শেষের পাতা
বিদ্যুতের দাম বাড়ানো নিয়ে গণশুনানি চলতি সপ্তাহে
ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
২৩ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার, ৯:১২ পূর্বাহ্ন
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখী বাজারে নতুন করে আরেক দফা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের উপর গণশুনানি শুরু হচ্ছে চলতি সপ্তাহে। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিতরণ কোম্পানিগুলো। এই প্রস্তাব নিয়ে ২৮শে নভেম্বর থেকে গণশুনানি শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এর ফলে বর্ধিত দাম আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে শুরুর সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। এর আগে চলতি বছরের মার্চে তিনদিনের গণশুনানি শেষে ১লা জুলাই থেকে গ্যাসের নতুন মূল্যেও ঘোষণা দিয়েছিল বিইআরসি।
বিইআরসি জানায়, পিডিবি পাইকারি ও খুচরা, পিজিসিবি সঞ্চালন মূল্যহার ও সব বিতরণ কোম্পানি বিদ্যুতের খুচরা মূল্যহার পরিবর্তনের জন্য কমিশনে আবেদন জমা দিয়েছে। কমিশন সূত্র জানায়, ২৮শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত পিডিবি প্রস্তাবিত পাইকারি মূল্যহার পরিবর্তনের ওপর গণশুনানি হবে। এরপর দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)-এর প্রস্তাবিত সঞ্চালন মূল্যহার পরিবর্তন নিয়ে শুনানি হবে। ১লা ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে গ্রাহক-পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবিত দামের ওপর শুনানি। ১লা ডিসেম্বর সকাল ১০টায় শুরু হবে পিডিবির গ্রাহক-পর্যায়ের মূল্যহার পরিবর্তনের ওপর শুনানি। একই দিন দুপুর ২টায় শুরু হবে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের ( নেসকো) শুনানি। ২রা ডিসেম্বর সকালে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) এবং দুপুরে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো)-এর শুনানি। এরপর ৩রা ডিসেম্বর সকালে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) এবং দুপুরে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো)-এর গ্রাহক-পর্যায়ে মূল্যহার পরিবর্তনের ওপর গণশুনানি।
গত ২৩শে অক্টোবর তারা এই আবেদন কমিশনের কাছে জমা দেয়। আবেদনে পিডিবি জানায়, ২০২০ সালে বিদ্যুৎ বিক্রি করে আয় হতে পারে ৩৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। কিন্তু ওই সময় প্রয়োজন হবে ৪৫ হাজার ২০৮ কোটি টাকা। ফলে বাকি আট হাজার ৬০৮ কোটি টাকা পূরণে মূল্য সমন্বয় করতে কমিশনের কাছে অনুরোধ জানায় তারা। একইভাবে তারা প্রস্তাবিত পাইকারি বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয় করা হলে খুচরা মূল্যের ওপর কমিশনের আইন অনুযায়ী সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করে। একইসঙ্গে গ্রাহক-পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয়ের প্রস্তাব দেয় ডেসকো, ডিপিডিসি, নেসকো, আরইবি ও ওজোপাডিকো। সঞ্চালন চার্জ সমন্বয়ের প্রস্তাব দেয় পিজিসিবিও। বিতরণ কোম্পানিগুলো তাদের আবেদনে কত মূল্য বাড়ানো হবে এমন কিছু উল্লেখ না করে বিভিন্ন পরিচালন-ব্যয় বৃদ্ধি বিবেচনায় ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে বিদ্যুতের পাইকারি মূল্যহার বাড়ালে যে হারে পাইকারি মূল্যহার বাড়বে, সেভাবে কোম্পানিগুলোর বিদ্যুতের খুচরা মূল্য বাড়ানোর বিষয়টি কমিশনের বিবেচনার অনুরোধ জানায়।
সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২৩শে নভেম্বর গ্রাহক-পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো হয়। তখন ইউনিটপ্রতি ৩৫ পয়সা বা পাঁচ দশমিক তিন শতাংশ হারে দাম বাড়ানো হয়, যা একই বছরের ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করা হয়। কিন্তু ওই সময় পাইকারি বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো হয়নি। সর্বশেষ ২০১৫ সালে পাইকারি বিদ্যুতের দাম ১৮ দশমিক ১২ শতাংশ বাড়ানো হয়। দুই বছরের মাথায় এসে আবারও দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তবে, এভাবে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর বিরোধিতা করছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, বিদ্যুতের এই ক্যাপাসিটি চার্জের দায় পুরোপুরি সরকারের। কিন্তু সরকার বিদ্যুতের মূল্য বাড়িয়ে পুরো দায় সাধারণ মানুষের ঘাড়ে চাপাচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলেও মনে করছেন তারা। বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, অপরিকল্পিতভাবে উৎপাদনের ফলে বাড়ছে বিদ্যুতের খরচ।
বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ঠিক সময়ে না আসার কারণ খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তিনি বলেন, সরকারের উচিত সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে দরকার হলে বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা আবারও পর্যালোচনা করে বড় ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিষয়ে মনোযোগী হওয়া। না হলে ভবিষ্যতেও ক্যাপাসিটি চার্জ বাড়তেই থাকবে। পাশাপাশি বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাবও আসতে থাকবে। সমপ্রতি এক অনুষ্ঠান শেষে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের কাছে বিদ্যুতের দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পিডিবি সরকারের ভর্তুকি থেকে বের হয়ে আসতে চাইছে। এজন্য তারা বিইআরসির কাছে প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি বলেন, ভর্তুকি কমাতে হলে বিদ্যুতের দামের বিষয়টি সামনে চলে আসবে। কোম্পানিগুলো কমিশনের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে। এখন কমিশন সহনীয় পর্যায়ে রেখে মূল্য সমন্বয় করবে বলে সরকার আশা করছে।
