অনলাইন

স্ত্রীর চাকরি করছেন স্বামী

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

১৪ অক্টোবর ২০১৯, সোমবার, ৩:৫৬ পূর্বাহ্ন

পিআইও অফিসে চাকুরিতে যোগদানের পর একদিনের জন্যও অফিসে দেখা যায়নি ঝুমুর রানীকে। ওই চাকরিতে র্দীঘ ৩ বছর ধরে তার স্বামী শুভ সিকদার প্রক্সি যাচ্ছেন। শুধু স্ত্রীর প্রক্সি নয়, রাঙ্গাবালী পিআইও অফিসের ঘুষ লেনদেন হয় শুভ’র মাধ্যমে। বিষয়টি নিয়ে অনেকের ক্ষোভ থাকলেও পিআইও-এর স্নেহধন্য হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠেছে। স্ত্রীর প্রক্সি ছাড়াও শুভ বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ একটি মহল জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ সালের ১৬ই  আগস্ট সেতু-কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে ঝুমুর রানীকে রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে কার্য সহকারি পদে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু যোগদানের তিন বছরে একদিনও অফিস করেনি ঝুমুর। তার বদলে প্রকাশ্যে স্বামী শুভ সিকদার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কিন্তু তিনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমারের স্নেহভাজন হওয়ার অফিসের অন্যান্যরা কোন প্রতিবাদ করেন না।

অভিযোগ রয়েছে, স্ত্রীর বদলে অফিস করা ছাড়াও পিআইও অফিসের সকল ঘুষ লেনদেনে জড়িত শুভ। পিআইও’র কাজ ছাড়াও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ফাইলপত্র থাকে তার কব্জায়। এসব কারণে উপজেলাবাসীর কাছে শুভ এখন দ্বিতীয় পিআইও অথবা কমিশন পারসন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।

ঘুষ লেনদেনসহ নানা অপকৌশলে শুভর দক্ষতা থাকায় বিগত দিনের কর্মকর্তারাও ব্যবস্থা নেননি তার বিরুদ্ধে। টিআর, কাবিখা, টাবিকাসহ নানা প্রকল্পের বরাদ্ধ পেতে প্রথমে শুভ’র প্রত্যয়ন নিতে হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

ওই অভিযোগে আরও বলা হয়, সকল উন্নয়ন প্রকল্প থেকে পিআইও অফিসের ঘুষ লেনদেন হয় শুভর মাধ্যমে। ইউনিয়ন ঘুরে ঘুরে ঘুষের এই অর্থ সংগ্রহ করে থাকেন শুভ। ২০১২ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত পিআইও তপন কুমার ঘোষ রাঙ্গাবালীতে আছেন। তপন কুমার পিরোজপুর থেকে রাঙ্গাবালীতে আসার সময় শুভকে সঙ্গে নিয়ে যোগদান করেন তিনি।
 
এ প্রসঙ্গে রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষ বলেন, শুভ আমাদের অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারি না হলেও সে আমাদেরকে হেল্প করে। তার স্ত্রী যদি অফিসে না এসে থাকে, তাহলে আপনারা তার বিরুদ্ধে নিউজ করে দিন। আমার কোন আপত্তি নেই।

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান জানান, স্ত্রীর চাকরিতে স্বামীর প্রক্সি দেয়ার কোন নিয়ম নেই। এটি সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত কাজ। আমরা তদন্ত করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা  নেবো।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status