এক্সক্লুসিভ
শি জিনপিংয়ের হুঁশিয়ারি
চীনকে বিভক্ত করার চেষ্টা করলে হাড় গুঁড়ো করে দেবো
মানবজমিন ডেস্ক
১৫ অক্টোবর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৭:৫৬ পূর্বাহ্ন
ভিন্নমত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি বলেছেন, চীনকে বিভক্ত করার কোনো রকম চেষ্টা করা হলে তাদের শরীর আর হাড় ভেঙে গুঁড়ো করে দেয়া হবে। রোববার নেপালে রাষ্ট্রীয় সফরকালে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন বলে চীনের রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যম সিসিটিভি খবর দিয়েছে। কোন অঞ্চলকে চীন থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে তা তিনি উল্লেখ করেন নি। তবে এটা ধরে নেয়া যায় যে, তিনি হংকংয়ের দিকে ইঙ্গিত করে ওই সতর্কতা দিয়েছেন। হংকংয়ে কয়েক মাস ধরে চলছে বেইজিংবিরোধী বিক্ষোভ। রোববার সেখানে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় গণপরিবহন বিষয়ক স্টেশন ও বেইজিংপন্থি দোকানপাটে ব্যাপক ক্ষতি করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
রোববার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে শি জিনপিংয়ের ওই হুঁশিয়ারির কথা বলা হয়। এতে আরো বলা হয়, চীনকে বিভক্ত করার বিষয়ে যদি বাইরের কোনো শক্তি সমর্থন দেয় তাহলে তাদেরকে চীনের মানুষ শুধুই বিভ্রান্তকারী হিসেবে দেখবে। উল্লেখ্য, চার মাস ধরে চলছে হংকংয়ে বিক্ষোভ। শুরু থেকেই এই অস্থিরতা উস্কে দেয়ার জন্য বিদেশি শক্তিকে দায়ী করছে চীন। অভিযোগ করছে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেন। হংকং বিক্ষোভ নিয়ে শি জিনপিং এখন পর্যন্ত সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। ফলে তার এই সর্বশেষ মন্তব্যকে বিরল এবং খুবই কঠোর সতর্কতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বেইজিং বলে এসেছে, তারা বিশ্বাস করে হংকংয়ে যে সমস্যা তা মোকাবিলায় সক্ষম সেখানকার পুলিশ। তবে বিক্ষোভকারীদের আশঙ্কা অন্যখানে। তারা মনে করে, সহিংস এই বিক্ষোভ দমনে সেনা পাঠাতে পারে বেইজিং। এমনটা হবে বলে মনে হয় না। কারণ, এমনটা হলে গুরুতর পরিণতি ঘটতে পারে। খুব কমসংখ্যক মানুষই মনে করেন চীন ১৯৮৯ সালের গণতন্ত্রপন্থিদের ওপর দমনপীড়নের পুনরাবৃত্তি করতে পারে। ওই সময় বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীদের ওপর ভয়াবহ নিপীড়ন চালায় চীন। এতে কয়েক শ’ মানুষ নিহত হয়েছেন।
হংকং চীনের অংশ হলেও সেখানে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় স্বায়ত্তশাসন। এর আছে নিজস্ব আইন ও বিচার ব্যবস্থা। মূল চীনে মানুষের যেটুকু স্বাধীনতা আছে তার চেয়ে হংকংয়ে বসবাসকারীদের স্বাধীনতা বেশি। কিন্তু এখানে বেইজিংবিরোধিতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছিল কিছু সময় ধরে। জুনে শুরু হয় সর্বশেষ দফার বিক্ষোভ। প্রস্তাবিত একটি নতুন আইনকে কেন্দ্র করে এই বিক্ষোভের সূচনা। ওই আইন অনুযায়ী, যেকোনো সন্দেহভাজনকে চীনের কাছে হস্তান্তরের কথা বলা হয়েছিল, যাতে চীনে তার বিচার হয়। তবে বহু মানুষ এই আইন নিয়ে আতঙ্কিত। তারা মনে করেন, এই আইন দিয়ে