বিশ্বজমিন
১১০০০ বিজ্ঞানীর সতর্কতা
দ্ব্যর্থহীন জলবায়ু জরুরি অবস্থার সম্মুখীন বিশ্ব
মানবজমিন ডেস্ক
৬ নভেম্বর ২০১৯, বুধবার, ১২:০৫ অপরাহ্ন
জলবায়ু পরিবর্তনে জরুরি অবস্থার সম্মুখীন বিশ্ব। সুদূরপ্রসারী ও স্থায়ী পরিবর্তন ছাড়া ‘অকথিত মানব নিপীড়নের’ শিকার হচ্ছে বিশ্ব। বিজ্ঞানীরা ৪০ বছরব্যাপি সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে করা এক গবেষণায় এমনটা জানিয়েছেন। বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী ‘বায়োসায়েন্স’এ প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনটির পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন বিশ্বজুড়ে প্রায় ১১ হাজার বিজ্ঞানী। তাদের ভাষ্য, বর্তমানে বিশ্বনেতারা এই সংকট সামলাতে ব্যর্থ হচ্ছেন। তারা জানান, বিশ্ববাসীকে এই সংকটের হুমকির পরিধি সম্পর্কে জানানো তাদের নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
বিবিসি জানিয়েছে, বিজ্ঞানীদের দীর্ঘমেয়াদী এই গবেষণাটি বুধবার প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, মাত্রাতিরিক্তভাবে গরম হতে থাকা একটি বিশ্বের উপরিভাগের তাপমাত্রা পরিমাপ করে জলবায়ু পরিবর্তনের সত্যিকারের ঝুঁকি বোঝা সম্ভব নয়। গবেষকরা তাই কয়েক ধরনের তথ্য হিসাব করে জলবায়ু পরিবর্তন পরিমাপ করেছে। তাদের বিশ্বাস এই তথ্য, গত ৪০ বছর ধরে হওয়া জলবায়ু পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকাগুলো পরিষ্কারভাবে তুলে ধরতে সক্ষম। এসব নির্দেশিকার মধ্যে রয়েছে, মানব ও প্রাণী সংখ্যার বৃদ্ধি, জন প্রতি মাংস উৎপাদন, বৈশ্বিক পর্যায়ে গাছ হারানো ও জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার।
গবেষকরা জানান, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। গত ৪০ বছরে প্রতি দশকে বাতাস ও সোলার শক্তির ব্যবহার বেড়েছে ৩৭৩ শতাংশ করে। তা সত্ত্বেও ২০১৮ সালে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের তুলনায় নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার ২৮ গুণ কম ছিল। সকল দিক বিবেচনায় বিজ্ঞানীরা জানান, তাদের বেশিরভাগ নির্দেশিকাই নেতিবাচক দিকে যাচ্ছে। ত্বরান্বিত করছে জলবায়ু পরিবর্তন।
গবেষণা প্রতিবেদনটির প্রধান গবেষক ইউনিভার্সিটি অব সিডনীর ড. থমাস নিউসাম। তিনি বলেন, জরুরি অবস্থা মানে হচ্ছে, আমরা যদি এখনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় পদক্ষেপ না নেই তাহলে ভবিষ্যতে এসব প্রভাব বর্তমানের চেয়ে অধিকতর গুরুতর হয়ে ওঠবে। এজন্য আমাদের কার্বন নিঃসরণ, গবাদি পশু উৎপাদন, গাছ কেটে জমি উজাড় করা ও ফসিল জ্বালানি ব্যবহার কমাতে হবে।
তিনি বলেন, জরুরি অবস্থার মানে হচ্ছে পৃথিবীতে এমন জায়গা সৃষ্টি হতে পারে যা মানুষের বসববাসের অওগ্য হয়ে পড়বে।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে অন্যান্য প্রতিবেদনের অনুসারে, এই প্রতিবেদনেও অনেক সতর্কতা দেয়া হয়েছে। তবে এতে গবেষকরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিস্তৃত পরিসরের কিছু স্পষ্ট নির্দেশিকা উপস্থাপন করেছেন যা অন্যান্য প্রতিবেদনে দেখা যায়নি। প্রতিবেদন অনুসারে, অবস্থা খুবই বেগতিক, তবে এখনো আশা শেষ হয়ে যায়নি। কিছু খাতে তাৎক্ষনিক পদক্ষেপ নিলে অনুমিত ভবিষ্যতে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য গড়ে দেয়া সম্ভব।
