অনলাইন
অভিযোগের তদন্ত করে ব্যবস্থা নিলে জাবিতে এ পরিস্থিতি নাও আসতে পারতো
তামান্না মোমিন খান
৬ নভেম্বর ২০১৯, বুধবার, ৪:৩৯ পূর্বাহ্ন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে যে পরিস্থিতি তা অনাকাঙ্খিত। বেশ কিছুদিন ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষার কোন সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় ছিল না। নানা ধরনের আন্দোলন চলছিল এই বিশ^বিদ্যালয়ে। বর্তমান পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য যেটা প্রয়োজন ছিল তা হলো সুষ্ঠু তদন্ত কমিটি গঠন করা। যে অভিযোগগুলো ছিল সেগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত করে যদি ব্যবস্থা নেয়া যেত তাহলে হয়তো এই অবস্থা নাও আসতে পারতো। সেটা হয়নি। গত মঙ্গলবার যে পরিস্থিতি ছিল উপার্চাযের পক্ষে এবং বিপক্ষে দু দলের মধ্যে সরাসরি হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিল। এরপরে বিশ^বিদ্যালয় কতৃপক্ষের বন্ধ ঘোষণা করা ছাড়া আর উপায় ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয় যদি বন্ধ ঘোষণা করা না হতো তাহলে হয়তো পরিস্থিতি আরো খারাপ হতো। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা সাময়িক একটা সমাধান এনে দিয়েছে পরিস্থিতিকে শান্ত করতে। কিন্তু স্থায়ী সমাধানের জন্য একটি সুষ্ঠু তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
যে অভিযোগগুলো এসেছে এগুলোর সত্যতা আছে কিনা তা যাচাই করতে হবে। সত্যতা যদি থাকে তবে সে অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। আর সত্যতা যদি না থাকে তবে অসত্য অভিযোগ আনা এবং আন্দোলনে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় একটি সায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। আমরা কখনও চাইবনা এখানে বাহির থেকে কোন হস্তক্ষেপ আসুক। বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের এ সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা আছে। আর কোন কারণে যদি তারা ব্যর্থ হয় তবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন বা শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি দেখতে পারে। বিশ^বিদ্যালয়ের অবস্থা যে জায়গায় গেছে তা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়ত্বশাসনের ওপরেই নির্ভর করতে চাই।
যে অভিযোগগুলো এসেছে এগুলোর সত্যতা আছে কিনা তা যাচাই করতে হবে। সত্যতা যদি থাকে তবে সে অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। আর সত্যতা যদি না থাকে তবে অসত্য অভিযোগ আনা এবং আন্দোলনে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় একটি সায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। আমরা কখনও চাইবনা এখানে বাহির থেকে কোন হস্তক্ষেপ আসুক। বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের এ সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা আছে। আর কোন কারণে যদি তারা ব্যর্থ হয় তবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন বা শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি দেখতে পারে। বিশ^বিদ্যালয়ের অবস্থা যে জায়গায় গেছে তা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়ত্বশাসনের ওপরেই নির্ভর করতে চাই।