শেষের পাতা
কমলার নগরে লাল সবুজ বাংলাদেশ
ইশতিয়াক পারভেজ, নাগপুর (ভারত) থেকে
৯ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার, ৮:৩৫ পূর্বাহ্ন
রাতের আকাশ থেকে শহরের দেখা মিলছিল না। বিমান অনেক নিচে আসার পরও চারদিকে আঁধার। অবশ্য কিছুক্ষণ পর দূরে কিছু আলোর দেখা মিললো। কাছে যেতেই বোঝা গেলো সেটি বিমানবন্দরের আলো। বন কেটে তৈরি করা হয়েছে নাগপুর বাবা সাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ছোট শহর কিন্তু বিশাল বিমানবন্দর, যাত্রীর সংখ্যাও কম নয়। আছে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধাও। তবে অনুমান মিথ্যা হলো না, রাত ১২টাতেই ঘুমিয়ে পড়েছে পুরো শহর । গাড়িতে করে যেতে যেতে নিকষ কালো অন্ধকার আচ্ছন্ন রাস্তা দিয়ে মনে ভর করছিল অজানা ভয়! মহারাষ্ট্রের ছোট্ট এই শহরে নেই তেমন কোনো সুউচ্চ ভবন। তবে গোটা শহরে বেশির ভাগ স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের নামই ‘অরেঞ্জ’ (কমল) দিয়ে। অরেঞ্জ হোটেল, হাসপাতাল, স্কুল আরো কত কী! সকালেই জানা গেলো তার রহস্য। কমলা চাষের জন্য বিখ্যাত এ অঞ্চল ‘অরেঞ্জ সিটি’ হিসাবে পরিচিত। গতকাল সেই নগরে পা রেখেছে লাল-সবুজের বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। রাজকোট থেকে বিমান এক ঘণ্টা বিলম্ব হওয়ায় গতকাল বিকাল ৩টায় নাগপুর এসে পৌঁছে তারা। ক্রিকেট এসোসিয়েশন অব নাগপুরের মিডিয়া ম্যানেজার শরদ পধ্যায় জানালেন বাংলাদেশ দলকেও এই শহরের বিখ্যাত কমলা দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় এই নাগপুরও হতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের অংশ। যদি শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল।
গুজরাটের রাজকোটও হতে পারতো বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসের স্বাক্ষী। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে দিল্লির জয় এনে দিয়েছিল সেই সুযোগ। রাজকোটে সৌরাষ্ট্র স্টেডিয়ামে বৃস্পতিবার রাতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয়ের সেই স্বপ্ন পুরণ হয়নি টাইগারদের হার দিয়ে। প্রথম ম্যাচে ৭ উকেটের জয়ে উজ্জীবিত বাংলাদেশ দল দ্বিতীয়টিতে হেরে যায়। ৮ উইকেটের জয় নিয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় রোহিত শর্মার দল। সেই সঙ্গে ভারতের অধিনায়ক নিজের মাঠে জমিয়ে রেখেছেন সিরিজ জয়ের সুযোগ। তবে এখনো হাতছাড়া হয়নি টাইগারদেরও। সিরিজের শেষ ম্যাচে নাগপুরেই তা হতে পারে। তারই অপেক্ষায় আছে এখনকার বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম, জামথা।
টাইগার অধিনায়কও মুখিয়ে। হারের পর ভেঙে না পড়ে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘ক্রিকেট এমন একটি খেলা, যেখানে আপনি প্রতিদিন শিখবেন। কিছু সময় আমরা একই ভুল বারবার করি। গ্রেট প্লেয়াররা বারবার একই ভুল করে না। তারা ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে। দল হিসেবে এই ভুলগুলো বারবার না করা আমাদের শিখতে হবে এবং বুঝতে হবে।’
ভারতীয়রা ক্রিকেট পাগল হলেও নাগপুরের প্রাণকেন্দ্রে নেই কোনো উত্তেজনা। শহরটি একেবারেই ঠাণ্ডা ও নীরব। এখানে বেশির ভাগ খেটে খাওয়া মানুষের বসবাস। সকাল থেকেই তারা ভীষণ ব্যস্ত নিজেদের কাজে। পুরনো দালান-কোঠা প্র্রমাণ দিচ্ছে শহরটা কতটা প্রাচীন। এটি শীতকালীন রাজধানী হিসেবেও বেশ পরিচিত। কারণ মহারাষ্ট্রের রাজ্য পরিষদের বার্ষিক শীতকালীন অধিবেশনের আসনটি নাগপুর। এটি স্মার্ট শহরগুলির একটি হিসাবেও প্রস্তাবিত। এখানে বাড়িঘরে আধুনিকতার ছোঁয়া মাত্র লাগতে শুরু করেছে। যদিও তা হাতে গোনা। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থায় লেগেছে বেশ উন্নতির ছোঁয়া। বিমানবন্দর ছাড়াও শহরে রয়েছে আধুনিক মেট্রোরেল। সেই সঙ্গে এটি মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ অঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক কেন্দ্রও। হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন আরএসএসের নিয়ন্ত্রণে হলেও এখানে দালিত বৌদ্ধ আন্দোলনের জন্য দারুণ গুরুত্ব পায়। এখানেই রয়েছে সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ দীক্ষাভূমি। যা দেখতে দূরদুরান্ত থেকে ছুটে আসে পর্যটকরা।
গতকাল নাগপুরে পৌঁছেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের ১১তম অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভও। অধিনায়কের সঙ্গে আছেন ইমরুল কায়েস, সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাইম হাসান, ইবাদত হোসেন ও আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী। আজ বিদর্ভ স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবে পুরো দল । ২০০৮-এ এই স্টেডিয়ামের যাত্রা শুরু হয় ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ম্যাচ দিয়ে। এই মাঠ নিয়ে ভারতের ক্রিকেট গ্রেট শচীন টেন্ডুলকার মুগ্ধ। তিনি বলেছিলেন, ‘সুযোগ-সুবিধার দিক দিয়ে এটি প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে।’ এখন শুধু অপেক্ষা বিদর্ভে বাংলাদেশ দল তাদের প্রত্যাশার কতটা পূরণ করতে পারে!
গুজরাটের রাজকোটও হতে পারতো বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসের স্বাক্ষী। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে দিল্লির জয় এনে দিয়েছিল সেই সুযোগ। রাজকোটে সৌরাষ্ট্র স্টেডিয়ামে বৃস্পতিবার রাতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয়ের সেই স্বপ্ন পুরণ হয়নি টাইগারদের হার দিয়ে। প্রথম ম্যাচে ৭ উকেটের জয়ে উজ্জীবিত বাংলাদেশ দল দ্বিতীয়টিতে হেরে যায়। ৮ উইকেটের জয় নিয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় রোহিত শর্মার দল। সেই সঙ্গে ভারতের অধিনায়ক নিজের মাঠে জমিয়ে রেখেছেন সিরিজ জয়ের সুযোগ। তবে এখনো হাতছাড়া হয়নি টাইগারদেরও। সিরিজের শেষ ম্যাচে নাগপুরেই তা হতে পারে। তারই অপেক্ষায় আছে এখনকার বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম, জামথা।
টাইগার অধিনায়কও মুখিয়ে। হারের পর ভেঙে না পড়ে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘ক্রিকেট এমন একটি খেলা, যেখানে আপনি প্রতিদিন শিখবেন। কিছু সময় আমরা একই ভুল বারবার করি। গ্রেট প্লেয়াররা বারবার একই ভুল করে না। তারা ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে। দল হিসেবে এই ভুলগুলো বারবার না করা আমাদের শিখতে হবে এবং বুঝতে হবে।’
ভারতীয়রা ক্রিকেট পাগল হলেও নাগপুরের প্রাণকেন্দ্রে নেই কোনো উত্তেজনা। শহরটি একেবারেই ঠাণ্ডা ও নীরব। এখানে বেশির ভাগ খেটে খাওয়া মানুষের বসবাস। সকাল থেকেই তারা ভীষণ ব্যস্ত নিজেদের কাজে। পুরনো দালান-কোঠা প্র্রমাণ দিচ্ছে শহরটা কতটা প্রাচীন। এটি শীতকালীন রাজধানী হিসেবেও বেশ পরিচিত। কারণ মহারাষ্ট্রের রাজ্য পরিষদের বার্ষিক শীতকালীন অধিবেশনের আসনটি নাগপুর। এটি স্মার্ট শহরগুলির একটি হিসাবেও প্রস্তাবিত। এখানে বাড়িঘরে আধুনিকতার ছোঁয়া মাত্র লাগতে শুরু করেছে। যদিও তা হাতে গোনা। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থায় লেগেছে বেশ উন্নতির ছোঁয়া। বিমানবন্দর ছাড়াও শহরে রয়েছে আধুনিক মেট্রোরেল। সেই সঙ্গে এটি মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ অঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক কেন্দ্রও। হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন আরএসএসের নিয়ন্ত্রণে হলেও এখানে দালিত বৌদ্ধ আন্দোলনের জন্য দারুণ গুরুত্ব পায়। এখানেই রয়েছে সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ দীক্ষাভূমি। যা দেখতে দূরদুরান্ত থেকে ছুটে আসে পর্যটকরা।
গতকাল নাগপুরে পৌঁছেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের ১১তম অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভও। অধিনায়কের সঙ্গে আছেন ইমরুল কায়েস, সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাইম হাসান, ইবাদত হোসেন ও আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী। আজ বিদর্ভ স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবে পুরো দল । ২০০৮-এ এই স্টেডিয়ামের যাত্রা শুরু হয় ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ম্যাচ দিয়ে। এই মাঠ নিয়ে ভারতের ক্রিকেট গ্রেট শচীন টেন্ডুলকার মুগ্ধ। তিনি বলেছিলেন, ‘সুযোগ-সুবিধার দিক দিয়ে এটি প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে।’ এখন শুধু অপেক্ষা বিদর্ভে বাংলাদেশ দল তাদের প্রত্যাশার কতটা পূরণ করতে পারে!