দেশ বিদেশ
হুইপ ও তার পুত্র শারুনকে নিয়ে স্ট্যাটাস রোষানলে যুবলীগ নেতা
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৩ অক্টোবর ২০১৯, রবিবার, ৮:৫৩ পূর্বাহ্ন
জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ও তার পুত্র নাজমুল করিম শারুনকে জড়িয়ে বিভিন্ন সময়ে নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কয়েকটি স্ট্যাটাস দেন পটিয়া পৌরসভা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জমির উদ্দিন (৪৫)। তাতে বেশ কিছু আপত্তিকর মন্তব্য ও বিভিন্ন সংবাদ এবং আরও কিছু আপত্তিকর স্ট্যাটাসও তিনি শেয়ার করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন হুইপ, তার পুত্র শারুন ও অনুসারী নেতাকর্মীরা। ফলে তাদের রোষানলে পড়েন জমির উদ্দিন। একপর্যায়ে তার বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা করেন পটিয়া পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ তানভীর। এ মামলায় শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় জমির উদ্দিনকে। এদিকে জমির উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের পর পরই সাদা মুখোশ পরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বিক্ষোভ ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে তার সমর্থকরা। পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফবাজার থেকে জয় বাংলা স্লোগান দিতে দিতে উপজেলা পরিষদ সম্মুখ পর্যন্ত রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তাদের ছুড়ে মারা পাথর ও বোতলের আঘাতে এসব যাত্রীবাহী গাড়িতে থাকা এক শিশুসহ প্রায় ১২ জন যাত্রী ও চালক আহত হন। আহতদের পটিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর পরই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে ঘটনাস্থলের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পটিয়া থানার পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বোরহান উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী এবং হুইপ পুত্র নাজমুল করিম শারুনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় আপত্তিজনক স্ট্যাটাস দেয় যুবলীগ নেতা জমির উদ্দিন।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে পটিয়া পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ তানভীর জানতে চাইলে জমির তাকে হুমকি প্রদান করেন। এর প্রেক্ষিতে তানভীর তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় পটিয়া থানার এসআই মোহাম্মদ মামুনসহ একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে জমিরকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি বলেন, জমির উদ্দিনের বিরুদ্ধে খুন ও চাঁদাবাজিসহ থানায় আরো সুনির্দিষ্ট ৪টি মামলা রয়েছে। দেশের আরো বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা আছে। তার খোঁজ নেয়া হচ্ছে। জমির উদ্দিন পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত এনামুল হকের ছেলে।
তিনি আরো বলেন, শুক্রবার রাতে সড়কে হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় সর্বোচ্চ ৮ জন ছিল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তারা কারা এখনো নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। তাদের শনাক্ত করতে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করা হবে। গতকাল সকালে তাকে চট্টগ্রাম জেলা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জমিরকে গ্রেপ্তারের সংবাদে তার সমর্থকরা সন্ধ্যায় মুখোশ পরে রাস্তায় এসে অতর্কিতভাবে চলন্ত গাড়িতে ভাঙচুর করে। হামলায় অংশ নেয়া ৮ জনের মুখে সাদা কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। মুন্সেফবাজার এলাকা থেকে স্লোগান দিয়ে গাড়িতে ভাঙচুর করতে করতে উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত যায়। এরপর তারা ছন্দা সিনেমা সড়ক হয়ে দক্ষিণ দিকে পালিয়ে যায়।
