বিশ্বজমিন

বাংলাদেশী অবৈধ ওষুধে ভারতের বাজার সয়লাবের অভিযোগ

মানবজমিন ডেস্ক

১৮ নভেম্বর ২০১৯, সোমবার, ১২:১৫ অপরাহ্ন

ভারতের অনলাইন দ্য ইকোনমিক টাইমসে প্রকাশিত এক খবরে দাবি করা হয়েছে, ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত বাংলাদেশী অবৈধ ওষুধে সয়লাব ভারতের স্থানীয় বাজারগুলো। চীন থেকে আমদানি করা কাঁচামাল নিয়ে এতদিন ওষুধ কোম্পানিগুলোর রাতের ঘুম হারাম হয়েছিল। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ ও অন্য প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আমদানি করা অবৈধ ওষুধ। ‘ইলিগ্যাল ক্যান্সার ড্রাগস ফ্রম বাংলাদেশ ফ্লাড লোকাল মার্কেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব কথা লিখেছেন সাংবাদিক রূপালি মুখার্জী। তিনি বলেছেন, এসব অবৈধ ওষুধের কারণে শুধু সরকারই রাজস্ব হারাচ্ছে এমন নয়। পাশাপাশি রোগিদের জীবন আরো ঝুঁকিতে পড়ছে। এ বিষয়ে গবেষণা চালিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ওষুধ বিষয়ক কোম্পানিগুলোও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এতে একটি কালোবাজারের চিত্র ফুটে উঠেছে। বলা হয়েছে এসব ওষুধ যেহেতু পাচার হয়ে ভারতে যায়, তাই এর প্রকৃত পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব নয়।

তবে ধারণা করা হয় শুধু অনকোলজি বিষয়ক ড্রাগ বা ওষুধই কালোবাজারে পাওয়া যেতে পারে কমপক্ষে ৩০০ কোটি রুপির। অনকোলজিস্টদের মতে, এর মধ্যে শতকরা ১২ ভাগই নকল ট্যাবলেট বা ক্যাপস্যুল। এসব ওষুধ কতটা নিরাপদ এবং কতটা কার্যকর তা জানা যায় নি। কারণ, এসব ওষুধ বৈধ কোনো উপায়ে বা পথে আমদানি করে না স্থানীয়রা। উপরন্তু এসব ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দেয়া হয় নি। ড্রাগ কন্ট্রোলারের অনুমোদনও নেই। এটা অনুমেয় যে, এমপ্লয়িস স্টেট ইনস্যুরেন্স করপোরশন এবং সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট হেলথ স্কিমের মতো আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো না জেনেই এসব পণ্য আমদানি করছে। সূত্র বলেছেন, সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে সম্প্রতি আলোচনা করেছে অর্গানাইজেশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল প্রডিউসারস অব ইন্ডিয়া। সদস্য কোম্পানিকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, এ বিষয়ে শিগগিরই পদক্ষেপ নেয়া হবে। একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, এসব ওষুধের বেশির ভাগই প্রস্তুত হয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানিতে। শুধু রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এ ওষুধ। অবৈধ ওষুধ ভারতে প্রবেশে যদি সীমান্ত কড়াকড়ি করা হয় তাহলে এক্ষেত্রে সহায়তা হতে পারে। অন্য ওষুধের মতো ক্যান্সারের ওষুধ খুচরা বিক্রেতারা বিক্রি করেন না। এ ওষুধ বিক্রি করেন ডিস্ট্রিবিউটররা। ফলে এর সঙ্গে জড়িত কারা তাদেরকে চিহ্নিত করা খুবই সহজ। ওষুধের এমন কালোবাজারিতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নোভার্টিস, জাসিন, অ্যাস্ট্রা জেনেকা, তাকেদা এবং ঈসাই-এর মতো প্রতিষ্ঠান। অ্যাস্ত্রা জেনেকার ওসিমার্টিনিবের মতো ওষুধের দাম প্রায় দুই লাখ রুপি। ফাইজারের ক্রাইজোতিনিবের দাম কমপক্ষে এক লাখ রুপি। জাসিনের ইব্রতিনিবের দাম কমপক্ষে ৪ লাখ রুপি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status