বাংলারজমিন
ভিক্ষুক বুলবুলির কম্বল চুরি
উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি
১৪ জানুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ৮:২৫ পূর্বাহ্ন
ভিক্ষুক বুলবুলি বেগমের চাল, শাড়ি আর শীতের কম্বল চুরি হয়ে গেছে। এখন আছে শুধু খড়ের বিছানা। এখন অন্যের কাছে কাপড় ধার করে গায়ে জড়িয়েছি। দু’চোখে পানি নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে ভিক্ষে করছেন শহরে। তার আফসোস, চোরে কী আর গেরস্থ বাড়ি চোখে দেখলো না? গাইবান্ধার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের রামনাথের ভিটা নামক গ্রামে বুলবুলি বেগমের বাস। বয়স আশির কোঠায়। তাই কোনো মতো চলতে পারেন। সামান্য জায়গা ছিলো কিন্তু ঘর ছিলো না। তাই দেখে সরকার দয়া করে রাস্তার পাশে তার জমিটি প্রকল্পের আওতায় নেন। জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পের আওতায় এনে বুলবুলি বেগমের ভাগ্যে জোটে একটি দালান বাড়ি।
৩০ বছর আগে স্বামী মকবুল হোসেন মারা যাওয়ার পর খেকে বুলবুলি বেগম একা। তাই একাই ভিক্ষে করে পেটের ভাত যোগান আর সরকারি বাড়িতে থাকেন। ভিক্ষে করলেও দালান ঘরে শুয়ে অনেক সুখেই কাটছিলো বুলবুলি বেগমের জীবন। কিন্তু তার সুখ বেশিদিন কপালে সয়নি। গত বন্যায় ব্রহ্মপুত্র নদের বাঁধ ভেঙে পানির প্রবল স্রোত আঘাত হানে গাইবান্ধার বাদিয়াখালী সড়কের রামনাথের ভিটার রাস্তায়। আর কি থাকে। স্রোতের তোড়ে ভেসে যায় বুলবুলি বেগমের সরকারি বাড়ি। সেই থেকে বুলবুলি বেগম আগের মতোই আবার ঘরহীন হয়ে যায়। বাড়ির টিন থেকে শুরু করে কোনো চিহ্ন খুঁজে পায়নি সে। সব ধ্বংস হয়ে যায়। সেই থেকে বুলবুলির ঠাই হয় রাস্তার পাশে তৌহিদুল মিয়ার বাড়ির বারান্দায়। সঙ্গে থাকে অন্যের দেয়া দু’টো কম্বল, পরনের দু’টি কাপড়, থালা ১টি, আর অন্যান্য জিনিস নিয়ে বারান্দার কোণে কোনোমতো গুটিয়ে থাকতেন। গত বৃহস্পতিবার ভিক্ষে করতে আসেন গাইবান্ধা শহরে। ফিরে গিয়ে দেখেন বুলবুলির চাল, পরনের কাপড় আর কম্বল দু’টো চুরি হয়ে গেছে। অনেক কান্নাকাটি করে গ্রামের সবাইকে বিচার দিয়েছে। শুনে সবাই আফসোস করলেও তাকে কেউ খড় ছাড়া শীতের কম্বল বা পরনের কাপড় দেয়নি। তাই অন্যের কাছে পরনের শাড়ি ধার নিয়ে আবার ভিক্ষে করতে এসেছেন শহরে। বুলবুুলি বেগম বলেন, মুই ভিক্ষা নিব্যারনুম। চাউল দিলে দেও। তারপর তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বর্ণনা করলেন কেঁদে কেঁদে। পরনের কাপড়টি দেখিয়ে বললেন কাপড় হাওলাত করি নিয়া পরি আচ্চি। বাড়িত যায়া খুলি দেয়া নাগবে। রাতত থাকি পলের মদ্যে। খেতা আর পলে (খড়) কি শীত মেটে বাবা?
৩০ বছর আগে স্বামী মকবুল হোসেন মারা যাওয়ার পর খেকে বুলবুলি বেগম একা। তাই একাই ভিক্ষে করে পেটের ভাত যোগান আর সরকারি বাড়িতে থাকেন। ভিক্ষে করলেও দালান ঘরে শুয়ে অনেক সুখেই কাটছিলো বুলবুলি বেগমের জীবন। কিন্তু তার সুখ বেশিদিন কপালে সয়নি। গত বন্যায় ব্রহ্মপুত্র নদের বাঁধ ভেঙে পানির প্রবল স্রোত আঘাত হানে গাইবান্ধার বাদিয়াখালী সড়কের রামনাথের ভিটার রাস্তায়। আর কি থাকে। স্রোতের তোড়ে ভেসে যায় বুলবুলি বেগমের সরকারি বাড়ি। সেই থেকে বুলবুলি বেগম আগের মতোই আবার ঘরহীন হয়ে যায়। বাড়ির টিন থেকে শুরু করে কোনো চিহ্ন খুঁজে পায়নি সে। সব ধ্বংস হয়ে যায়। সেই থেকে বুলবুলির ঠাই হয় রাস্তার পাশে তৌহিদুল মিয়ার বাড়ির বারান্দায়। সঙ্গে থাকে অন্যের দেয়া দু’টো কম্বল, পরনের দু’টি কাপড়, থালা ১টি, আর অন্যান্য জিনিস নিয়ে বারান্দার কোণে কোনোমতো গুটিয়ে থাকতেন। গত বৃহস্পতিবার ভিক্ষে করতে আসেন গাইবান্ধা শহরে। ফিরে গিয়ে দেখেন বুলবুলির চাল, পরনের কাপড় আর কম্বল দু’টো চুরি হয়ে গেছে। অনেক কান্নাকাটি করে গ্রামের সবাইকে বিচার দিয়েছে। শুনে সবাই আফসোস করলেও তাকে কেউ খড় ছাড়া শীতের কম্বল বা পরনের কাপড় দেয়নি। তাই অন্যের কাছে পরনের শাড়ি ধার নিয়ে আবার ভিক্ষে করতে এসেছেন শহরে। বুলবুুলি বেগম বলেন, মুই ভিক্ষা নিব্যারনুম। চাউল দিলে দেও। তারপর তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বর্ণনা করলেন কেঁদে কেঁদে। পরনের কাপড়টি দেখিয়ে বললেন কাপড় হাওলাত করি নিয়া পরি আচ্চি। বাড়িত যায়া খুলি দেয়া নাগবে। রাতত থাকি পলের মদ্যে। খেতা আর পলে (খড়) কি শীত মেটে বাবা?