বিনোদন
‘কোনো কিছুই বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়’
এন আই বুলবুল
১০ নভেম্বর ২০১৯, রবিবার, ৭:৫০ পূর্বাহ্ন
রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নাট্য উৎসব আয়োজন করতে যাচ্ছে বটতলা। আগামী ১৬ই নভেম্বর সন্ধ্যায় এ উৎসব শুরু হবে। তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত এ উৎসব চলবে ২৬শে নভেম্বর পর্যন্ত। সমাপনী অনুষ্ঠানের দিন ‘বটতলা রঙ্গমেলা ২০১৯’র আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হবে খ্যাতিমান অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্দেশক মামুনুর রশীদকে। এ সম্মাননা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজের স্বীকৃতি এবং সম্মাননা আগেই পেয়েছি। তারপরও ভালো লাগছে এটা ভেবে যে, নবীনদের একটি নাট্যদল আমাকে আজীবন সম্মাননা দিতে যাচ্ছে। এই বয়সে এমন সম্মাননা পাওয়ায় আরো কাজ করার অনুপ্রেরণাও পাচ্ছি। নাট্যদল আরণ্যক সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের কাছাকাছি সময়ে পৌঁছে গেছে। পথচলার এই দীর্ঘ সময় নিয়ে আপানার অভিজ্ঞতা কেমন? বরেণ্য এ অভিনেতা বলেন, একটি নাটকের দলের সঙ্গে ৪৭ বছর নিজেকে জড়িয়ে রাখতে পেরেছি, এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়। এই দলটি যেমন সৃষ্টি সুখের উল্লাসে আমাদের মাতিয়ে রেখেছে, তেমনই অগনিত নাট্যপ্রেমীর ভালোবাসায় সিক্ত করেছে। এদিকে স্বপ্নের কথা বলতে যদি হয় তাহলে বলবো, সৃষ্টির মধ্য দিয়ে যেমন অনেক স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, তেমনই জন্ম হয়েছে আরো অনেক স্বপ্নের। এভাবেই একটি স্বপ্ন থেকে আরেকটি স্বপ্ন পূরণের দিকে আমরা ছুটছি। এভাবেই রজতজয়ন্তীর পর সুবর্ণজয়ন্তী এবং কোনো এক সময় আরণ্যক হীরকজয়ন্তীও উদ্যাপন করবে। মঞ্চের পাশাপাশি টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে নিয়মিত অভিনয় করছেন। একসঙ্গে তিন মাধ্যমে কাজের প্রক্রিয়া কীভাবে রপ্ত করেছেন? আরণ্যকের এই দলনেতা বলেন, শুধু অভিনয় নয়, নাটক রচনা, নির্দেশনাও দিচ্ছি। এর বাইরেও পত্রপত্রিকায় লিখছি। এটা সম্ভব হচ্ছে নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলার কারণে। তাছাড়া যা কিছু করছি, সবই প্রায় কাছাকাছি পর্যায়ের কাজ। অভিনয়ের কথা ধরুন, মঞ্চ, চলচ্চিত্র, টিভিতে একই কাজই করছি। কাজের আঙ্গিক শুধু আলাদা। অনেক দিন ধরে টিভি নাটক নির্মাণ করছেন না। টিভি নাটক পরিচালনা থেকে কি সরে এসেছেন? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, টিভি নাটক পরিচালনা করছি না, এটা ঠিক। কিন্তু চিরদিনের জন্য সরে এসেছি কিনা- তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। আমাদের নাটকের ইন্ডাস্ট্রি অনেক বদলে গেছে। যেখানে পরিচালক হিসেবে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছি না। তবে পরিচালনা না করলেও নিয়মিত অভিনয় করে যাচ্ছি। এখনও হাতে বেশ কিছু ধারাবাহিক নাটকের কাজ আছে। চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্য হিসেবে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনুদান কমিটি সবসময় চেষ্টা করছে কাজের বিষয়ে স্বচ্ছ থাকতে।
আমরা যে ছবিটি অনুদানের জন্য নির্বাচন করছি, তা নিয়ে বিতর্ক হবে না- এটা ভাবাও ভুল। কারণ পৃথিবীর কোনো কিছুই বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়। দীর্ঘ সময় ধরে অভিনয়য়ের সঙ্গে আছেন। শিল্পী জীবনের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব-নিকাশ করেছেন? মামুনুর রশিদ বলেন, শিল্পী জীবনে অগণিত মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি- এটাই বড় প্রাপ্তি। কী পেলাম, কী পেলাম না- তা নিয়ে ভাবি না। আজীবনের চাওয়া, ভালো কাজ করে যাওয়া। কিছু কাজ আমাকে তৃপ্তি দিয়েছে। তবু অনেক কিছুই করা বাকি। তাই একই সঙ্গে তৃপ্ত ও অতৃপ্ত অভিনয় জীবন আমার। নতুন প্রজন্মের জন্য কী বলবেন? তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম শিক্ষিত হয়ে তাদের কর্মজীবন শুরু করছে। আমি মনে করি যারা অভিনয়ে বা নির্মাণে আসবে তাদের এটার প্রতি ভালোবাসা থাকে। শুধু যশ, খ্যাতি বা নামের জন্য না আসাই ভালো।
আমরা যে ছবিটি অনুদানের জন্য নির্বাচন করছি, তা নিয়ে বিতর্ক হবে না- এটা ভাবাও ভুল। কারণ পৃথিবীর কোনো কিছুই বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়। দীর্ঘ সময় ধরে অভিনয়য়ের সঙ্গে আছেন। শিল্পী জীবনের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব-নিকাশ করেছেন? মামুনুর রশিদ বলেন, শিল্পী জীবনে অগণিত মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি- এটাই বড় প্রাপ্তি। কী পেলাম, কী পেলাম না- তা নিয়ে ভাবি না। আজীবনের চাওয়া, ভালো কাজ করে যাওয়া। কিছু কাজ আমাকে তৃপ্তি দিয়েছে। তবু অনেক কিছুই করা বাকি। তাই একই সঙ্গে তৃপ্ত ও অতৃপ্ত অভিনয় জীবন আমার। নতুন প্রজন্মের জন্য কী বলবেন? তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম শিক্ষিত হয়ে তাদের কর্মজীবন শুরু করছে। আমি মনে করি যারা অভিনয়ে বা নির্মাণে আসবে তাদের এটার প্রতি ভালোবাসা থাকে। শুধু যশ, খ্যাতি বা নামের জন্য না আসাই ভালো।