অনলাইন
সংসদ সচিবালয়ে ডে কেয়ার সেন্টার নিয়ে আক্ষেপ
কাজী সোহাগ
১৩ নভেম্বর ২০১৯, বুধবার, ৪:৪৫ পূর্বাহ্ন
ঘরজুড়ে ঠান্ডা। চলছে সেন্ট্রাল এসি। আর অফিসের পরিত্যক্ত টেবিলের নিচে মোটা কম্বল দিয়ে ঢাকা রয়েছে ৫ মাস শিশুর শরীর। শেষ এক মাস ঠান্ডাজনিত রোগে ভুগছে শিশুটি। প্রায় একই অবস্থা আরও কয়েক শিশুর। এ চিত্র সংসদ সচিবালয়ের। চাকরির কারনে দুধের শিশুকে নিয়েই অফিস করতে হচ্ছে মাকে। নিজের কাজ আর বাচ্চার তদারকি করতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা তাদের। আবার অনেক মা আছেন যারা শিূশ সন্তানকে বাড়িতে রেখে অফিস করছেন নিয়মিত। সঠিক যত্নের অভাবে ওইসব শিশুদের অবস্থাও শোচনীয়। সংসদ সচিবালয়ে একটি ডে কেয়ার সেন্টার থাকলে এসব সমস্যার সমাধান হতো বলে মনে করছেন শিশুদের মায়েরা। কয়েক বছর আগে বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগ নেয়া হলেও অজানা কারনে তা বাস্তবায়ন হয়নি। কারণ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন,উর্দ্ধতন নীতিনির্ধারকদের অনীহার কারনে এটা সম্ভব হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,সংসদ সচিবালয়ের মাসিক সমন্বয় সভায় বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্তও চূড়ান্ত করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়ন করা হয়নি।
২/৩ বছর আগে এ নিয়ে তোড়জোড় চললেও এখন তা থেমে গেছে। সংসদ সচিবালয়ের বিভিন্ন শাখা ও অধিশাখার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রতি মাসে বৈঠক করে কমন সার্ভিস ও সমন্বয় শাখা। এখানে শতাধিক শাখা ও অধিশাখা রয়েছে। মাসিক সমন্বয় সভায় উপস্থিত থাকেন সব শাখা ও অধিশাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। তাদের বৈঠকেই কয়েক বছর আগে ডে কেয়ার সেন্টার নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এজন্য সংসদ সচিবালয়ের মেডিকেল সেন্টারে স্থান নির্ধারন করেন তারা। জনবল ও পরিবেশ নিয়েও সিদ্ধান্তে পৌছান তারা। কিন্তু উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনীহার কারনে আতুঁড়ঘরেই ওই সিদ্ধান্তের যবনিকাপাত ঘটে। এ প্রসঙ্গে সংসদ সচিবালয়ের কয়েক নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারি নাম প্রকাশ না করার শর্তে মানবজমিনকে বলেন, ১২শ কর্মকর্তা কর্মচারির সংসদ সচিবালয়ের জন্য একটি ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপন করতে না পারাটা দু:খজনক।
এ নিয়ে অনেক কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। ঠিকমতো কাজও করা সম্ভব হচ্ছে না। বাচ্চাকে বাসায় রেখে এসে কাজে মন দেয়াটাও কঠিন। তারা জানান, কাজের সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ডে কেয়ার স্থাপন করা হয় অথচ আমাদের জন্য এটা করা হচ্ছে না। ছোট বাচ্চা নিয়ে অফিস করার বিড়ম্বনার কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। এটা উপলব্ধির বিষয়। স্বাভাবিকভাবেই কর্তৃপক্ষের উচিত ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপন করার। তাই এ নিয়ে দাবি জানানোর কিছু নেই বলে আমরা মনে করি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আন্তরিকভাবে উদ্যোগ নিলেই এটা খুব সহজেই সম্ভব বলে মনে করেন তারা। বিষয়টি নিয়ে সংসদ সচিবালয়ের কয়েক উর্দ্ধতন কর্মকর্তা জানান, সার্বিক দিক বিবেচনা করে খুব দ্রুত সংসদ সচিবালয়ে ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপন করা উচিত।
২/৩ বছর আগে এ নিয়ে তোড়জোড় চললেও এখন তা থেমে গেছে। সংসদ সচিবালয়ের বিভিন্ন শাখা ও অধিশাখার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রতি মাসে বৈঠক করে কমন সার্ভিস ও সমন্বয় শাখা। এখানে শতাধিক শাখা ও অধিশাখা রয়েছে। মাসিক সমন্বয় সভায় উপস্থিত থাকেন সব শাখা ও অধিশাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। তাদের বৈঠকেই কয়েক বছর আগে ডে কেয়ার সেন্টার নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এজন্য সংসদ সচিবালয়ের মেডিকেল সেন্টারে স্থান নির্ধারন করেন তারা। জনবল ও পরিবেশ নিয়েও সিদ্ধান্তে পৌছান তারা। কিন্তু উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনীহার কারনে আতুঁড়ঘরেই ওই সিদ্ধান্তের যবনিকাপাত ঘটে। এ প্রসঙ্গে সংসদ সচিবালয়ের কয়েক নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারি নাম প্রকাশ না করার শর্তে মানবজমিনকে বলেন, ১২শ কর্মকর্তা কর্মচারির সংসদ সচিবালয়ের জন্য একটি ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপন করতে না পারাটা দু:খজনক।
এ নিয়ে অনেক কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। ঠিকমতো কাজও করা সম্ভব হচ্ছে না। বাচ্চাকে বাসায় রেখে এসে কাজে মন দেয়াটাও কঠিন। তারা জানান, কাজের সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ডে কেয়ার স্থাপন করা হয় অথচ আমাদের জন্য এটা করা হচ্ছে না। ছোট বাচ্চা নিয়ে অফিস করার বিড়ম্বনার কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। এটা উপলব্ধির বিষয়। স্বাভাবিকভাবেই কর্তৃপক্ষের উচিত ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপন করার। তাই এ নিয়ে দাবি জানানোর কিছু নেই বলে আমরা মনে করি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আন্তরিকভাবে উদ্যোগ নিলেই এটা খুব সহজেই সম্ভব বলে মনে করেন তারা। বিষয়টি নিয়ে সংসদ সচিবালয়ের কয়েক উর্দ্ধতন কর্মকর্তা জানান, সার্বিক দিক বিবেচনা করে খুব দ্রুত সংসদ সচিবালয়ে ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপন করা উচিত।