প্রথম পাতা
ক্যাসিনো কাণ্ড: দু’মাসে ৫০ অভিযান, এরপর কি?
আল-আমিন
২০১৯-১১-১৭
দুই মাসে ক্যাসিনো ও দুর্নীতিবিরোধী ৫০ টি অভিযান পরিচালনা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশে শুরু হওয়া শুদ্ধি অভিযানে তছনছ হয়ে গেছে ক্যাসিনো ডনদের সাম্রাজ্য। আতঙ্ক ছড়িয়েছে দুর্নীতিবাজদের মাঝে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কাউন্সিল চলমান থাকায় এ অভিযানের গতি এখন কিছুটা শ্লথ। অভিযান শুরুর পর আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ অবস্থায় অভিযানের সামনের গন্তব্য কি- এ নিয়ে কৌতুহল সাধারণ মানুষের মাঝে। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে দুর্নীতি নির্মূল হওয়ার আগ পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র বলছে, তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। সামনে অভিযানের ব্যপ্তি আরও বাড়তে পারে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অভিযুক্ত অনেককে নিয়ে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।
গত ১৮ই সেপ্টেম্বর ঢাকায় প্রথম ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। তারপর একের পর এক ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান চালাতে থাকে র্যাবসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের পর সাধারণ মানুষ নিজ থেকেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনিয়ম-দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তথ্য দিতে থাকে। তাদের তথ্য গোয়েন্দারা তদন্ত করে সত্যতা পায়।
ক্যাসিনো ও দুর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরু থেকে নিয়মিত চললেও মাঝে এসেছে ধীরগতি। সর্বশেষ ৩১শে অক্টোবর র্যাবের অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ময়নুল হক মঞ্জুকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই অভিযানের পর ১৬ দিন পার হয়েছে। এখন অভিযানে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, তাদের কাছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত কার্যক্রম শেষ হলেই পুরোদমে আবার শুরু হবে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান।
র্যাবসহ আইন-শৃখলা বাহিনীর একটি সংস্থার নথি পর্যালোচনা করে জানা যায় যায়, গত ২ মাসে মোট ৫০ ক্যাসিনো ও দুর্নীতি বিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়েছে। তার মধ্যে ৩০টি হচ্ছে র্যাবের। বাকি ২০টি পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা। ১টি অভিযান রয়েছে মাদকদ্রব নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের। ঢাকায় ৩০ টি ও চট্রগ্রামের মোট ১১ টি ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। সূত্র জানায়, ৫০ টি অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন ২৭৫ জন। এরমধ্যে ২২৩ জন ঢাকায়। আর বাকি ৫৩ জন ঢাকার বাইরের অন্য জেলাগুলোতে। গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে অধিকাংশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ২ জন, ঢাকার ৩ কাউন্সিলর, যুবলীগের ৬ জন ও কৃষক লীগের ১ জন । সরকার ও দুদক কর্তৃক দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আছে ৩৪ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ওইসব অভিযানে ৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা নগদ, ১৬৬ কোটি টাকার এফডিআর, ১৩৩ টি বিভিন্ন ব্যাংকের চেক, ৮ কেজি সোনা, ২৭ টি অস্ত্র এবং সাড়ে ৪ হাজার বোতল মদ উদ্ধার করা হয়। অভিযানের ৫ টি মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেছে পুলিশ। অভিযান শুরু হওয়ার পর দুর্নীতি দমন কমিশন ইতোমধ্যেই প্রভাবশালী ২৩ ব্যক্তি ও তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬০০ ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে। এছাড়াও আরও ৫০০ ব্যক্তির বিষয়ে তদন্ত চলমান রেখেছে দুদকসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সংস্থা। ওই ৫০০ বক্তির মধ্যে রয়েছেন সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তাসহ আরও অনেকে। অভিযানের ধীরগতির বিষয়য়ে জানতে চাইলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম মানবজমিনকে জানান, ‘ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশ পেলেই আমরা অভিযান চালাবো।’
সূত্র জানায়, অভিযানের বড় অংশ ঢাকায় চালানো হয়েছে। তবে এবার জেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর। মাঠ পর্যায়ে যারা অল্প সময়ে দুর্নীতি করে হঠাৎ ফুলেফেপে উঠেছেন তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কার্যালয়ে দুর্নীতির যে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে তা ভেঙ্গে দিতে উদ্যোগ নিয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। কারা বিদেশে টাকা পাচার করেছে তাদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দেশের টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, অভিযানের পর কিছুটা সুফল পাওয়া গেছে। তাদের অনেক গডফাদার চুপসে গেছেন। যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের কাছ থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তারা নাম জানতে পেরেছেন। ওই নামের তালিকায় রয়েছেন রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ আরও অনেক ব্যক্তি। তারাও র্যাবসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছেন।
