ষোলো আনা
থমকে আছে সৈকতের সৃষ্টি
পিয়াস সরকার
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, ৮:৩৭ পূর্বাহ্ন
পাট দিয়ে তৈরি বাইসাইকেল বানিয়ে বেশ আলোচনায় এসেছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার নোমান সৈকত। কিন্তু আর্থিক কারণে এগিয়ে নিতে পারছেন না এই কার্যক্রম। এই আবিষ্কারকে এগিয়ে নিতে চাই গবেষণা। গবেষণার অর্থ যোগান না হওয়ার কারণেই বৃহৎ পরিসরে বাজারে আনতে পারছেন না তিনি।
নোমান সৈকত ঢাকা পলিটেকনিক থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ানিং পাস করেন ২০১৪ সালে। এরপর প্রবেশ করেন চাকরিতে। সেই বছরই চাকরি ছেড়ে দিয়ে শুরু করেন গ্রাহকদের পছন্দমতো বাইসাইকেল বানানো।
বাইসাইকেলের হালকা ও টেকসই করে বানাতে গিয়ে মাথায় আসে পাটের আঁশ দিয়ে বানানোর চিন্তা। এরপর ৬ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম শেষে বানিয়ে ফেলেন সোনালী আঁশ দিয়ে বাইসাইকেল।
নোমান সৈকত বলেন, ৬ বছর ধরে তার এই কার্যক্রম চলছে। হালকা বস্তু খোঁজার জন্য প্রয়োজন পড়ে কার্বন ফাইবারের। কিন্তু কার্বন ফাইবারের দাম চড়া হওয়ায় স্বল্পমূল্যে পাওয়া যায় এমন বস্তু খুঁজতে থাকি। তখনই পাটের আঁশ নিয়ে কাজ করা শুরু করি।
তিনি আরো বলেন, পাট দিয়ে তৈরি বাইসাইকেল বানাতে খরচ হয় মাত্র ১৫-১৭ হাজার টাকা। বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করলে এটির খরচ দাঁড়াবে মাত্র ১০ হাজার টাকা। এই পরিবেশ-বান্ধব বাইসাইকেল ব্যবহার করা যাবে ৫০ বছর।
তবে এটিকে বৃহৎ আকারে নিয়ে আসতে পারছেন না সৈকত। কারণ এটি বাণিজ্যিকভাবে তৈরির জন্য চাই গবেষণা। আর এই গবেষণায় প্রয়োজন প্রায় ১০ লাখ টাকা। এই টাকা পেলে এক থেকে দেড়বছরের মধ্যে বাজারে আনতে পারবেন টেকসই, পরিবেশ-বান্ধব ও হালকা এই বাইসাইকেল।