শেষের পাতা
মিয়ানমারকে বাংলাদেশ
দায়বদ্ধতা ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মনোনিবেশ করুন
কূটনৈতিক রিপোর্টার
২৬ আগস্ট ২০১৯, সোমবার, ৯:৩২ পূর্বাহ্ন
রোহিঙ্গা সমস্যার উপযুক্ত সমাধানে ‘দায়বদ্ধতা’ এবং ‘প্রতিশ্রুতি’ বাস্তবায়নে পুরোপুরিভাবে মনোনিবেশ করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। সংকটের টেকসই সমাধানে এটা ‘জরুরি’ বলে মনে করে ঢাকা। রোববার রোহিঙ্গা ঢলের দুই বছরপূর্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে জারি করা আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ এ আহ্বান জানায়। এতে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়া, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া তদারকি করা এবং মিয়ানমারে বসবাসরত অন্য জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফের একত্রীকরণের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে মিয়ানমার সরকারের উচিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলে একটি ‘সমন্বিত পদক্ষেপ’ বা উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা। দীর্ঘস্থায়ী ওই সংকটের জন্য পুরোপুরি দায়বদ্ধ এমন একটি পক্ষ (মিয়ানমার) কর্তৃক প্রত্যাবাসন প্রয়াসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করা ভিত্তিহীন, অশুভ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করেই বলা হয়- যারাই ফিরতে চায়, যে কোনো সময় তাদের ফেরৎ পাঠাতে বাংলাদেশ সরকার জাতিগত ও ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে ‘কাউকে বাধা না দেয়ার’ নীতিগত অবস্থান বজায় রেখে চলেছে। মিয়ানমার বিভিন্ন সময়ে দাবি করছে যে তারা ‘বাস্তুচ্যুতদের গ্রহণে প্রস্তুত’ এবং বাস্তুচ্যুতদের ফিরে যেতে রাজী করাতে দেশটির একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের কক্সবাজার ক্যাম্প পরিদর্শন এবং তাদের (রোহিঙ্গা) প্রতিনিধিদের সঙ্গে (২৭-২৮ জুলাই) আলোচনা করেছে, যার প্রেক্ষিতে ২২ শে আগস্ট প্রত্যাবাসন শুরু করতে সহায়তায় বাংলাদেশ অঙ্গীকার করেছিল। যে অঙ্গীকারে নীতিগত অবস্থান ছিল ‘স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন’।
বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমারের ভেরিফাই করা ৩৪৫০ জনের একটি তালিকা পেয়েছিল, যেটি জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয় সংস্থা ইউএনএইচসিআরকে দেয়া হয়েছিল জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর মধ্যমে। এটা যাচাই করতে যে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বাস্তুচ্যুতরা রাখাইনে স্বেচ্ছায় ফিরতে রাজী কি-না? একই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার তার যে দায়িত্ব বাস্তুচ্যুতদের নিরাপত্তা এবং ফেরত পাঠানোর প্রয়োজনীয় লজিস্টিক, বাস-ট্রাক নিয়ে প্রস্তুত ছিল। তালিকা ধরে ২২ শে আগস্ট পর্যন্ত ইউএনএইচসিআর ১ হাজার ২শ ৭৬ জনের ৩৩৯ টি পরিবারের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে। সাক্ষাৎকার গ্রহণের ওই প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত সব তথ্য এবং মিয়ানমার সরকার কতৃক প্রেরিত ফ্যাক্ট শিট শেয়ার করা হয় পরিবারগুলোর সঙ্গে। তাদের এমন একটি পরিবেশে বিশেষ করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় যেখানে তারা তাদের মতামত মুক্তভাবে ব্যক্ত করতে পারে। কিন্তু দুভ্যাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কোন পরিবারের একজনও ফেরত যেতে রাজী হয়নি। তারা মনে করে রাখাইনে এখনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা যথেস্ট নয়। সার্বিকভাবে রাখাইনে তাদের ফেরার মত পরিবেশ এখনও আসেনি। তারা বিশেষভাবে রাখাইনে ফেরার পর তাদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে।