বিশ্বজুড়ে ১৫৩ দেশের বিভিন্ন শাখার ১১ হাজার বিজ্ঞানী এই প্রতিবেদনটির পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। প্রতিবেদনটির লেখকরা আলাদাভাবে কারো নাম উল্ললেখ করেননি। তবে অনলাইনে প্রতিবেদনটিক্র প্রতি সমর্থন জানিয়ে স্বাক্ষর করা প্রত্যেক বিজ্ঞানীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, বিজ্ঞানীদের দীর্ঘমেয়াদী এই গবেষণাটি বুধবার প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, মাত্রাতিরিক্তভাবে গরম হতে থাকা একটি বিশ্বের উপরিভাগের তাপমাত্রা পরিমাপ করে জলবায়ু পরিবর্তনের সত্যিকারের ঝুঁকি বোঝা সম্ভব নয়। গবেষকরা তাই কয়েক ধরনের তথ্য হিসাব করে জলবায়ু পরিবর্তন পরিমাপ করেছে। তাদের বিশ্বাস এই তথ্য, গত ৪০ বছর ধরে হওয়া জলবায়ু পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকাগুলো পরিষ্কারভাবে তুলে ধরতে সক্ষম। এসব নির্দেশিকার মধ্যে রয়েছে, মানব ও প্রাণী সংখ্যার বৃদ্ধি, জন প্রতি মাংস উৎপাদন, বৈশ্বিক পর্যায়ে গাছ হারানো ও জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার।
গবেষকরা জানান, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। গত ৪০ বছরে প্রতি দশকে বাতাস ও সোলার শক্তির ব্যবহার বেড়েছে ৩৭৩ শতাংশ করে। তা সত্ত্বেও ২০১৮ সালে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের তুলনায় নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার ২৮ গুণ কম ছিল। সকল দিক বিবেচনায় বিজ্ঞানীরা জানান, তাদের বেশিরভাগ নির্দেশিকাই নেতিবাচক দিকে যাচ্ছে। ত্বরান্বিত করছে জলবায়ু পরিবর্তন।
গবেষণা প্রতিবেদনটির প্রধান গবেষক ইউনিভার্সিটি অব সিডনীর ড. থমাস নিউসাম। তিনি বলেন, জরুরি অবস্থা মানে হচ্ছে, আমরা যদি এখনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় পদক্ষেপ না নেই তাহলে ভবিষ্যতে এসব প্রভাব বর্তমানের চেয়ে অধিকতর গুরুতর হয়ে ওঠবে। এজন্য আমাদের কার্বন নিঃসরণ, গবাদি পশু উৎপাদন, গাছ কেটে জমি উজাড় করা ও ফসিল জ্বালানি ব্যবহার কমাতে হবে।
তিনি বলেন, জরুরি অবস্থার মানে হচ্ছে পৃথিবীতে এমন জায়গা সৃষ্টি হতে পারে যা মানুষের বসববাসের অওগ্য হয়ে পড়বে।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে অন্যান্য প্রতিবেদনের অনুসারে, এই প্রতিবেদনেও অনেক সতর্কতা দেয়া হয়েছে। তবে এতে গবেষকরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিস্তৃত পরিসরের কিছু স্পষ্ট নির্দেশিকা উপস্থাপন করেছেন যা অন্যান্য প্রতিবেদনে দেখা যায়নি। প্রতিবেদন অনুসারে, অবস্থা খুবই বেগতিক, তবে এখনো আশা শেষ হয়ে যায়নি। কিছু খাতে তাৎক্ষনিক পদক্ষেপ নিলে অনুমিত ভবিষ্যতে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য গড়ে দেয়া সম্ভব।
বিশ্বজুড়ে ১৫৩ দেশের বিভিন্ন শাখার ১১ হাজার বিজ্ঞানী এই প্রতিবেদনটির পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। প্রতিবেদনটির লেখকরা আলাদাভাবে কারো নাম উল্ললেখ করেননি। তবে অনলাইনে প্রতিবেদনটিক্র প্রতি সমর্থন জানিয়ে স্বাক্ষর করা প্রত্যেক বিজ্ঞানীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে।