শেষের পাতা
অবৈধ সম্পদ অর্জন
গণপূর্তের ১১ প্রকৌশলীকে তলব করলো দুদক
স্টাফ রিপোর্টার
১১ ডিসেম্বর ২০১৯, বুধবার, ৯:৩৫ পূর্বাহ্ন
গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎপল কুমার দেসহ ১১ জনকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সংস্থাটি থেকে পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের স্বাক্ষর করা এক নোটিশে তাদের তলব করা হয়।
দুদক জানায়, তলব করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ক্যাসিনোর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার ‘টেন্ডার মুঘল’ খ্যাত গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
দুদকের পাঠানো ওই নোটিশে, গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎপল কুমার দে, দুই তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রোকনউদ্দিন উদ্দিন ও আবদুল মোমেন চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন চাকমাকে ১৮ই ডিসেম্বর সকালে দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে। নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শওকত উল্লাহ, মোহাম্মদ ফজলুল হক, আবদুর কাদের চৌধুরী ও মো. আফসার উদ্দিনকে ১৯শে ডিসেম্বর হাজির হতে বলা হয়েছে। এছাড়া নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইলিয়াস আহমেদ, ফজলুল হক ও উপসহকারী প্রকৌশলী আলী আকবর সরকারকে তলব করা হয়েছে ২৩শে ডিসেম্বর।
চিঠিতে বলা হয়, জি কে শামীমসহ অন্যান্য ঠিকাদার ও তাদের বিভিন্ন কাজের অনিয়ম, সরকারি কর্মকর্তাদের শত শত কোটি টাকা ঘুষ লেনদেন এবং ক্যাসিনো ব্যবসা করে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিদেশে অর্থ পাচার অভিযোগ অনুসন্ধান কার্যক্রমে তাদের বক্তব্য প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বর মাসে সরকার ঘোষিত শুদ্ধি অভিযানে গ্রেপ্তার হন জি কে শামীম। গ্রেপ্তারের পরপর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নানা জিজ্ঞাসাবাদে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের কথা স্বীকার করেন তিনি। কিছুদিন পরেই অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জি কে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎপল কুমার দেসহ অন্তত ১৫প্রকৌশলীর যোগসাজশে টেন্ডার বাণিজ্যে সম্পৃক্ত থাকার কথা জানান। জি কে শামীম টেন্ডার পেতে ও প্রকল্পের ব্যয় বাড়াতে ওইসব প্রকৌশলীদের মোটা অংকের ঘুষ দিতেন বলেও জানা যায়।
দুদক সূত্র জানায়, এসব প্রকৌশলীদের বিষয়ে অনুসন্ধানে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। দেশ ও দেশের বাইরে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন একেকজন। শুধু তাই নয়, একাধিক প্রকৌশলী মোটা অংকের টাকা বিদেশে পাচার করার তথ্যও রয়েছে সংস্থাটির হাতে। এসব তথ্য যাচাই ও অনুসন্ধানের অংশ হিসেবেই ওই ১১ জনকে তলব করেছে দুদক।
সংস্থাটির আরেকটি সূত্র জানায়, জি কে শামীমকে টেন্ডার পাইয়ে দিতে শুধু এই ১১জনই সহায়তা করেননি। এই তালিকায় আরো বেশ কয়েকজন প্রকৌশলীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল। বিশেষ করে গণপূর্তের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হাইয়ের সঙ্গে সিন্ডিকেট করে শত শত কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের কাজ বাগিয়ে নিয়েছেন জি কে শামীম। উল্লেখ্য, গত ১৮ই সেপ্টেম্বর থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা গ্রেপ্তার হন। এই ধারাবাহিকতায় ৩০শে সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। এই শুদ্ধি অভিযানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১৬টি মামলা দায়ের করে দুদক। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা হলেন, ঠিকাদার জি কে শামীম, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূইয়া, অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধান, বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ভূইয়া, কলাবাগান ক্লাবে সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ, কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান, তারেকুজ্জামান রাজীব, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, এনামুল হক আরমান, যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন, কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ, যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক আনিসুর রহমান ও তার স্ত্রী সুমি রহমান। তাদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করে দুদক। কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি দল অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছেন। অপর সদস্যরা হলেন, উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, আতাউর রহমান ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।
