প্রথম পাতা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা
স্টাফ রিপোর্টার
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৮:৫৯ পূর্বাহ্ন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে। ছাত্রলীগ কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কর্মী। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় আরো আহত হয়েছেন রোকেয়া হলের ছাত্রী শ্রবনা শফিক দীপ্তি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মণসহ কয়েকজন।
গতকাল দুপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে তাঁর কার্যালয় ঘেরাও করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুর্নীতি ও জালিয়াতির বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যানারে দুপর সাড়ে ১২টার দিকে টিএসসি থেকে মিছিল নিয়ে ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের কার্যালয় ঘেরাও করেন ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশন, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও স্বতন্ত্র জোটের নেতা-কর্মীরা।
একই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ ব্যানারে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ এলাকায় যান ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী একদল নেতা-কর্মী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সনজিত ও সাদ্দামের অনুসারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় কয়েক দফা মারধর ও ধাক্কাধাক্কির পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। তাঁদের অভিযোগ, হামলার সময় ছাত্রলীগকে সহযোগিতা করতে নীরব ভূমিকায় ছিল প্রক্টরিয়াল বডি। মিছিল নিয়ে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন তাঁরা। কয়েক দফা মারধর ও ধাক্কাধাক্কির পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।
এই ঘটনার পরে ডিনের কার্যালয়ে তার সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল। আলোচনা শেষে বেরিয়ে প্রতিনিধি দলেন অন্যতম ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈম বলেন, ডিন বলেছেন যে আমাদের ওপর ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের হামলার বিষয়ে তিনি জানেন না। একপর্যায়ে তিনি বলেছেন, আমরা তাঁর ছাত্র নই। তাহলে আমরাও বলছি, উনিও আমাদের শিক্ষক নন। ওনাকে আমরা ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। পরে আন্দোলনরতরা ডিনের কার্যালয়ে তালা দেন।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে গত মার্চে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের ৩৪ জন সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মীকে একটি সন্ধ্যাকালীন কোর্সে নিয়মবহির্ভূতভাবে ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়। এই নিয়ে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। ভিসি মো. আখতারুজ্জামান ও অনুষদের ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের পদত্যাগ, সেই সঙ্গে পরিক্ষা ছাড়া ভর্তি হওয়া সেই ৩৪ জনের ছাত্রত্ব বাতিলসহ তাঁদের মধ্যে ডাকসু ও হল সংসদে নির্বাচিত আট নেতার পদত্যাগ এবং রোকেয়া হলে নিয়োগ-বাণিজ্যের ঘটনায় জড়িত হল প্রাধ্যক্ষ জিনাত হুদা ও হল সংসদের ভিপি ইসরাত জাহান, জিএস সায়মা প্রমির পদত্যাগ দাবিতে ছিল শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচি।
এই বিষয়ে অধ্যাপক প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, প্রক্টরিয়াল বডির পক্ষ থেকে দুই পক্ষকেই সংযত থাকতে বলা হয়েছে। তারপরও তাদের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগের ব্যাপারে ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন,সকল নিয়ম নীতি মেনেই আমরা তাদের ভর্তি করিয়েছি। এর আগেও শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়েছি। এর আগে তো কেউ প্রতিবাদ করেনি। এখন রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য শিক্ষার্থীরা না বুঝে এমনটা করছে। পদত্যাগের ব্যাপারে তিনি বলেন ,আমার পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না। ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকদের আস্থায় আমাকে ডিন বানানো হয়েছে। এখন শিক্ষকরাই পারে আমাকে এই পদ থেকে সরাতে।
গতকাল দুপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে তাঁর কার্যালয় ঘেরাও করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুর্নীতি ও জালিয়াতির বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যানারে দুপর সাড়ে ১২টার দিকে টিএসসি থেকে মিছিল নিয়ে ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের কার্যালয় ঘেরাও করেন ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশন, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও স্বতন্ত্র জোটের নেতা-কর্মীরা।
একই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ ব্যানারে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ এলাকায় যান ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী একদল নেতা-কর্মী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সনজিত ও সাদ্দামের অনুসারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় কয়েক দফা মারধর ও ধাক্কাধাক্কির পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। তাঁদের অভিযোগ, হামলার সময় ছাত্রলীগকে সহযোগিতা করতে নীরব ভূমিকায় ছিল প্রক্টরিয়াল বডি। মিছিল নিয়ে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন তাঁরা। কয়েক দফা মারধর ও ধাক্কাধাক্কির পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।
এই ঘটনার পরে ডিনের কার্যালয়ে তার সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল। আলোচনা শেষে বেরিয়ে প্রতিনিধি দলেন অন্যতম ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈম বলেন, ডিন বলেছেন যে আমাদের ওপর ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের হামলার বিষয়ে তিনি জানেন না। একপর্যায়ে তিনি বলেছেন, আমরা তাঁর ছাত্র নই। তাহলে আমরাও বলছি, উনিও আমাদের শিক্ষক নন। ওনাকে আমরা ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। পরে আন্দোলনরতরা ডিনের কার্যালয়ে তালা দেন।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে গত মার্চে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের ৩৪ জন সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মীকে একটি সন্ধ্যাকালীন কোর্সে নিয়মবহির্ভূতভাবে ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়। এই নিয়ে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। ভিসি মো. আখতারুজ্জামান ও অনুষদের ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের পদত্যাগ, সেই সঙ্গে পরিক্ষা ছাড়া ভর্তি হওয়া সেই ৩৪ জনের ছাত্রত্ব বাতিলসহ তাঁদের মধ্যে ডাকসু ও হল সংসদে নির্বাচিত আট নেতার পদত্যাগ এবং রোকেয়া হলে নিয়োগ-বাণিজ্যের ঘটনায় জড়িত হল প্রাধ্যক্ষ জিনাত হুদা ও হল সংসদের ভিপি ইসরাত জাহান, জিএস সায়মা প্রমির পদত্যাগ দাবিতে ছিল শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচি।
এই বিষয়ে অধ্যাপক প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, প্রক্টরিয়াল বডির পক্ষ থেকে দুই পক্ষকেই সংযত থাকতে বলা হয়েছে। তারপরও তাদের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগের ব্যাপারে ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন,সকল নিয়ম নীতি মেনেই আমরা তাদের ভর্তি করিয়েছি। এর আগেও শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়েছি। এর আগে তো কেউ প্রতিবাদ করেনি। এখন রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য শিক্ষার্থীরা না বুঝে এমনটা করছে। পদত্যাগের ব্যাপারে তিনি বলেন ,আমার পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না। ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকদের আস্থায় আমাকে ডিন বানানো হয়েছে। এখন শিক্ষকরাই পারে আমাকে এই পদ থেকে সরাতে।