেন ২৭ রানে নেন ২ উইকেট। ৪ ওভারে ১৮ রানে আল আমিনের শিকার এক উইকেট। এমনকি লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবও কম খরুচে ছিলেন মোস্তাফিজের চেয়ে। ২৮ রানে তার শিকার ১ উইকেট।

১৪১ রানের পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ের শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ের সেরা ব্যাটসম্যান বাবর আজমকে (০) তুলে নেন শফিউল। দলীয় ৩৫ রানে মোস্তাফিজুর রহমানের কাটারে কাটা পড়েন মোহাম্মদ হাফিজ (১৭)। চারে নামা শোয়েব মালিকের সঙ্গে জুটি গড়ে পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরান অভিষিক্ত আহসান আলী (৩৬)। দলীয় ৮১ রানে তাকে নাজমুল হোসেন শান্ত’র ক্যাচ বানিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দেন লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। তবে মালিককে দমানো যায়নি। ইফতিখার আহমেদের সঙ্গে ৩৬ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন তিনি। দলীয় ১১৭ রানে ইফতিখারকে শফিউল ফেরালে আশা জাগে বাংলাদেশ শিবিরে। জয়ের জন্য তখন ৩ ওভারে ১৯ রান প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের। মোস্তাফিজের করা ১৮তম ওভারে ১০ রান নিয়ে সমীকরণটা আরো সহজ করে ফেলেন মালিক-ইমাদ ওয়াসিম। ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই ইমাদকে (৬) বোল্ড করেন আল আমিন। ওই ওভারে ৪ রান দেন আল আমিন। ম্যাচ গড়ায় শেষ ওভারে। সৌম্য সরকারের প্রথম বলে ২ রান নেন মালিক। দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল। তৃতীয় বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচ ছাড়েন মিঠুন। ২ রান নিয়ে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন রিজওয়ান। ৪৫ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন মালিক।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দুই ওপেনারের ব্যাটে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ও নাঈম শেখের ব্যাটে ৭১ রানের ওপেনিং জুটি পায় টাইগাররা। যদিও তাদের ব্যাটিং ঠিক টি-টোয়েন্টি সুলভ ছিল না। তামিমের বিদায়ে ভাঙে এ জুটি। ৩৪ বলে চার বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৩৯ রান করে রানআউটে কাটা পড়েন তিনি। দলীয় ৯৮ রানে লিটস দাসও (১২) রান আউট হয়ে ফেরেন সাজঘরে। পরের বলে মোহাম্মদ নাঈম শেখকে আউট হন শাদাব খান। ৪১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কা নাঈম করেন ৪৩ রান। ইনিংসের শেষ ৩২ বল থেকে ৪৩ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। বিপিএলে দারুণ ব্যাটিং করা আফিফ হোসেন ধ্রুব (৯) হতাশ করেন। তাকে ফিরিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম উইকেটের দেখা পান অভিষিক্ত পেসার হারিস রউফ। ছয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ বলে ৭ রান করে শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে বোল্ড হন সৌম্য সরকার। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর ১৪ বলে ১৯* ও মোহাম্মদ মিঠুনের ৩ বলে ৫ রানের সুবাদে ১৪১ রানের পুঁজি গড়ে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের হয়ে একটি করে উইকেট নেন শাদাব খান, শাহীন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফ।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status