বিইআরসি জানায়, পিডিবি পাইকারি ও খুচরা, পিজিসিবি সঞ্চালন মূল্যহার ও সব বিতরণ কোম্পানি বিদ্যুতের খুচরা মূল্যহার পরিবর্তনের জন্য কমিশনে আবেদন জমা দিয়েছে। কমিশন সূত্র জানায়, ২৮শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত পিডিবি প্রস্তাবিত পাইকারি মূল্যহার পরিবর্তনের ওপর গণশুনানি হবে। এরপর দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)-এর প্রস্তাবিত সঞ্চালন মূল্যহার পরিবর্তন নিয়ে শুনানি হবে। ১লা ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে গ্রাহক-পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবিত দামের ওপর শুনানি। ১লা ডিসেম্বর সকাল ১০টায় শুরু হবে পিডিবির গ্রাহক-পর্যায়ের মূল্যহার পরিবর্তনের ওপর শুনানি। একই দিন দুপুর ২টায় শুরু হবে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের ( নেসকো) শুনানি। ২রা ডিসেম্বর সকালে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) এবং দুপুরে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো)-এর শুনানি। এরপর ৩রা ডিসেম্বর সকালে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) এবং দুপুরে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো)-এর গ্রাহক-পর্যায়ে মূল্যহার পরিবর্তনের ওপর গণশুনানি।
গত ২৩শে অক্টোবর তারা এই আবেদন কমিশনের কাছে জমা দেয়। আবেদনে পিডিবি জানায়, ২০২০ সালে বিদ্যুৎ বিক্রি করে আয় হতে পারে ৩৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। কিন্তু ওই সময় প্রয়োজন হবে ৪৫ হাজার ২০৮ কোটি টাকা। ফলে বাকি আট হাজার ৬০৮ কোটি টাকা পূরণে মূল্য সমন্বয় করতে কমিশনের কাছে অনুরোধ জানায় তারা। একইভাবে তারা প্রস্তাবিত পাইকারি বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয় করা হলে খুচরা মূল্যের ওপর কমিশনের আইন অনুযায়ী সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করে। একইসঙ্গে গ্রাহক-পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয়ের প্রস্তাব দেয় ডেসকো, ডিপিডিসি, নেসকো, আরইবি ও ওজোপাডিকো। সঞ্চালন চার্জ সমন্বয়ের প্রস্তাব দেয় পিজিসিবিও। বিতরণ কোম্পানিগুলো তাদের আবেদনে কত মূল্য বাড়ানো হবে এমন কিছু উল্লেখ না করে বিভিন্ন পরিচালন-ব্যয় বৃদ্ধি বিবেচনায় ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে বিদ্যুতের পাইকারি মূল্যহার বাড়ালে যে হারে পাইকারি মূল্যহার বাড়বে, সেভাবে কোম্পানিগুলোর বিদ্যুতের খুচরা মূল্য বাড়ানোর বিষয়টি কমিশনের বিবেচনার অনুরোধ জানায়।
সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২৩শে নভেম্বর গ্রাহক-পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো হয়। তখন ইউনিটপ্রতি ৩৫ পয়সা বা পাঁচ দশমিক তিন শতাংশ হারে দাম বাড়ানো হয়, যা একই বছরের ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করা হয়। কিন্তু ওই সময় পাইকারি বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো হয়নি। সর্বশেষ ২০১৫ সালে পাইকারি বিদ্যুতের দাম ১৮ দশমিক ১২ শতাংশ বাড়ানো হয়। দুই বছরের মাথায় এসে আবারও দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তবে, এভাবে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর বিরোধিতা করছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, বিদ্যুতের এই ক্যাপাসিটি চার্জের দায় পুরোপুরি সরকারের। কিন্তু সরকার বিদ্যুতের মূল্য বাড়িয়ে পুরো দায় সাধারণ মানুষের ঘাড়ে চাপাচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলেও মনে করছেন তারা। বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, অপরিকল্পিতভাবে উৎপাদনের ফলে বাড়ছে বিদ্যুতের খরচ।
বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ঠিক সময়ে না আসার কারণ খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তিনি বলেন, সরকারের উচিত সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে দরকার হলে বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা আবারও পর্যালোচনা করে বড় ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিষয়ে মনোযোগী হওয়া। না হলে ভবিষ্যতেও ক্যাপাসিটি চার্জ বাড়তেই থাকবে। পাশাপাশি বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাবও আসতে থাকবে। সমপ্রতি এক অনুষ্ঠান শেষে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের কাছে বিদ্যুতের দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পিডিবি সরকারের ভর্তুকি থেকে বের হয়ে আসতে চাইছে। এজন্য তারা বিইআরসির কাছে প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি বলেন, ভর্তুকি কমাতে হলে বিদ্যুতের দামের বিষয়টি সামনে চলে আসবে। কোম্পানিগুলো কমিশনের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে। এখন কমিশন সহনীয় পর্যায়ে রেখে মূল্য সমন্বয় করবে বলে সরকার আশা করছে।