বিশ্বজমিন
ইইউ’র কাছে বরিস জনসনের নতুন চাওয়া
মানবজমিন ডেস্ক
২২ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে নতুন করে বিচ্ছেদ চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে চান। ইইউ এখনো তার চিঠির জবাব দেয়নি। জনসন বার্লিন ও প্যারিসে গিয়ে তদবির করছেন। এ খবর দিয়েছে ডয়েচে ভেলে।
বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে বরিস জনসন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বিচ্ছেদ চুক্তির বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। মূলত আয়ারল্যান্ড সীমান্তে তথাকথিত ‘ব্যাকস্টপ’ ব্যবস্থা নিয়েই তার মূল আপত্তি। এতদিন তিনি সরাসরি ইইউ-র সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে দরকষাকষির পথে না গিয়ে চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিটের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ফলে তিনি আদৌ কোনো বোঝাপড়া চান কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছিল। এবার জনসন সরাসরি তার দাবি জানিয়ে ইইউ-র উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখলেন।
ইইউ দেশগুলোর সরকারপ্রধানদের পরিষদের সভাপতি ডোনাল্ড টুস্ক-কে লেখা চিঠিতে বরিস জনসন ব্রেক্সিট চুক্তির মধ্যে ব্যাকস্টপ নিয়ে তার সমস্যার উল্লেখ করেছেন। জনসন জানিয়েছেন, তার পূর্বসূরি টেরেসা মে এই চুক্তি পুরোপুরি মেনে নিলেও তিনি ব্যাকস্টপ সংক্রান্ত বোঝাপড়া বাতিল করতে চান। এর বিকল্প হিসেবে তিনি পালটা প্রস্তাবও রেখেছেন। বিচ্ছেদ চুক্তির মধ্যে বিষয়টি বাতিল করে ইইউ-র সঙ্গে বৃটেনের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক স্থির করতে নতুন চুক্তির আওতায় আয়ারল্যান্ড সীমান্ত নিয়ে চূড়ান্ত বোঝাপড়ার ডাক দিয়েছেন তিনি।
নিজের এই কড়া অবস্থান তুলে ধরতে বরিস জনসন বুধবার বার্লিনে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তারপর বৃহস্পতিবার প্যারিসে তিনি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর সঙ্গে মিলিত হবেন। আগামী ৩১শে অক্টোবর ব্রেক্সিটের নির্ধারিত সময়সীমার আগে আলোচনার মাধ্যমে নতুন বিচ্ছেদ চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ইইউ নেতাদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চান তিনি। জনসন বলেছেন, চুক্তির মাধ্যমে ইইউ ত্যাগ করতে তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ। তার সরকার সেই লক্ষ্যে যাবতীয় উদ্যোগ নিচ্ছে বলে তিনি দাবি করেছেন। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর এই কূটনৈতিক উদ্যোগ সম্পর্কে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। তবে ইইউ এতকাল সাফ জানিয়ে এসেছে, যে বৃটেনের সঙ্গে বিচ্ছেদ চুক্তির ক্ষেত্রে কোনো রদবদল সম্ভব নয়। তবে সে দেশের সঙ্গে ইইউ-র ভবিষ্যৎ সম্পর্কের রূপরেখা নিয়ে আলোচনার অবকাশ আছে। তার আগে দুই পক্ষকেই বিচ্ছেদ চুক্তি অনুমোদন করতে হবে। ফলে আয়ারল্যান্ড ও বৃটেনের উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রদেশের স্থলসীমান্তে সংকট এড়াতে ও ইইউ-র অভ্যন্তরীণ বাজার অটুট রাখতে ‘ব্যাকস্টপ’ ব্যবস্থা মেনে নেয়া ছাড়া বৃটেনের কোনো উপায় নেই।
বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে বরিস জনসন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বিচ্ছেদ চুক্তির বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। মূলত আয়ারল্যান্ড সীমান্তে তথাকথিত ‘ব্যাকস্টপ’ ব্যবস্থা নিয়েই তার মূল আপত্তি। এতদিন তিনি সরাসরি ইইউ-র সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে দরকষাকষির পথে না গিয়ে চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিটের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ফলে তিনি আদৌ কোনো বোঝাপড়া চান কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছিল। এবার জনসন সরাসরি তার দাবি জানিয়ে ইইউ-র উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখলেন।
ইইউ দেশগুলোর সরকারপ্রধানদের পরিষদের সভাপতি ডোনাল্ড টুস্ক-কে লেখা চিঠিতে বরিস জনসন ব্রেক্সিট চুক্তির মধ্যে ব্যাকস্টপ নিয়ে তার সমস্যার উল্লেখ করেছেন। জনসন জানিয়েছেন, তার পূর্বসূরি টেরেসা মে এই চুক্তি পুরোপুরি মেনে নিলেও তিনি ব্যাকস্টপ সংক্রান্ত বোঝাপড়া বাতিল করতে চান। এর বিকল্প হিসেবে তিনি পালটা প্রস্তাবও রেখেছেন। বিচ্ছেদ চুক্তির মধ্যে বিষয়টি বাতিল করে ইইউ-র সঙ্গে বৃটেনের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক স্থির করতে নতুন চুক্তির আওতায় আয়ারল্যান্ড সীমান্ত নিয়ে চূড়ান্ত বোঝাপড়ার ডাক দিয়েছেন তিনি।
নিজের এই কড়া অবস্থান তুলে ধরতে বরিস জনসন বুধবার বার্লিনে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তারপর বৃহস্পতিবার প্যারিসে তিনি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর সঙ্গে মিলিত হবেন। আগামী ৩১শে অক্টোবর ব্রেক্সিটের নির্ধারিত সময়সীমার আগে আলোচনার মাধ্যমে নতুন বিচ্ছেদ চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ইইউ নেতাদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চান তিনি। জনসন বলেছেন, চুক্তির মাধ্যমে ইইউ ত্যাগ করতে তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ। তার সরকার সেই লক্ষ্যে যাবতীয় উদ্যোগ নিচ্ছে বলে তিনি দাবি করেছেন। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর এই কূটনৈতিক উদ্যোগ সম্পর্কে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। তবে ইইউ এতকাল সাফ জানিয়ে এসেছে, যে বৃটেনের সঙ্গে বিচ্ছেদ চুক্তির ক্ষেত্রে কোনো রদবদল সম্ভব নয়। তবে সে দেশের সঙ্গে ইইউ-র ভবিষ্যৎ সম্পর্কের রূপরেখা নিয়ে আলোচনার অবকাশ আছে। তার আগে দুই পক্ষকেই বিচ্ছেদ চুক্তি অনুমোদন করতে হবে। ফলে আয়ারল্যান্ড ও বৃটেনের উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রদেশের স্থলসীমান্তে সংকট এড়াতে ও ইইউ-র অভ্যন্তরীণ বাজার অটুট রাখতে ‘ব্যাকস্টপ’ ব্যবস্থা মেনে নেয়া ছাড়া বৃটেনের কোনো উপায় নেই।