গত ১৮ই সেপ্টেম্বর ঢাকায় প্রথম ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। তারপর একের পর এক ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান চালাতে থাকে র্যাবসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের পর সাধারণ মানুষ নিজ থেকেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনিয়ম-দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তথ্য দিতে থাকে। তাদের তথ্য গোয়েন্দারা তদন্ত করে সত্যতা পায়।
ক্যাসিনো ও দুর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরু থেকে নিয়মিত চললেও মাঝে এসেছে ধীরগতি। সর্বশেষ ৩১শে অক্টোবর র্যাবের অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ময়নুল হক মঞ্জুকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই অভিযানের পর ১৬ দিন পার হয়েছে। এখন অভিযানে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, তাদের কাছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত কার্যক্রম শেষ হলেই পুরোদমে আবার শুরু হবে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান।
র্যাবসহ আইন-শৃখলা বাহিনীর একটি সংস্থার নথি পর্যালোচনা করে জানা যায় যায়, গত ২ মাসে মোট ৫০ ক্যাসিনো ও দুর্নীতি বিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়েছে। তার মধ্যে ৩০টি হচ্ছে র্যাবের। বাকি ২০টি পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা। ১টি অভিযান রয়েছে মাদকদ্রব নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের। ঢাকায় ৩০ টি ও চট্রগ্রামের মোট ১১ টি ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। সূত্র জানায়, ৫০ টি অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন ২৭৫ জন। এরমধ্যে ২২৩ জন ঢাকায়। আর বাকি ৫৩ জন ঢাকার বাইরের অন্য জেলাগুলোতে। গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে অধিকাংশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ২ জন, ঢাকার ৩ কাউন্সিলর, যুবলীগের ৬ জন ও কৃষক লীগের ১ জন । সরকার ও দুদক কর্তৃক দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আছে ৩৪ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ওইসব অভিযানে ৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা নগদ, ১৬৬ কোটি টাকার এফডিআর, ১৩৩ টি বিভিন্ন ব্যাংকের চেক, ৮ কেজি সোনা, ২৭ টি অস্ত্র এবং সাড়ে ৪ হাজার বোতল মদ উদ্ধার করা হয়। অভিযানের ৫ টি মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেছে পুলিশ। অভিযান শুরু হওয়ার পর দুর্নীতি দমন কমিশন ইতোমধ্যেই প্রভাবশালী ২৩ ব্যক্তি ও তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬০০ ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে। এছাড়াও আরও ৫০০ ব্যক্তির বিষয়ে তদন্ত চলমান রেখেছে দুদকসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সংস্থা। ওই ৫০০ বক্তির মধ্যে রয়েছেন সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তাসহ আরও অনেকে। অভিযানের ধীরগতির বিষয়য়ে জানতে চাইলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম মানবজমিনকে জানান, ‘ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশ পেলেই আমরা অভিযান চালাবো।’
সূত্র জানায়, অভিযানের বড় অংশ ঢাকায় চালানো হয়েছে। তবে এবার জেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর। মাঠ পর্যায়ে যারা অল্প সময়ে দুর্নীতি করে হঠাৎ ফুলেফেপে উঠেছেন তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কার্যালয়ে দুর্নীতির যে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে তা ভেঙ্গে দিতে উদ্যোগ নিয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। কারা বিদেশে টাকা পাচার করেছে তাদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দেশের টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, অভিযানের পর কিছুটা সুফল পাওয়া গেছে। তাদের অনেক গডফাদার চুপসে গেছেন। যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের কাছ থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তারা নাম জানতে পেরেছেন। ওই নামের তালিকায় রয়েছেন রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ আরও অনেক ব্যক্তি। তারাও র্যাবসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছেন।