দেশ বিদেশ
প্রেমের ফাঁদে ফেলে নারীদের সর্বনাশ করতো শাওন
স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ থেকে
৮ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, ৯:১৮ পূর্বাহ্ন
মানিকগঞ্জে নারী আইনজীবীকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিয়ে এবং নির্যাতন করার অপরাধে অভিযুক্ত শাওন মিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার বিকালে তাকে ঢাকার শাহবাগ এলাকা থেকে আটকের পর মানিকগঞ্জ সদর থানায় আনা হয়। গতকাল পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া ছদ্মনাম ব্যবহারকারী শাওনকে আটকের পর বেরিয়ে আসে তার আরো নানা অপকর্ম কাহিনী। শাওনের গ্রেপ্তারের খবরে তার নিজ এলাকা মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হরিরামপুর উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে রুবেল মিয়া। তবে আসল নাম ব্যবহার না করে নিজেকে শাওন বলে মানুষের কাছে পরিচিত করে তুলে। তার মূল কাজই হচ্ছে নারীদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সর্বনাশ করা এবং নানা ভাবে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়া। এ ছাড়া যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন সে দলের ছত্রছায়ায় থেকেই নিজের প্রভাব বিস্তার করে থাকে। এমনকি নিজেকে পুলিশ প্রশাসনের লোক বলেও পরিচয় দিয়ে নানা ধরনের অপরাধ চালিয়ে আসছিল শাওন।
হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বাশার সবুজ বলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালিন শাওনের অপকর্মের অনেক সাক্ষী তিনি। শাওনের বিচার সালিশও করেছেন একাধিকবার। আবুল বাশার সবুজ মানবজমিনকে বলেন, ওর নাম শাওন নয়, আসল নাম রুবেল। খারাপের একটি রকম থাকে কিন্তু সে ভয়াবহ খারাপ- এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমার জানা মতে, প্রতারণার মাধ্যমে সে একাধিক বিয়ে করেছে। আর যেসব বিয়ে করেছিলো তা বেশি দিন স্থায়িত্ব পায়নি। প্রতারণার মাধ্যমে টাকা পয়সা বাগিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যেতো। তার প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে এলাকার কয়েক নারীর বিবাহিত জীবন তছনছ হয়ে গেছে। তেমনি একজন নারী রোজিনা বেগম। উপজেলার হারুকান্দির ভেলাবাদ এলাকার ওই নারীর বিয়ে হয় বসন্তপুর গ্রামের এক প্রবাসীর সঙ্গে। কিন্তু সেখানেও রুবেলের কুনজর পড়ে। প্রেমের অভিনয় করে প্রতারণার মাধ্যমে ওই নারীকে নিজের করে নেয়। এ নিয়ে আমার অফিসে বিচার সালিশও হয়। পরে আগের স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ৫ লাখ টাকা কাবিন করে রুবেল ওরফে শাওনের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়। কিছু দিন সংসার করার পর ওই নারীকে ছেড়ে দেয়। তার ঘরে একটি সন্তান রয়েছে। এতে অসহায় হয়ে পড়েন ওই নারী। দিনকাল খারাপ হওয়ায় আমি তাকে একটি সেলাই মেশিন দেই। রুবেলের প্রতারণায় পা দিয়ে ওই নারী এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে।
এরপর উপজেলা আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার আত্মীয়, দুই সন্তানের জননীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সর্বনাশ করে। ওই নারীর সর্বনাশ করার পর ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে রুবেল ৪-৫ দিন পর ওই নারীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এরপর ওই নারী দিশাহারা হয়ে পড়েন। স্বামী ও পরিবারের কেউ তাকে মেনে নিতে চাচ্ছে না। পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম ওই নারীকে দিয়ে মোবাইলফোনের মাধ্যমে শাওনকে ফোন করে যেকোনো মূল্যে এলাকায় আনতে হবে। পরে ওই নারী রুবেলকে ফোনে জানায়, তার জীবন শেষ হয়ে গেছে। পরিবারের কেউ তাকে মেনে নেবে না। তুমি আমাকে নিয়ে যাও। মেয়েটির কথায় রুবেল একটি মাইক্রোবাস নিয়ে রাতে হরিরামপুরের পাটগ্রামে এলে স্থানীয় লোকজন আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মারধর করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা করে কোর্টে পাঠানো হলে সে মাস ছয়েক জেল খাটে। উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বাশার সবুজ রুবেল ওরফে ছদ্মনামধারী শাওনের কুকর্ম সম্পর্কে আরো বলেন, গোপিনাথপুর এলাকার কলেজপড়ুয়া এক মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে ও চাপ সৃষ্টি করে বিয়ে করতে চায়। ওই মেয়েটি আমাকে ফোনে ঘটনা খুলে বললে পরে রুবেল পিছপা হয়। তার কুকর্ম এখানেই শেষ নয়। এরপর ঘিওরের তরা এলাকায় একটি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকাকেও প্রতারণায় ফেলে বিয়ে করে। পরে সে বিয়েও বেশি দিন টিকেনি। সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বাশার বলেন, কমপক্ষে ১০-১৫টি ঘটনা সে ঘটিয়েছে। সে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীদের সঙ্গে ছবি তোলে এবং তাদের সঙ্গে সখ্য তৈরি করে নিজেকে প্রভাবশালী মনে করে। এ ছাড়া প্রভাবশালী ও অঢেল টাকাওয়ালা সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় থেকে তার বাসা ও গাড়ি ব্যবহার করে। ্ওই চেয়ারম্যানের পালকপুত্র হিসেবেই সবাই ওকে জানে। তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রথমে মেয়েদের পেছনে খরচ করে। এরপর তার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে মেয়েরা তাদের ইজ্জত, মান-সম্মান ও অর্থকড়ি খুইয়ে ফিরে আসে। মূলত ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকেই সে প্রতারণামূলক অপরাধ সংঘটিত করে থাকে। সর্বশেষ এক নারী আইনজীবীর সঙ্গেও অমানবিক আচরণ করে তাকে আবারো জেল হাজতে যেতে হলো।
হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বাশার সবুজ বলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালিন শাওনের অপকর্মের অনেক সাক্ষী তিনি। শাওনের বিচার সালিশও করেছেন একাধিকবার। আবুল বাশার সবুজ মানবজমিনকে বলেন, ওর নাম শাওন নয়, আসল নাম রুবেল। খারাপের একটি রকম থাকে কিন্তু সে ভয়াবহ খারাপ- এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমার জানা মতে, প্রতারণার মাধ্যমে সে একাধিক বিয়ে করেছে। আর যেসব বিয়ে করেছিলো তা বেশি দিন স্থায়িত্ব পায়নি। প্রতারণার মাধ্যমে টাকা পয়সা বাগিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যেতো। তার প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে এলাকার কয়েক নারীর বিবাহিত জীবন তছনছ হয়ে গেছে। তেমনি একজন নারী রোজিনা বেগম। উপজেলার হারুকান্দির ভেলাবাদ এলাকার ওই নারীর বিয়ে হয় বসন্তপুর গ্রামের এক প্রবাসীর সঙ্গে। কিন্তু সেখানেও রুবেলের কুনজর পড়ে। প্রেমের অভিনয় করে প্রতারণার মাধ্যমে ওই নারীকে নিজের করে নেয়। এ নিয়ে আমার অফিসে বিচার সালিশও হয়। পরে আগের স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ৫ লাখ টাকা কাবিন করে রুবেল ওরফে শাওনের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়। কিছু দিন সংসার করার পর ওই নারীকে ছেড়ে দেয়। তার ঘরে একটি সন্তান রয়েছে। এতে অসহায় হয়ে পড়েন ওই নারী। দিনকাল খারাপ হওয়ায় আমি তাকে একটি সেলাই মেশিন দেই। রুবেলের প্রতারণায় পা দিয়ে ওই নারী এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে।
এরপর উপজেলা আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার আত্মীয়, দুই সন্তানের জননীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সর্বনাশ করে। ওই নারীর সর্বনাশ করার পর ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে রুবেল ৪-৫ দিন পর ওই নারীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এরপর ওই নারী দিশাহারা হয়ে পড়েন। স্বামী ও পরিবারের কেউ তাকে মেনে নিতে চাচ্ছে না। পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম ওই নারীকে দিয়ে মোবাইলফোনের মাধ্যমে শাওনকে ফোন করে যেকোনো মূল্যে এলাকায় আনতে হবে। পরে ওই নারী রুবেলকে ফোনে জানায়, তার জীবন শেষ হয়ে গেছে। পরিবারের কেউ তাকে মেনে নেবে না। তুমি আমাকে নিয়ে যাও। মেয়েটির কথায় রুবেল একটি মাইক্রোবাস নিয়ে রাতে হরিরামপুরের পাটগ্রামে এলে স্থানীয় লোকজন আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মারধর করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা করে কোর্টে পাঠানো হলে সে মাস ছয়েক জেল খাটে। উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বাশার সবুজ রুবেল ওরফে ছদ্মনামধারী শাওনের কুকর্ম সম্পর্কে আরো বলেন, গোপিনাথপুর এলাকার কলেজপড়ুয়া এক মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে ও চাপ সৃষ্টি করে বিয়ে করতে চায়। ওই মেয়েটি আমাকে ফোনে ঘটনা খুলে বললে পরে রুবেল পিছপা হয়। তার কুকর্ম এখানেই শেষ নয়। এরপর ঘিওরের তরা এলাকায় একটি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকাকেও প্রতারণায় ফেলে বিয়ে করে। পরে সে বিয়েও বেশি দিন টিকেনি। সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বাশার বলেন, কমপক্ষে ১০-১৫টি ঘটনা সে ঘটিয়েছে। সে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীদের সঙ্গে ছবি তোলে এবং তাদের সঙ্গে সখ্য তৈরি করে নিজেকে প্রভাবশালী মনে করে। এ ছাড়া প্রভাবশালী ও অঢেল টাকাওয়ালা সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় থেকে তার বাসা ও গাড়ি ব্যবহার করে। ্ওই চেয়ারম্যানের পালকপুত্র হিসেবেই সবাই ওকে জানে। তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রথমে মেয়েদের পেছনে খরচ করে। এরপর তার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে মেয়েরা তাদের ইজ্জত, মান-সম্মান ও অর্থকড়ি খুইয়ে ফিরে আসে। মূলত ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকেই সে প্রতারণামূলক অপরাধ সংঘটিত করে থাকে। সর্বশেষ এক নারী আইনজীবীর সঙ্গেও অমানবিক আচরণ করে তাকে আবারো জেল হাজতে যেতে হলো।