পটিয়া হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আহতদের মধ্যে শিশু আসিফের জ্ঞান ছিল না। দীর্ঘ সময় পর তার জ্ঞান ফেরে। পাথরের আঘাতে তার মুখমণ্ডলে বড় ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং বেশ কয়েকটি দাঁত পড়ে গেছে। রক্তক্ষরণ বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া পটিয়া উপজেলার পূর্ব হাইদগাঁও গ্রামের দিদারুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ আসিফ (১৩) ও চন্দনাইশ উপজেলার বাসিন্দা কালা মিয়ার ছেলে গাড়ি চালক রমজান আলী (৫০) গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুবলীগের নেতাকর্মীদের দাবি, চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড ক্লাবে জুয়া নিয়ে বিতর্কিত হয়ে পড়ার পর হুইপ সামশুল আলমকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট দেয় নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলমকে চড় মেরে দাঁত ফেলে দেয়াসহ নানা হুমকি-ধমকির ভিডিও ভাইরাল হয় হুইপ পুত্র নাজমুল করিম শারুনের। ফলে তাকে নিয়েও মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় পোস্ট দেয় যুবলীগ নেতা জমির উদ্দিনও। ফলে হুইপ ও তার পুত্র শারুনসহ অনুসারী নেতাকর্মীদের রোষানলে পড়ে জমির উদ্দিন।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ও তার পুত্র নাজমুল করিম শারুন কেউই ফোন রিসিভ করেননি।
পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বোরহান উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী এবং হুইপ পুত্র নাজমুল করিম শারুনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় আপত্তিজনক স্ট্যাটাস দেয় যুবলীগ নেতা জমির উদ্দিন।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে পটিয়া পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ তানভীর জানতে চাইলে জমির তাকে হুমকি প্রদান করেন। এর প্রেক্ষিতে তানভীর তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় পটিয়া থানার এসআই মোহাম্মদ মামুনসহ একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে জমিরকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি বলেন, জমির উদ্দিনের বিরুদ্ধে খুন ও চাঁদাবাজিসহ থানায় আরো সুনির্দিষ্ট ৪টি মামলা রয়েছে। দেশের আরো বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা আছে। তার খোঁজ নেয়া হচ্ছে। জমির উদ্দিন পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত এনামুল হকের ছেলে।
তিনি আরো বলেন, শুক্রবার রাতে সড়কে হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় সর্বোচ্চ ৮ জন ছিল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তারা কারা এখনো নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। তাদের শনাক্ত করতে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করা হবে। গতকাল সকালে তাকে চট্টগ্রাম জেলা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জমিরকে গ্রেপ্তারের সংবাদে তার সমর্থকরা সন্ধ্যায় মুখোশ পরে রাস্তায় এসে অতর্কিতভাবে চলন্ত গাড়িতে ভাঙচুর করে। হামলায় অংশ নেয়া ৮ জনের মুখে সাদা কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। মুন্সেফবাজার এলাকা থেকে স্লোগান দিয়ে গাড়িতে ভাঙচুর করতে করতে উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত যায়। এরপর তারা ছন্দা সিনেমা সড়ক হয়ে দক্ষিণ দিকে পালিয়ে যায়।
পটিয়া হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আহতদের মধ্যে শিশু আসিফের জ্ঞান ছিল না। দীর্ঘ সময় পর তার জ্ঞান ফেরে। পাথরের আঘাতে তার মুখমণ্ডলে বড় ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং বেশ কয়েকটি দাঁত পড়ে গেছে। রক্তক্ষরণ বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া পটিয়া উপজেলার পূর্ব হাইদগাঁও গ্রামের দিদারুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ আসিফ (১৩) ও চন্দনাইশ উপজেলার বাসিন্দা কালা মিয়ার ছেলে গাড়ি চালক রমজান আলী (৫০) গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুবলীগের নেতাকর্মীদের দাবি, চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড ক্লাবে জুয়া নিয়ে বিতর্কিত হয়ে পড়ার পর হুইপ সামশুল আলমকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট দেয় নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলমকে চড় মেরে দাঁত ফেলে দেয়াসহ নানা হুমকি-ধমকির ভিডিও ভাইরাল হয় হুইপ পুত্র নাজমুল করিম শারুনের। ফলে তাকে নিয়েও মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় পোস্ট দেয় যুবলীগ নেতা জমির উদ্দিনও। ফলে হুইপ ও তার পুত্র শারুনসহ অনুসারী নেতাকর্মীদের রোষানলে পড়ে জমির উদ্দিন।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ও তার পুত্র নাজমুল করিম শারুন কেউই ফোন রিসিভ করেননি।