দেশ বিদেশ

মিজান ও অমিত সাহা জানায়, আবরার শিবির করে

রুদ্র মিজান

১৫ অক্টোবর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:০২ পূর্বাহ্ন

অমিত সাহা

বুয়েটের আবরার ফাহাদকে ধরে নিয়ে প্রথম প্রশ্ন করা হয়েছিল, তুই শিবির করিস? আবরার হতভম্ভ হয়ে তাকিয়ে ছিলেন। একইভাবে আবারো প্রশ্ন করা হলে আবরার বলেছিলেন, না, ভাই। আমি শিবির করি না। কিন্তু বিশ্বাস হয়নি ছাত্রলীগ নেতাদের। বুয়েট ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অমিত সাহা প্রথম ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাদের জানান যে, আবরার শিবির করে।
এ বিষয়ে গতকাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মেহেদি হাসান রবিন। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদি হাসান রবিন জানান, আবরারের রুমমেট মিজান ও বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অমিত সাহা তাকে জানিয়েছিল আবরার শিবির করে। ওর সঙ্গে শিবিরের সংশ্লিষ্টতা আছে। ওর ফেসবুক বা মোবাইল ফোন চেক করলেই এটা নিশ্চিত হওয়া যাবে। সে অনুযায়ী ঘটনার দিন ৬ই অক্টোবর রাত ৮টার দিকে আবরারকে ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে আনা হয়।
১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে সেই রাতের ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে রবিন। শিবির সন্দেহে আবরারকে ডেকে এনে নির্যাতন করার বর্ণনা দিয়ে মেহেদি হাসান রবিন বলেছে, আবরারকে প্রথম দফায় তিনি প্রশ্ন করেন, তুই নাকি শিবির করিস? আবরার অস্বীকার করে। পরে আবরারের ফোন ও ল্যাপটপ আনার জন্য বুয়েট ছাত্রলীগের সমাজসেবা বিষয়ক উপ-সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল ও তানভীরকে তার কক্ষে পাঠানো হয়। অনিক মোবাইল ফোনে আবরারের ফেসবুকে লগইন করে দেশের সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয়ে কিছু স্ট্যাটাস পায়। তখন সে জিজ্ঞাসা করে, ক্যাম্পাসে কারা শিবির করে? তুই তাদের নাম বল? আবরার চুপ থাকে। তখন সে তাকে কিল ঘুষি মারে। ওই সময়ে রবিনও আবরারকে চড় থাপ্পড় মারে জানিয়ে বলে, একটা পর্যায়ে ক্রিকেটের স্ট্যাম্প দিয়ে তাকে পিটাই। কিছু সময় পর আমি অনিককে বলি যে ওকে পিটিয়ে শিবিরের নামগুলো বের করতে হবে। এরপর আমি চানখার পুল যাই খেতে। চানখার পুলে হোটেলে খাওয়া দাওয়ার সময় ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে দেখতে পাই যে আবরারের অবস্থা খুবই খারাপ। তখন আমি হলে ফিরে আসি। এসে শুনি যে আবরারকে অমিতের কক্ষ থেকে বের করে পাশের ২০০৫ নম্বর কক্ষে নেয়া হয়েছে। ওই কক্ষে আবরার বমি করে। তখন আমি আবরারকে পুলিশের হাতে দেয়ার জন্য নিচে নামাতে বলি। এরপর জেমি, মোয়াজ ও শামীমসহ তিন-চার জন তাকে কোলে করে সিঁড়ি ঘরের পাশে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ ও ডাক্তারকে খবর দেয়া হয়। এরপর ডাক্তার এসে তাকে মৃত ঘোষণা করে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status