ভারত
কাশ্মীর নিয়ে মামলার শুনানি হবে
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সরকারের মত জানতে চেয়েছে
কলকাতা প্রতিনিধি
২৯ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ২:৫৪ পূর্বাহ্ন
কাশ্মীর প্রশ্নে ভারতের শীর্ষ আদালত সরকারের জবাব তলব করেছে। সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল এবং জম্মু-কাশ্মীরকে দ্বিখন্ডিত করার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে। বুধবার এই সব মামলার শুনানিতে আদালত সরকার পক্ষের আইনজীবীর সওয়ালের জবাবে কড়া মন্তব্য করে বলেছেন, আদালত জানে, তার কী করা উচিত। এদিন সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকার ও জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনকে নোটিস পাঠিয়ে সাত দিনের মধ্যে জবাব চেয়েছে । এমনকি এদিন জম্মু-কাশ্মীরে সংবাদ মাধ্যমের উপরে নিষেধাজ্ঞা নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকার ও জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের কাছ থেকে জবাব চাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্ট সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে তার দলের এক নেতার সঙ্গে দেখা করতে এবং কাশ্মীরের এক আইনের ছাত্রকে তারা বাবা মা ও বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে কাশ্মীরে যাবার অনুমতি দিয়েছেন। আদালত প্রশাসনকে এই দু’জনের নিরাপত্তার সব ব্যবস্থা করতে বলেছেন। গত এক মাসে কোনও রাজনৈতিক নেতাকে জম্মু-কাশ্মীরে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি সরকার । একাধিকবার তাদের শ্রীনগর বিমানবন্দরে আটকে রেখে দিল্লিতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট এক নির্দেশে জানিয়ে দিয়েছে, সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ, ‘জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন, ২০১৯’ এবং এই সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তার সবগুলির একসঙ্গে শুনানি হবে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে সাংবিধানিক বেঞ্চে শুনানি শুরু হবে মামলাগুলির। ৩৭০ বিলোপের জেরে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের বিরোধিতায় প্রথম মামলা করেছিলেন আইনজীবী এম এল শর্মা। পরে মামলা করেছেন কাশ্মীরি আইনজীবী শাকির সাবির। উপত্যকাবাসীর অধিকার হরণের অভিযোগ তুলে ন্যাশনাল কনফারেন্সও মামলা করেছে। আদালতে গিয়েছেন সাবেক আমলা শাহ ফয়সল, ছাত্র নেত্রী শেহলা রশিদ, বেশ কয়েকজন সাবেক প্রশাসনিক ও সামরিক কর্তা, সাবেক প্রতিরক্ষা কর্তা-সহ অনেকে।
কাশ্মীরে সংবাদমাধ্যমের উপরে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন উপত্যকার এক সংবাদপত্রের কার্যনির্বাহী সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন। বুধবার শীর্ষ আদালতে অনুরাধার আইনজীবী বলেছেন, ২৪ দিন ধরে কাশ্মীর থেকে কার্যত কোনও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এরপরেই আদালত সরকারের কাছে জবাব চেয়েছে।
উপত্যকার সংবাদপত্রগুলির অধিকাংশই এখন চার পাতার বেশি প্রকাশ করতে পারছে না। তাতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরকারি বিজ্ঞপ্তি ছাপা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমকে চাপে ফেলতে আগেই কয়েকটি সংবাদপত্রে সরকারি বিজ্ঞাপন কমানো হয়েছিল। তার জেরে হয়েছে কর্মী ছাঁটাইও। তবে কেন্দ্রীয় সরকার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাশ্মীরের মানুষকে কাছে টানার কাজ অবিলম্বে শুরু করতে চাইছে বলে জানা গেছে। গত বুধবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছেন। এদিন তিনি মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে বলেছেন, এর আগে দু’টি পরিবার জম্মু-কাশ্মীর শাসন করেছে। কেন্দ্র কোটি কোটি টাকার সাহায্য দিলেও রাজ্যের সাধারণ মানুষের উপকার হয়নি। কিছু প্রভাবশালীই অর্থ আত্মসাৎ করেছে। তাই কাশ্মীর নিয়ে এখনই উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ মর্যাদা বিলোপ ও জম্মু-কাশ্মীরকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার সিদ্ধান্তের পরে মোদী সরকারের কোনও শীর্ষ মন্ত্রী সেখানে যাননি। এবার লাদাখে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক কাশ্মীরের জন্য সরকার কি করেছে এবং কি করবে তার তথ্য জানিয়েছেন সাংবাদিকদের। তিনি বলেছেন, আপেল চাষিদের কোনও ক্ষতি আমরা হতে দেব না। সেজন্য সরকার বিশেষ প্রকল্প তৈরি করছে। বাজারদরের চেয়ে অন্তত ১০ রুপি বেশি সহায়ক মূল্যে সরকার ৭ লক্ষ আপেল চাষির কাছ থেকে আপের কিনবে। তিনি জানিয়েছেন, গত ছ’মাসে রাজ্যে ৫২টি কলেজ তৈরি হয়েছে। আরও ৫০টি ডিগ্রি কলেজ তৈরি হবে। ২৩৮টি জুনিয়র হাইস্কুলের উন্নতি করা হয়েছে। মেয়েদের জন্য আলাদা কলেজ তৈরি হবে। এমস তৈরি হচ্ছে। তৈরি হয়েছে ৫টি মেডিক্যাল কলেজ। বেড়েছে মেডিক্যালে আসনের সংখ্যাও। রাজ্যের প্রতি জেলায় আইটিআই ও দক্ষতাবৃদ্ধি কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
বিক্ষোভের জন্য ‘ফ্রিডম স্ট্রিট’ হিসেবে পরিচিত পুরনো শ্রীনগওে সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বলে জানা গেছে। বোহরি কাদাল, রাজৌরি কাদাল, খানিয়ার, নওহাট্টা, গোজওয়ারা, হাওয়ালের মতো এলাকায় কোনও ব্যারিকেড নেই। তবে বাজার এখনও বন্ধ। রাস্তাঘাট জনমানবশূণ্য। তবে মানুষ যে ক্ষুব্ধ সেটা মানুষের সঙ্গে কথা বলে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা জানতে পেরেছেন। তবে কাশ্মীরের প্রায় সব রাজনৈতিক নেতাই এখনও হয় গৃহবন্দি, নয় জেলে।
কাশ্মীরে সংবাদমাধ্যমের উপরে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন উপত্যকার এক সংবাদপত্রের কার্যনির্বাহী সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন। বুধবার শীর্ষ আদালতে অনুরাধার আইনজীবী বলেছেন, ২৪ দিন ধরে কাশ্মীর থেকে কার্যত কোনও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এরপরেই আদালত সরকারের কাছে জবাব চেয়েছে।
উপত্যকার সংবাদপত্রগুলির অধিকাংশই এখন চার পাতার বেশি প্রকাশ করতে পারছে না। তাতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরকারি বিজ্ঞপ্তি ছাপা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমকে চাপে ফেলতে আগেই কয়েকটি সংবাদপত্রে সরকারি বিজ্ঞাপন কমানো হয়েছিল। তার জেরে হয়েছে কর্মী ছাঁটাইও। তবে কেন্দ্রীয় সরকার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাশ্মীরের মানুষকে কাছে টানার কাজ অবিলম্বে শুরু করতে চাইছে বলে জানা গেছে। গত বুধবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছেন। এদিন তিনি মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে বলেছেন, এর আগে দু’টি পরিবার জম্মু-কাশ্মীর শাসন করেছে। কেন্দ্র কোটি কোটি টাকার সাহায্য দিলেও রাজ্যের সাধারণ মানুষের উপকার হয়নি। কিছু প্রভাবশালীই অর্থ আত্মসাৎ করেছে। তাই কাশ্মীর নিয়ে এখনই উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ মর্যাদা বিলোপ ও জম্মু-কাশ্মীরকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার সিদ্ধান্তের পরে মোদী সরকারের কোনও শীর্ষ মন্ত্রী সেখানে যাননি। এবার লাদাখে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক কাশ্মীরের জন্য সরকার কি করেছে এবং কি করবে তার তথ্য জানিয়েছেন সাংবাদিকদের। তিনি বলেছেন, আপেল চাষিদের কোনও ক্ষতি আমরা হতে দেব না। সেজন্য সরকার বিশেষ প্রকল্প তৈরি করছে। বাজারদরের চেয়ে অন্তত ১০ রুপি বেশি সহায়ক মূল্যে সরকার ৭ লক্ষ আপেল চাষির কাছ থেকে আপের কিনবে। তিনি জানিয়েছেন, গত ছ’মাসে রাজ্যে ৫২টি কলেজ তৈরি হয়েছে। আরও ৫০টি ডিগ্রি কলেজ তৈরি হবে। ২৩৮টি জুনিয়র হাইস্কুলের উন্নতি করা হয়েছে। মেয়েদের জন্য আলাদা কলেজ তৈরি হবে। এমস তৈরি হচ্ছে। তৈরি হয়েছে ৫টি মেডিক্যাল কলেজ। বেড়েছে মেডিক্যালে আসনের সংখ্যাও। রাজ্যের প্রতি জেলায় আইটিআই ও দক্ষতাবৃদ্ধি কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
বিক্ষোভের জন্য ‘ফ্রিডম স্ট্রিট’ হিসেবে পরিচিত পুরনো শ্রীনগওে সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বলে জানা গেছে। বোহরি কাদাল, রাজৌরি কাদাল, খানিয়ার, নওহাট্টা, গোজওয়ারা, হাওয়ালের মতো এলাকায় কোনও ব্যারিকেড নেই। তবে বাজার এখনও বন্ধ। রাস্তাঘাট জনমানবশূণ্য। তবে মানুষ যে ক্ষুব্ধ সেটা মানুষের সঙ্গে কথা বলে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা জানতে পেরেছেন। তবে কাশ্মীরের প্রায় সব রাজনৈতিক নেতাই এখনও হয় গৃহবন্দি, নয় জেলে।