শেষের পাতা
বিতর্ক দমাতে ফুটেজ চান মেয়র আরিফ
ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
২২ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:২৩ পূর্বাহ্ন
একটি ব্যানার নিয়ে বিতর্কের মুখে সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে তোলপাড় চলছে। বিষয়টি নজরে আসার পর রাতেই তিনি ছুটে যান ঘটনাস্থলে। তিনি নিজেও দেখেন ব্যানার। তিনি তাৎক্ষণিক ব্যানার খুলে এনেছেন। কিন্তু ব্যানার খুলে ফেললেও দমে নেই মেয়র। এ ঘটনায় তিনি নড়েচড়ে বসেছেন। গতকালই তিনি এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছেন। গতকাল পুলিশের কাছে চিঠি দিয়েছেন। চেয়েছেন সিসিটিভির ফুটেজ। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ঢেকে সিলেটে সাঁটানো হয়েছিল সিটি করপোরেশনের ঈদ শুভেচ্ছার একটি ব্যানার। নগরীর সুরমা মার্কেটের উপরে সম্মেলন উপলক্ষে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের একটি বিলবোর্ড শোভা পাচ্ছিল। সিলেট জেলা যুবলীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে এই ব্যানারটি টানিয়েছিলেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম।
বিলবোর্ডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা এবং সিলেট আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের ছবিও ছিল। প্রায় ১৫ দিন ধরে এই ব্যানারটি শোভা পাচ্ছিলো বলে জানিয়েছেন যুবলীগের জাহাঙ্গীর বলয়ের নেতারা। তারা দাবি করেন- এই বিলবোর্ডের উপর মঙ্গলবার ঈদের শুভেচ্ছা ও যথাস্থানে কোরবানির আহ্বান জানিয়ে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে একটি ব্যানার লাগানো হয়। এতে ঢাকা পড়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি। বিষয়টি জানাজানি হলে সিলেটজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনার জন্য চরম বিতর্কিত হয়ে পড়েন সিলেটের বিএনপিদলীয় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা সমালোচনায় জর্জরিত হন তিনি। কেউ কেউ তাকে দোষারোপ করেও মন্তব্য করেন। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে নজরে আসে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তিনি ছুটে যান নগরীর সুরমা মার্কেটে। এই মার্কেটের উপর স্থাপিত ছিল বিলবোর্ডটি। মেয়র নিজেও খবর দেন কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিয়া ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের। এ সময় মেয়র পুলিশের সামনে সিটি করপোরেশনের কর্মীদের দিয়ে ব্যানারটি খুলে নেন। যুবলীগের সম্মেলন উপলক্ষে বিলবোর্ডটি সবার নজর কাড়ে। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ওই বিলবোর্ডের উপরে কোরবানির গরু-ছাগলের ছবি সংবলিত একটি বিলবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছিল। এদিকে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় ফেসবুক স্ট্যাটাসে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য নাজমুল ইসলাম লিখেছেন- ‘কতো বড় দুঃসাহস, যে ফেস্টুনে জাতির জনকের ছবি, যে ছবিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছবি, সিলেটের আওয়ামী লীগের অভিভাবক এবং মন্ত্রী মহোদয়দের ছবি, সিলেট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জাহাঙ্গীর ভাইয়ের সাঁটানো সেই ফেস্টুন ঢেকে দিয়ে গরুর ছবি দিয়ে ফেস্টুন টাঙ্গিয়েছেন সিলেটের মেয়র। আমি আরিফ সাহেবকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই- নোংরামি অন্য জায়গায় করেন, জাতিরজনক এবং আমাদের নেত্রীকে অবমাননা করার দুঃসাহস দেখালে কিন্তু সিলেটের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বসে থাকবে না।’
তবে এই ব্যানার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয় সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, সিটি করপোরেশন থেকে যে ৫টি ব্যানার সাঁটানো হয় সেগুলোর মধ্যে এই ব্যানারটি নয়। অন্য ৫ স্থানে এই ব্যানার সাঁটানো হয়েছে। এখনে ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা থাকতে পারে। এ ছাড়া ঈদের ব্যানার যেহেতু সেহেতু এখন চোখে পড়ার কথা নয়। অনেক আগেই এই ব্যানার চোখে পড়ার কথা। সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহাব উদ্দিন শিহাব গতকাল বিকালে মানবজমিনকে জানিয়েছেন, যে ব্যানারটি সাঁটানো হয়েছে সেটি সিলেট সিটি করপোরেশনের নয়। এ কারণে বিষয়টিকে আমলে নিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বুধবার তিনি সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরীকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করেছেন। এ কমিটিতে প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান সহ আরো একজনকে রেখেছেন। শিহাব জানান, যে স্থানে ব্যানার সাঁটানো আছে সেখানে ও তার আশপাশ এলাকায় পুলিশের সিসিটিভি রয়েছে। এ কারণে গতকালই মেয়র সিসিটিভির ফুটেজ চেয়ে সিলেটের কোতোয়ালি থানার ওসির কাছে পত্র পাঠিয়েছেন। সিসিটিভির ফুটেজ হাতে এলে আলোচিত এ ঘটনার মূল রহস্য অনেকটা খোলাসা হয়ে যাবে বলে জানান শিহাব।
