খালেদা জিয়ার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে - মির্জা ফখরুল

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো পঙ্গু হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বেগম জিয়া এত অসুস্থ যে নিজ হাতে তিনি কিছু খেতেও পারেন না। অন্যের সাহায্য নিয়ে খেতে হয়। হাতে তুলে খাইয়ে দিতে হয়। তিনি হুইলচেয়ার ছাড়া চলতে পারেন না। এমনকি বিছানা থেকেও দু'জন সাহায্য করে তাকে উপরে তুলতে হয়। অথচ সরকারের মদদপুষ্ট হাসপাতালের ডাইরেক্টর বলেন- তিনি আগের চাইতেও সুস্থ্য। দেশনেত্রী বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য সম্বন্ধে এই মিথ্যা ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য তার বিচার হওয়া উচিত।
 
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে যে রিপোর্ট দিয়েছেন তা প্রকাশ করা হচ্ছে না। আমরা স্পষ্টভাবে বেগম জিয়ার স্বাস্থ্যের সঠিক তথ্য প্রকাশ করার দাবি জানাচ্ছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন, সম্পূর্ণ ম্যান্ডেটবিহীন একটা সরকার। এই সরকারকে ক্ষমতায় রাখার মানে হচ্ছে জনগণের সর্বনাশ করা। তিনি বলেন, আজকে প্রত্যেকটি পণ্যের দাম জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। আজকে মানুষ চাল কিনে খেতে পারছে না, অথচ গ্রামে যান কৃষকরা বলবে আমরা ধানের দাম পাচ্ছি না। অথচ চাল কিন্তু কেজিতে ৫০ টাকা ৬০ টাকার নিচে নাই।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঢাকঢোল পিটিয়ে ভারত সফরে গেলেন। আমরা আশা করেছিলাম সেখানে আমাদের তিস্তাসহ অন্যান্য চুক্তি সম্পন্ন হবে এবং আমরা আমাদের ন্যায্য হিস্যা পাব। কিন্তু তিস্তা নদীর এক ফোঁটা পানি পাওয়ারও কোনো চুক্তি হয়নি। অথচ অন্যদিকে আমার ফেনী নদীর পানি তাদেরকে দেয়ার জন্য চুক্তি করে আসা হয়েছে। আজকে গ্যাস আমদানি করে আগরতলাতে পাঠানো হচ্ছে অর্থাৎ আমদানি করে রপ্তানি করা হচ্ছে। জনগণ এত বোকা নয় যে জনগণ বুঝতে পারে না।

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, আব্দুল কুদ্দুস, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, সাধারণ সম্পাদক এম আবদুলাøহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।