হংকংয়ে চীনের সমালোচকদের ওপর নিপীড়ন চালাবে চীন সরকার। তাছাড়া সমালোচকরা বলেন, এমন আইনের ফলে হংকংয়ের বিচার বিভাগের যে স্বাধীনতা আছে তা খর্ব হবে। বিক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত হংকং কর্তৃপক্ষ ওই আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। তারপরও বিক্ষোভ চলছে। তারা এখন ৫ দফা দাবি দিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্র, পুলিশের অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের বিষয়ে তদন্ত করা।
রোববার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে শি জিনপিংয়ের ওই হুঁশিয়ারির কথা বলা হয়। এতে আরো বলা হয়, চীনকে বিভক্ত করার বিষয়ে যদি বাইরের কোনো শক্তি সমর্থন দেয় তাহলে তাদেরকে চীনের মানুষ শুধুই বিভ্রান্তকারী হিসেবে দেখবে। উল্লেখ্য, চার মাস ধরে চলছে হংকংয়ে বিক্ষোভ। শুরু থেকেই এই অস্থিরতা উস্কে দেয়ার জন্য বিদেশি শক্তিকে দায়ী করছে চীন। অভিযোগ করছে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেন। হংকং বিক্ষোভ নিয়ে শি জিনপিং এখন পর্যন্ত সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। ফলে তার এই সর্বশেষ মন্তব্যকে বিরল এবং খুবই কঠোর সতর্কতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বেইজিং বলে এসেছে, তারা বিশ্বাস করে হংকংয়ে যে সমস্যা তা মোকাবিলায় সক্ষম সেখানকার পুলিশ। তবে বিক্ষোভকারীদের আশঙ্কা অন্যখানে। তারা মনে করে, সহিংস এই বিক্ষোভ দমনে সেনা পাঠাতে পারে বেইজিং। এমনটা হবে বলে মনে হয় না। কারণ, এমনটা হলে গুরুতর পরিণতি ঘটতে পারে। খুব কমসংখ্যক মানুষই মনে করেন চীন ১৯৮৯ সালের গণতন্ত্রপন্থিদের ওপর দমনপীড়নের পুনরাবৃত্তি করতে পারে। ওই সময় বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীদের ওপর ভয়াবহ নিপীড়ন চালায় চীন। এতে কয়েক শ’ মানুষ নিহত হয়েছেন।
হংকং চীনের অংশ হলেও সেখানে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় স্বায়ত্তশাসন। এর আছে নিজস্ব আইন ও বিচার ব্যবস্থা। মূল চীনে মানুষের যেটুকু স্বাধীনতা আছে তার চেয়ে হংকংয়ে বসবাসকারীদের স্বাধীনতা বেশি। কিন্তু এখানে বেইজিংবিরোধিতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছিল কিছু সময় ধরে। জুনে শুরু হয় সর্বশেষ দফার বিক্ষোভ। প্রস্তাবিত একটি নতুন আইনকে কেন্দ্র করে এই বিক্ষোভের সূচনা। ওই আইন অনুযায়ী, যেকোনো সন্দেহভাজনকে চীনের কাছে হস্তান্তরের কথা বলা হয়েছিল, যাতে চীনে তার বিচার হয়। তবে বহু মানুষ এই আইন নিয়ে আতঙ্কিত। তারা মনে করেন, এই আইন দিয়ে হংকংয়ে চীনের সমালোচকদের ওপর নিপীড়ন চালাবে চীন সরকার। তাছাড়া সমালোচকরা বলেন, এমন আইনের ফলে হংকংয়ের বিচার বিভাগের যে স্বাধীনতা আছে তা খর্ব হবে। বিক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত হংকং কর্তৃপক্ষ ওই আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। তারপরও বিক্ষোভ চলছে। তারা এখন ৫ দফা দাবি দিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্র, পুলিশের অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের বিষয়ে তদন্ত করা।