বাংলারজমিন
প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় জীবন দিলো তরুণী
মাদারীপুর প্রতিনিধি
১৩ অক্টোবর ২০১৯, রবিবার, ৮:১২ পূর্বাহ্ন
প্রেম প্রত্যাখ্যান করে দেয়ায় মাদারীপুরের ডাসারে নাসিমা আক্তার-(১৭) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। সে উপজেলার শনমন্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। গতকাল ভোরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছেন থানা পুলিশ। এলাকা, পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বালীগ্রাম এলাকার শনমন্দী গ্রামের সেকেন্দার আলী খানের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে নাসিমা আক্তারের সঙ্গে একই এলাকার আচমত আলী খানের ছেলে কাতার প্রবাসী মো. সাখাওয়াত হোসেনের দীর্ঘদিন যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। এ সুবাদে ওই প্রবাসী প্রেমিকের সঙ্গে নাসিমা মাঝে মধ্যে মুঠোফোনে কথা বলতেন। এদিকে তাদের সম্পর্কের বিষয়টি এলাকাবাসীর মাঝে জানাজানি হয়ে যায়। এ নিয়ে উভয়য়ের মাঝে ফোনে একাধিকবার কথাকাটাকাটি হয়। এবং ওই স্কুলছাত্রীর প্রেমকে অস্বীকার করেন ওই প্রবাসী প্রেমিক সাখাওয়াত হোসেন। এতে অভিমান করে শুক্রবার দিবাগত রাতে নাসিমা পরিবারের সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে বসতঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে পরিবারের লোকজন তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে উপজেলার ডাসার থানার এসআই মো. ফরিদ উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ওই পরীক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
নিহতের মা সেলিনা বেগম বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ সাখাওয়াতের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। এবং তাদের বিয়ের কথাও চলছে। এ বিষয়টি এলাকার সবাই জানে। কয়েকদিন যাবৎ এ বিষয় নিয়ে মোবাইলে আমার মেয়ের সঙ্গে সাখাওয়াতের ঝগড়া হয়। সাখাওয়াত বলে তাকে পাঁচ লাখ টাকা না দিলে আমার মেয়েকে বিয়ে করবে না। এই শোক সইতে না পেরে আমার মেয়ে নাসিমা আত্মহত্যা করছে। আমরা সাখাওয়াতের বিচার চাই। অভিযুক্ত প্রবাসী মো. সাখাওয়াত হোসেনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদেরকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে ডাসার থানার ওসি তদন্ত মো. নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছি। সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
নিহতের মা সেলিনা বেগম বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ সাখাওয়াতের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। এবং তাদের বিয়ের কথাও চলছে। এ বিষয়টি এলাকার সবাই জানে। কয়েকদিন যাবৎ এ বিষয় নিয়ে মোবাইলে আমার মেয়ের সঙ্গে সাখাওয়াতের ঝগড়া হয়। সাখাওয়াত বলে তাকে পাঁচ লাখ টাকা না দিলে আমার মেয়েকে বিয়ে করবে না। এই শোক সইতে না পেরে আমার মেয়ে নাসিমা আত্মহত্যা করছে। আমরা সাখাওয়াতের বিচার চাই। অভিযুক্ত প্রবাসী মো. সাখাওয়াত হোসেনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদেরকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে ডাসার থানার ওসি তদন্ত মো. নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছি। সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।