বাংলারজমিন
বাংলাদেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অশুভ পাঁয়তারা
জাভেদ ইকবাল, রংপুর থেকে
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৮:৩৪ পূর্বাহ্ন
রংপুরে উপনির্বাচনে নির্বাচন কমিশনারের হটকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে হিন্দু নেতাদের অভিযোগ বাংলাদেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অশুভ পাঁয়তারা চলছে। রংপুর সদর-৩ উপনির্বাচনে তারিখ পরিবর্তন করা না হলে নির্বাচন বর্জন ও শারদীয় দুর্গা উৎসব বর্জনসহ বৃহত্তর কর্মসূচি নিয়ে রংপুরকে অচল করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে রংপুর জেলা পূজা উদ্যাপন কমিটি। ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে গতকাল রংপুর প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ধীমান ভট্টাচার্য বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের মৃত্যুর পর এ শূন্য আসনে নির্বাচন কমিশন ৫ই অক্টোবর উপনির্বাচনের আয়োজন করেছে। এতে রাষ্ট্রের সকল ধর্ম, বর্ণের মানুষের নৈতিক অধিকার তার প্রতিনিধি নির্বাচনে অংশ নেয়া। কিন্তু শারদীয় দুর্গা উৎসবের মধ্যে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হলে সমাজের একটি বড় অংশ এই অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের খাম খেয়ালিপনায় এ নির্বাচনের তারিখকে হটকারী সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দরা বলেন, বাংলাদেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করবার অশুভ পাঁয়তারা। তারা বলেন, ৫ই অক্টোবর উপনির্বাচনের দিন সনাতন সম্প্রদায়ের মহাসপ্তমী পূজা। এ দিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে এ সম্প্রদায়ের লোকজন সীমাহীন সমস্যার সম্মুখীন হবে। নির্বাচনের আগে ৪৮ ঘণ্টা ভারী যানবাহন বন্ধ রাখা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে দূর-দূরান্তের মানুষজন পূজা মণ্ডপের প্রতীমায় আসতে পারবে না। এছাড়া এ নির্বাচনী আসনে বিভিন্ন স্থানে ও স্কুলে অস্থায়ী মন্দির নির্মাণ করে পূজা অর্চনা করা হয়। কিন্তু সেই সময় ওই স্কুলে ভোটকেন্দ্র স্থাপন হলে পূজা করা সম্ভব হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তবে শারদীয় দুর্গোৎসবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে। সনাতন সম্প্রদায়ের অনেক পুরুষ নির্বাচন গ্রহণ প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট থাকবেন, সেই সব পরিবারের বাকি সদস্যরা পূজার আনন্দ ও আয়োজন থেকে বঞ্চিত হবে। নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর লক্ষ্যে অসাধু ব্যক্তিদের পূজা মণ্ডপ টার্গেট হতে পারে। তাই আমরা এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, ভোট গ্রহণের তারিখ পরিবর্তনের জন্য। অন্যথায় রংপুর জেলার ৯৫২ মণ্ডপে পূজা বর্জন, অনশন ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হবে। রংপুর জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অজয় প্রসাদ বাবনসহ সংবাদ সম্মেলনে অন্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভবতোষ সরকার বাচ্চু, অ্যাডভোকেট প্রশান্ত কুমার রায়, সুব্রত সরকার, বিভূতি ভূষণ সরকার, দেবদাস ঘোষ দেবু, প্রদীপ মহন্ত, রতন কুমার রায় প্রমুখ।