দেশ বিদেশ
ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদন
কাশ্মীরে গণভোট দিতে তৈরি পাকিস্তান- ইমরান খান
১৮ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার, ৮:৩১ পূর্বাহ্ন
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বাসিন্দারা কি পাকিস্তানের সঙ্গে থাকতে চান, নাকি স্বাধীনতা চান, সে ব্যাপারে তাদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে দেয়া উচিত। বুধবার ডয়চে ভেলেকে বলেন তিনি। একই প্রশ্নে কাশ্মীরে গণভোট দিতেও পাকিস্তান প্রস্তুত বলে ডয়চে ভেলের প্রধান সম্পাদক ইনেস পোলকে জানান ইমরান খান।
গত বছর আগস্টে ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে। এ প্রসঙ্গে ইমরান খান বলেন, ভারতে এখন আরএসএস-এর (রাষ্ট্রীয় স্বেচ্ছাসেবক সংঘ) ‘হিন্দুত্ববাদী’ ভাবাদর্শের জয়জয়কার। তিনি বলেন, আরএসএস জার্মানির নাৎসিদের দ্বারা অনুপ্রাণিত। আর নাৎসিদের জন্ম হয়েছিল সংখ্যালঘুদের প্রতি ঘৃণা থেকে। তেমনিভাবে আরএসএস মতাদর্শও মুসলমানসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের প্রতি ঘৃণার উপর দাঁড়িয়ে আছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা ভারত ও তার প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য একটি ট্র্যাজেডি যে, ভারত এখন আরএসএস দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো না থাকার অভিযোগ তোলা হলে ইমরান খান বিশ্বের যে কোনো নাগরিককে প্রথমে সেখানে যাওয়ার আহ্বান জানান। এরপর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গিয়ে দুই অঞ্চলের তুলনা করে নিজেই সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। ইমরান খান বলেন, হংকংয়ে বিক্ষোভের চেয়ে কাশ্মীর ট্র্যাজেডি অনেক বড় ঘটনা হলেও বিশ্ব গণমাধ্যমে তা বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে না। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে, পশ্চিমাদের কাছে বাণিজ্যিক স্বার্থ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভারত একটি বড় বাজার। তাই কাশ্মীরের প্রায় ৮০ লাখ মানুষ ও ভারতে সংখ্যালঘুদের প্রতি কী ঘটছে, তা নিয়ে পশ্চিমাদের বেশি প্রতিক্রিয়াশীল হতে দেখা যায় না। ভারতে সমপ্রতি পাস হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সে দেশের সংখ্যালঘু, বিশেষ করে ২০ কোটি মুসলমানের, পুরোপুরি বিপক্ষে হলেও শুধুমাত্র বাণিজ্যিক কারণে বিশ্ববাসী চুপ রয়েছে। ভারত ও কাশ্মীরের মানবাধিকার পরিস্থিতির কট্টর সমালোচক হলেও চীনে উইগুর মুসলমানদের পরিস্থিতি নিয়ে ততটা সমালোচনা না করার কারণও জানতে চাওয়া হয়েছিল ইমরান খানের কাছে। তিনি বলেন, এর মূল কারণ দু’টি। প্রথমত, ভারতে যা ঘটছে, তার সঙ্গে চীনে উইঘুরদের সঙ্গে যা করা হচ্ছে, তার তুলনা করা যাবে না। দ্বিতীয়ত, চীন পাকিস্তানের খুবই ভালো বন্ধু। পাকিস্তানের সবচেয়ে কঠিন অর্থনৈতিক সংকটে চীন সহায়তা করেছে। ফলে এই বিষয়গুলো চীনের সঙ্গে গোপনে আলোচনা করা হয়, প্রকাশ্যে নয়। কারণ বিষয়গুলো স্পর্শকাতর।
গত বছর আগস্টে ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে। এ প্রসঙ্গে ইমরান খান বলেন, ভারতে এখন আরএসএস-এর (রাষ্ট্রীয় স্বেচ্ছাসেবক সংঘ) ‘হিন্দুত্ববাদী’ ভাবাদর্শের জয়জয়কার। তিনি বলেন, আরএসএস জার্মানির নাৎসিদের দ্বারা অনুপ্রাণিত। আর নাৎসিদের জন্ম হয়েছিল সংখ্যালঘুদের প্রতি ঘৃণা থেকে। তেমনিভাবে আরএসএস মতাদর্শও মুসলমানসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের প্রতি ঘৃণার উপর দাঁড়িয়ে আছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা ভারত ও তার প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য একটি ট্র্যাজেডি যে, ভারত এখন আরএসএস দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো না থাকার অভিযোগ তোলা হলে ইমরান খান বিশ্বের যে কোনো নাগরিককে প্রথমে সেখানে যাওয়ার আহ্বান জানান। এরপর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গিয়ে দুই অঞ্চলের তুলনা করে নিজেই সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। ইমরান খান বলেন, হংকংয়ে বিক্ষোভের চেয়ে কাশ্মীর ট্র্যাজেডি অনেক বড় ঘটনা হলেও বিশ্ব গণমাধ্যমে তা বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে না। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে, পশ্চিমাদের কাছে বাণিজ্যিক স্বার্থ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভারত একটি বড় বাজার। তাই কাশ্মীরের প্রায় ৮০ লাখ মানুষ ও ভারতে সংখ্যালঘুদের প্রতি কী ঘটছে, তা নিয়ে পশ্চিমাদের বেশি প্রতিক্রিয়াশীল হতে দেখা যায় না। ভারতে সমপ্রতি পাস হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সে দেশের সংখ্যালঘু, বিশেষ করে ২০ কোটি মুসলমানের, পুরোপুরি বিপক্ষে হলেও শুধুমাত্র বাণিজ্যিক কারণে বিশ্ববাসী চুপ রয়েছে। ভারত ও কাশ্মীরের মানবাধিকার পরিস্থিতির কট্টর সমালোচক হলেও চীনে উইগুর মুসলমানদের পরিস্থিতি নিয়ে ততটা সমালোচনা না করার কারণও জানতে চাওয়া হয়েছিল ইমরান খানের কাছে। তিনি বলেন, এর মূল কারণ দু’টি। প্রথমত, ভারতে যা ঘটছে, তার সঙ্গে চীনে উইঘুরদের সঙ্গে যা করা হচ্ছে, তার তুলনা করা যাবে না। দ্বিতীয়ত, চীন পাকিস্তানের খুবই ভালো বন্ধু। পাকিস্তানের সবচেয়ে কঠিন অর্থনৈতিক সংকটে চীন সহায়তা করেছে। ফলে এই বিষয়গুলো চীনের সঙ্গে গোপনে আলোচনা করা হয়, প্রকাশ্যে নয়। কারণ বিষয়গুলো স্পর্শকাতর।