প্রথম পাতা

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

স্টাফ রিপোর্টার

৯ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার, ৮:৪৭ পূর্বাহ্ন

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর-পশ্চিম উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা। তাদের মতে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ শনিবার মধ্যরাতের দিকে বাংলাদেশের খুলনা-বরিশাল অঞ্চলের ওপর আঘাত হানতে পারে। তবে উপকূলে আঘাত হানার আগে কিছুটা দূর্বল হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবাহাওয়া অফিস। বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগুতে থাকা ঘূর্ণিঝড় এরই মধ্যে প্রবল আকার ধারণ করেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝর ধেয়ে আসায় সারা দেশে সব ধরনের নৌ-চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মংলা ও পায়রায় ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম বন্দরে ৭ নম্বর সংকেত জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,বুলবুল এখন অবস্থান করছে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তার কাছাকাছি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায়। ওই সময় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন , ঘূর্ণিঝড়টির বর্তমান গতি এবং দিক যদি বজায় থাকে তাহলে শনিবার অথবা রোববার রাত এবং সোমবার সকালের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে গতি বৃদ্ধি পেলে এর আগেও ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি কখনো বেশি গতি পাচ্ছে, আবার কখনো থেমে যাচ্ছে। গতিবেগ কখনো বেশি হচ্ছে, কখনো কম হচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে যেসব সাইক্লোনের সৃষ্টি হয়, উপকূলে আঘাত করার আগে সাধারণত সেগুলোর শক্তি বৃদ্ধি পায়। আবার কখনো-কখনো দুর্বল হওয়ায় নজিরও দেখা গেছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যেটি দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। বর্তমান গতিপথ অনুযায়ী সাইক্লোনটি বাংলাদেশের খুলনা-বরিশাল অঞ্চলে আঘাত করার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা এবং পায়রা সমুদ্র বন্দরের জন্য চার নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।

খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার ৭০৯ সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলের’ প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সুন্দরবনের দুবলার চরে হতে যাওয়া রাসমেলা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বিকাল থেকে রাসমেলার দর্শনার্থীদের যাত্রা শুরুর সময় নির্ধারিত ছিল। এদিন দুপুর নাগাদ মেলায় যাওয়ার অনুমতির বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত আসার কথা ছিল। তবে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে গতকাল দুপুরেই রাসমেলা বাতিলের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে রাসমেলা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বসু শন্তু। একইসঙ্গে ‘বুলবুলের’ কারণে সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান ও পশ্চিম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বশিরুল আল মামুন জানান, দুবলার চরে রাসমেলার স্থানটি বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের আওতায়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রকৃতি, আঘাত হানার সম্ভাব্য সময় এবং দুর্যোগের সার্বিক প্রভাব বিবেচনা করে রাসমেলা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
রাসমেলা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বসু শন্তু জানান, পূর্ণিমার দিন শুধু পূজা অনুষ্ঠিত হবে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

অপরদিকে গতকাল সকালে বাগেরহাট জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা থেকে সুন্দরবন বিভাগকে সব ধরনের পাস-পারমিট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো পাস-পারমিট দেয়া হবে না বলে নিশ্চিত করা হয়।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ জানিয়েছেন, ‘গতকাল বেলা ১২টা নাগাদ মংলা সমুদ্রবন্দরের জন্য ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত অব্যাহত রাখা হচ্ছে। বেলা ১২টা পর্যন্ত মংলা থেকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ৫৮৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে। এর প্রভাবে গতকাল সকাল ৯টার পর থেকে খুলনার আকাশে মেঘমালা দেখা যায়। গতকাল সন্ধ্যা বা শনিবার সকাল থেকে খুলনার মানুষ এর তীব্রতা উপলব্ধি করতে পারবেন। যা শনিবার সন্ধ্যার দিকে এ অঞ্চল দিয়ে বয়ে যেতে পারে।’

তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর উত্তাল রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় গতকাল সকালে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভা করে জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এদিকে মোংলাবন্দরে তিনটি কন্ট্রোল রুম চালু করেছে কর্তৃপক্ষ।