বিলবোর্ডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা এবং সিলেট আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের ছবিও ছিল। প্রায় ১৫ দিন ধরে এই ব্যানারটি শোভা পাচ্ছিলো বলে জানিয়েছেন যুবলীগের জাহাঙ্গীর বলয়ের নেতারা। তারা দাবি করেন- এই বিলবোর্ডের উপর মঙ্গলবার ঈদের শুভেচ্ছা ও যথাস্থানে কোরবানির আহ্বান জানিয়ে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে একটি ব্যানার লাগানো হয়। এতে ঢাকা পড়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি। বিষয়টি জানাজানি হলে সিলেটজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনার জন্য চরম বিতর্কিত হয়ে পড়েন সিলেটের বিএনপিদলীয় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা সমালোচনায় জর্জরিত হন তিনি। কেউ কেউ তাকে দোষারোপ করেও মন্তব্য করেন। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে নজরে আসে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তিনি ছুটে যান নগরীর সুরমা মার্কেটে। এই মার্কেটের উপর স্থাপিত ছিল বিলবোর্ডটি। মেয়র নিজেও খবর দেন কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিয়া ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের। এ সময় মেয়র পুলিশের সামনে সিটি করপোরেশনের কর্মীদের দিয়ে ব্যানারটি খুলে নেন। যুবলীগের সম্মেলন উপলক্ষে বিলবোর্ডটি সবার নজর কাড়ে। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ওই বিলবোর্ডের উপরে কোরবানির গরু-ছাগলের ছবি সংবলিত একটি বিলবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছিল। এদিকে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় ফেসবুক স্ট্যাটাসে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য নাজমুল ইসলাম লিখেছেন- ‘কতো বড় দুঃসাহস, যে ফেস্টুনে জাতির জনকের ছবি, যে ছবিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছবি, সিলেটের আওয়ামী লীগের অভিভাবক এবং মন্ত্রী মহোদয়দের ছবি, সিলেট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জাহাঙ্গীর ভাইয়ের সাঁটানো সেই ফেস্টুন ঢেকে দিয়ে গরুর ছবি দিয়ে ফেস্টুন টাঙ্গিয়েছেন সিলেটের মেয়র। আমি আরিফ সাহেবকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই- নোংরামি অন্য জায়গায় করেন, জাতিরজনক এবং আমাদের নেত্রীকে অবমাননা করার দুঃসাহস দেখালে কিন্তু সিলেটের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বসে থাকবে না।’
তবে এই ব্যানার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয় সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, সিটি করপোরেশন থেকে যে ৫টি ব্যানার সাঁটানো হয় সেগুলোর মধ্যে এই ব্যানারটি নয়। অন্য ৫ স্থানে এই ব্যানার সাঁটানো হয়েছে। এখনে ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা থাকতে পারে। এ ছাড়া ঈদের ব্যানার যেহেতু সেহেতু এখন চোখে পড়ার কথা নয়। অনেক আগেই এই ব্যানার চোখে পড়ার কথা। সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহাব উদ্দিন শিহাব গতকাল বিকালে মানবজমিনকে জানিয়েছেন, যে ব্যানারটি সাঁটানো হয়েছে সেটি সিলেট সিটি করপোরেশনের নয়। এ কারণে বিষয়টিকে আমলে নিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বুধবার তিনি সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরীকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করেছেন। এ কমিটিতে প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান সহ আরো একজনকে রেখেছেন। শিহাব জানান, যে স্থানে ব্যানার সাঁটানো আছে সেখানে ও তার আশপাশ এলাকায় পুলিশের সিসিটিভি রয়েছে। এ কারণে গতকালই মেয়র সিসিটিভির ফুটেজ চেয়ে সিলেটের কোতোয়ালি থানার ওসির কাছে পত্র পাঠিয়েছেন। সিসিটিভির ফুটেজ হাতে এলে আলোচিত এ ঘটনার মূল রহস্য অনেকটা খোলাসা হয়ে যাবে বলে জানান শিহাব।