বাংলারজমিন
সুমির জবানিতে সৌদিতে নির্যাতনের বর্ণনা
মো. মাহমুদুল হাসান বাবু, বোদা (পঞ্চগড়) থেকে
১৭ নভেম্বর ২০১৯, রবিবার, ৮:১২ পূর্বাহ্ন
সৌদি আরবে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে ফেরত আসা গৃহকর্মী সুমি আক্তারকে তার বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত শুক্রবার বিকালে বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মাহমুদ হাসানের মাধ্যমে সুমির বাবা রফিকুল ইসলামের নিকট হস্তান্তর করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহকারী পরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, বোদা উপজেলার পাঁচপীর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবীর প্রধান।
এসময় সুমি সৌদিতে থাকা প্রায় সাড়ে পাঁচ মাসে তার ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে সাংবাদিকদের তিনি জানান, আমি যেভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছি, তা সবাই ভিডিওর মাধ্যমেই জেনেছেন। আর নতুন করে কিছু বলতে চাচ্ছি না। ওখানে আমার ওপর কী ধরনের নির্যাতন করা হয়েছে, এটা আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। ‘প্রতি রাতেই শরীরের ওপর চলতো নির্যাতন। প্রতিবাদ করলেই শুরু হতো মারধর। একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়তাম। কিন্তু তাতে তারা থেমে যেতো না। ওই অবস্থায়ই শরীরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তো। জ্ঞান ফিরলে বুঝতে পারতাম সেটা। বাবা-মায়ের নিষেধ অমান্য করেই স্বামী নুরুল ইসলামের প্ররোচনায় পড়ে সৌদিতে পা দেই।
সেখানে যাওয়ার পর প্রথম কর্মস্থলে মালিক মারধর, হাতের তালুতে গরম তেল ঢেলে দেয়া এবং কক্ষে আটকে রাখাসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতন করত। তখন ওই মালিক তাকে না জানিয়ে ইয়েমেন সীমান্ত এলাকা নাজরানের এক ব্যক্তির কাছে প্রায় ২২ হাজার রিয়ালে বিক্রি করে দেন। সুমি জানান, অষ্টম শ্রেণি পাস করার পর দুই বছর আগে ঢাকায় গার্মেন্টে চাকরি নেই। সেখানেই আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকার নুরুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় ও পরে বিয়ে হয়। মা-বাবার নিষেধ অমান্য করেই স্বামীর কথামতো সৌদিতে যাই। ট্রাভেল এজেন্সি ‘রূপসী বাংলা ওভারসিজ’ ভালো কাজের কথা বলে গৃহকর্মীর ভিসায় গত ৩০শে মে আমাকে সেখানে পাঠিয়ে দেয়।’ নির্যাতনের বিবরণ জানতে গতকাল দুপুরে সুমির পৈতৃক বাড়ি বোদা উপজেলা পাঁচপীর ইউনিয়নের সেনপাড়া গ্রামে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। অসুস্থতার অজুহাতে লোকলজ্জার ভয়ে নিজেকে আড়াল করে রেখেছে সুমি। এ বিষয়ে তার মা জানান, আমার মেয়ে শারীরিকভাবে অসুস্থ সে কারণে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে কোন ডাক্তারের চিকিৎসাধীন রয়েছে তা তিনি জানাননি।
এসময় সুমি সৌদিতে থাকা প্রায় সাড়ে পাঁচ মাসে তার ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে সাংবাদিকদের তিনি জানান, আমি যেভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছি, তা সবাই ভিডিওর মাধ্যমেই জেনেছেন। আর নতুন করে কিছু বলতে চাচ্ছি না। ওখানে আমার ওপর কী ধরনের নির্যাতন করা হয়েছে, এটা আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। ‘প্রতি রাতেই শরীরের ওপর চলতো নির্যাতন। প্রতিবাদ করলেই শুরু হতো মারধর। একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়তাম। কিন্তু তাতে তারা থেমে যেতো না। ওই অবস্থায়ই শরীরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তো। জ্ঞান ফিরলে বুঝতে পারতাম সেটা। বাবা-মায়ের নিষেধ অমান্য করেই স্বামী নুরুল ইসলামের প্ররোচনায় পড়ে সৌদিতে পা দেই।
সেখানে যাওয়ার পর প্রথম কর্মস্থলে মালিক মারধর, হাতের তালুতে গরম তেল ঢেলে দেয়া এবং কক্ষে আটকে রাখাসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতন করত। তখন ওই মালিক তাকে না জানিয়ে ইয়েমেন সীমান্ত এলাকা নাজরানের এক ব্যক্তির কাছে প্রায় ২২ হাজার রিয়ালে বিক্রি করে দেন। সুমি জানান, অষ্টম শ্রেণি পাস করার পর দুই বছর আগে ঢাকায় গার্মেন্টে চাকরি নেই। সেখানেই আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকার নুরুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় ও পরে বিয়ে হয়। মা-বাবার নিষেধ অমান্য করেই স্বামীর কথামতো সৌদিতে যাই। ট্রাভেল এজেন্সি ‘রূপসী বাংলা ওভারসিজ’ ভালো কাজের কথা বলে গৃহকর্মীর ভিসায় গত ৩০শে মে আমাকে সেখানে পাঠিয়ে দেয়।’ নির্যাতনের বিবরণ জানতে গতকাল দুপুরে সুমির পৈতৃক বাড়ি বোদা উপজেলা পাঁচপীর ইউনিয়নের সেনপাড়া গ্রামে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। অসুস্থতার অজুহাতে লোকলজ্জার ভয়ে নিজেকে আড়াল করে রেখেছে সুমি। এ বিষয়ে তার মা জানান, আমার মেয়ে শারীরিকভাবে অসুস্থ সে কারণে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে কোন ডাক্তারের চিকিৎসাধীন রয়েছে তা তিনি জানাননি।