খুলনার ৩৩৮ সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র প্রভাবে খুলনায় সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় খুলনা জেলাসহ ৯ উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি ৩৩৮টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত করা হয়েছে। এদিকে, ক্ষেতে আধাপাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়ার্দ্দার বলেন, বিকাল ৪টায় খুলনা সার্কিট হাউজে ‘বুলবুল’র প্রভাব মোকাবিলা ও সকল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরি সভা করেছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে সরকারি-বেসরকারি ৩৩৮টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত করা হয়েছে। উপকূলীয় দাকোপ ও কয়রা উপজেলায় ২৪ হাজার ৬০ সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বাগেরহাটে ২৩৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত: বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মোংলা সমুদ্র বন্দরে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুক্রবার সকালে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভা করে জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এদিকে মোংলা বন্দরে তিনটি কন্ট্রোল রুম চালু করেছে কর্তৃপক্ষ।

সাতক্ষীরার ১৩৭ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত: ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সাতক্ষীরাসহ উপকূলীয় এলাকা শ্যামনগর, আশাশুনিতে গতকাল ভোর থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। সেই সঙ্গে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া জেলার ১৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়া জন্য এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। একইসঙ্গে উপকূলীয় এলাকার জেলে-বাওয়ালীদের পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টায় প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. বদিউজ্জামান (সার্বিক) একথা জানিয়েছেন।

ভোলায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি, খোলা হয়েছে ৬৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র
ভোলা প্রতানিধি জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে ভোলার জেলা প্রশাসন। জেলার ৬৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। গঠন করা হয়েছ ৯২টি মেডিকেল টিম। এ ছাড়াও জেলা সদরসহ সাত উপজেলায় ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। মানুষকে সতর্ক করতে উপকূলে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। গতকাল সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক মানবজমিনকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবী। জেলার সব আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও মজুত রাখা হয়েছে ত্রাণ।

পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের জরুরি প্রস্তুতি সভা
পটুয়াখালী প্রতিনিধি জানান, পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের জরুরি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সকাল ১০টায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের দরবার হলে জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় জরুরি প্রস্তুতি সভায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে করণীয় বিষয়সমূহ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হেমায়েত উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. আবদুল মোনায়েম সাদ, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ মোহাম্মদ সামস, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনানীবাসের ক্যাপ্টেন শিবলী, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আনোয়ার হোসেন, প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক স্বপন ব্যানার্জি, পৌরসভার মেয়র প্রতিনিধি মো. দেলোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর এসএম মতিন মাহমুদ জাহিদ সিকদার, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. ফিরোজ আহমেদ, জেলা স্কাউটের সম্পাদক শাহ জালাল, সাবাদিক আহসানুল কবির রিপন, যুব ভলানটিয়ার ফোরামের সভাপতি জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।

সভায় জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলায় ৪০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি এসব কেন্দ্রে ডাক্তার, খাদ্য ও স্কাউট এবং যুব রেডক্রিসেন্ট ভলানটিয়ার রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ছাড়া জেলায় ১০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, ১৬৬ বান্ডিল টিন ও ৩ হাজার ৫টি কম্বল মজুত রাখা আছে।

হাতিয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নৌ চলাচল বন্ধ
হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি জানান, নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় চার নম্বর সতর্ক সংকেতের আওতায় থাকায় গতকাল দুপুরের পর থেকে সকল ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকে হাতিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে একটি করে সিগন্যাল পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এদিকে রাত থেকে হাতিয়ায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ অনেকটা মেঘলা আকার ধারণ করায় দিনের বেলায়ও অন্ধকার নেমে এসেছে। সকল নৌযানকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। হাতিয়ার সঙ্গে মূল ভূ-খন্ডের যোগাযোগের মাধ্যম সি ট্রাকসহ সকল যাত্রীবাহী ট্রলার চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপসহ বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে সিগন্যাল পতাকা উত্তোলন ছাড়াও স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-এ-আলম মানবজমিনকে জানান, “বুলবুল” দুর্যোগ মোকাবিলায় সকল ইউপি চেয়ারম্যানকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বরিশালে ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় প্রশাসনের প্রস্তুতি
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে জানান, প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে বরিশালে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। গতকাল সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, সঙ্গে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সকালে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়েছে।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক আনিসুর রহমান জানান, মূলত বেলা ১২টার পর খেকে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই হিসেবে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত বরিশালে ২ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর আজকের দিনে বরিশালে সর্বোচ্চ ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। একটু শীতল আবহাওয়া থাকলেও এ তাপমাত্রা মৌসুম অনুযায়ী স্বাভাবিক বলেও জানান তিনি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status