বেশীরভাগ পরিবারের তরফে বলা হয়, এখনও রাখাইনের প্রত্যাবাসের প্রত্যাশিত অগ্রগতি না হওয়া, বিশেষ করে আইনের শাসন, তাদের অধিকার বিষয়ক ইস্যুগুলো যেমন নাগরিকত্ব, মুক্তভাবে চলাফেরার নিশ্চয়তা এবং বলপূর্বক কেড়ে নেয়া বসতভিটা-জমি জমার অধিকার ফেরৎ পাওয়ার নিশ্চিয়তা না পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে। তারা কেউ বলেনি ফিরতে চায় না, তারা সবাই বলেছে ফিরতে চায়, কিন্তু অবশ্য তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো মিয়ানমার সরকারকে মানতে হবে। তাদের সঙ্গে মিয়ানমার সরকারের আলোচনায় তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা, প্রত্যাবাসন তদারি এবং রি-ইন্টিগ্রেশনে রাখাইনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উপস্থিতির দাবি করেছিল। মিয়ানমারও তাদের নাগরিকত্বসহ মৌলিক দাবিগুলো মেনে নেয়ার উপায় খূজতে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু এ নিয়ে মিয়ানমারের পরবর্তী কোন পদক্ষেপ দৃশ্যমান না হওয়ায় রোহিঙ্গারা তাদের বিরক্তি প্রকাশ করে।
বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমারের ভেরিফাই করা ৩৪৫০ জনের একটি তালিকা পেয়েছিল, যেটি জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয় সংস্থা ইউএনএইচসিআরকে দেয়া হয়েছিল জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর মধ্যমে। এটা যাচাই করতে যে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বাস্তুচ্যুতরা রাখাইনে স্বেচ্ছায় ফিরতে রাজী কি-না? একই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার তার যে দায়িত্ব বাস্তুচ্যুতদের নিরাপত্তা এবং ফেরত পাঠানোর প্রয়োজনীয় লজিস্টিক, বাস-ট্রাক নিয়ে প্রস্তুত ছিল। তালিকা ধরে ২২ শে আগস্ট পর্যন্ত ইউএনএইচসিআর ১ হাজার ২শ ৭৬ জনের ৩৩৯ টি পরিবারের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে। সাক্ষাৎকার গ্রহণের ওই প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত সব তথ্য এবং মিয়ানমার সরকার কতৃক প্রেরিত ফ্যাক্ট শিট শেয়ার করা হয় পরিবারগুলোর সঙ্গে। তাদের এমন একটি পরিবেশে বিশেষ করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় যেখানে তারা তাদের মতামত মুক্তভাবে ব্যক্ত করতে পারে। কিন্তু দুভ্যাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কোন পরিবারের একজনও ফেরত যেতে রাজী হয়নি। তারা মনে করে রাখাইনে এখনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা যথেস্ট নয়। সার্বিকভাবে রাখাইনে তাদের ফেরার মত পরিবেশ এখনও আসেনি। তারা বিশেষভাবে রাখাইনে ফেরার পর তাদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে।
বেশীরভাগ পরিবারের তরফে বলা হয়, এখনও রাখাইনের প্রত্যাবাসের প্রত্যাশিত অগ্রগতি না হওয়া, বিশেষ করে আইনের শাসন, তাদের অধিকার বিষয়ক ইস্যুগুলো যেমন নাগরিকত্ব, মুক্তভাবে চলাফেরার নিশ্চয়তা এবং বলপূর্বক কেড়ে নেয়া বসতভিটা-জমি জমার অধিকার ফেরৎ পাওয়ার নিশ্চিয়তা না পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে। তারা কেউ বলেনি ফিরতে চায় না, তারা সবাই বলেছে ফিরতে চায়, কিন্তু অবশ্য তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো মিয়ানমার সরকারকে মানতে হবে। তাদের সঙ্গে মিয়ানমার সরকারের আলোচনায় তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা, প্রত্যাবাসন তদারি এবং রি-ইন্টিগ্রেশনে রাখাইনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উপস্থিতির দাবি করেছিল। মিয়ানমারও তাদের নাগরিকত্বসহ মৌলিক দাবিগুলো মেনে নেয়ার উপায় খূজতে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু এ নিয়ে মিয়ানমারের পরবর্তী কোন পদক্ষেপ দৃশ্যমান না হওয়ায় রোহিঙ্গারা তাদের বিরক্তি প্রকাশ করে।