দুদক জানায়, তলব করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ক্যাসিনোর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার ‘টেন্ডার মুঘল’ খ্যাত গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
দুদকের পাঠানো ওই নোটিশে, গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎপল কুমার দে, দুই তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রোকনউদ্দিন উদ্দিন ও আবদুল মোমেন চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন চাকমাকে ১৮ই ডিসেম্বর সকালে দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে। নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শওকত উল্লাহ, মোহাম্মদ ফজলুল হক, আবদুর কাদের চৌধুরী ও মো. আফসার উদ্দিনকে ১৯শে ডিসেম্বর হাজির হতে বলা হয়েছে। এছাড়া নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইলিয়াস আহমেদ, ফজলুল হক ও উপসহকারী প্রকৌশলী আলী আকবর সরকারকে তলব করা হয়েছে ২৩শে ডিসেম্বর।
চিঠিতে বলা হয়, জি কে শামীমসহ অন্যান্য ঠিকাদার ও তাদের বিভিন্ন কাজের অনিয়ম, সরকারি কর্মকর্তাদের শত শত কোটি টাকা ঘুষ লেনদেন এবং ক্যাসিনো ব্যবসা করে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিদেশে অর্থ পাচার অভিযোগ অনুসন্ধান কার্যক্রমে তাদের বক্তব্য প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বর মাসে সরকার ঘোষিত শুদ্ধি অভিযানে গ্রেপ্তার হন জি কে শামীম। গ্রেপ্তারের পরপর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নানা জিজ্ঞাসাবাদে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের কথা স্বীকার করেন তিনি। কিছুদিন পরেই অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জি কে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎপল কুমার দেসহ অন্তত ১৫প্রকৌশলীর যোগসাজশে টেন্ডার বাণিজ্যে সম্পৃক্ত থাকার কথা জানান। জি কে শামীম টেন্ডার পেতে ও প্রকল্পের ব্যয় বাড়াতে ওইসব প্রকৌশলীদের মোটা অংকের ঘুষ দিতেন বলেও জানা যায়।
দুদক সূত্র জানায়, এসব প্রকৌশলীদের বিষয়ে অনুসন্ধানে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। দেশ ও দেশের বাইরে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন একেকজন। শুধু তাই নয়, একাধিক প্রকৌশলী মোটা অংকের টাকা বিদেশে পাচার করার তথ্যও রয়েছে সংস্থাটির হাতে। এসব তথ্য যাচাই ও অনুসন্ধানের অংশ হিসেবেই ওই ১১ জনকে তলব করেছে দুদক।
সংস্থাটির আরেকটি সূত্র জানায়, জি কে শামীমকে টেন্ডার পাইয়ে দিতে শুধু এই ১১জনই সহায়তা করেননি। এই তালিকায় আরো বেশ কয়েকজন প্রকৌশলীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল। বিশেষ করে গণপূর্তের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হাইয়ের সঙ্গে সিন্ডিকেট করে শত শত কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের কাজ বাগিয়ে নিয়েছেন জি কে শামীম। উল্লেখ্য, গত ১৮ই সেপ্টেম্বর থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা গ্রেপ্তার হন। এই ধারাবাহিকতায় ৩০শে সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। এই শুদ্ধি অভিযানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১৬টি মামলা দায়ের করে দুদক। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা হলেন, ঠিকাদার জি কে শামীম, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূইয়া, অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধান, বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ভূইয়া, কলাবাগান ক্লাবে সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ, কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান, তারেকুজ্জামান রাজীব, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, এনামুল হক আরমান, যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন, কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ, যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক আনিসুর রহমান ও তার স্ত্রী সুমি রহমান। তাদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করে দুদক। কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি দল অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছেন। অপর সদস্যরা হলেন, উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, আতাউর রহমান ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।