বাংলারজমিন
গুইড়া খাল সড়কটি যেন জমির আইল
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
২১ আগস্ট ২০১৯, বুধবার, ৮:১৭ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের গুইড়া খাল সড়কটি পাখিমারা হাওরের ঢেউয়ের তাণ্ডবে নিশ্চিহ্ন প্রায়। সড়কের দু’পাশ ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে। সড়কের একটি স্থানের মাটি পুরো সরে গিয়ে এপাড়-ওপাড় খালে পরিণত হয়েছে। ভাঙা অংশে বাঁশের সাঁকো দিয়ে কোনোমতে যাতায়াত করছেন স্থানীয়রা। দূর থেকে সড়কটি দেখলে মনে হয় জমির আইল। এক হাত পরিমাণ প্রস্থ বিশিষ্ট এই আইলই চলাচলের একমাত্র ভরসা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের ২০ হাজার মানুষের। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটিতে মাটি ফেলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও হাটবাজারের সঙ্গে ইউনিয়নবাসীর যোগাযোগ উন্নত করার দাবি উঠে আসলেও সংশ্লিষ্টদের কাছে বিষয়টি উপেক্ষিত থাকছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এ নিয়ে ক্ষোভের শেষ নেই স্থানীয় বাসিন্দাদের।
জানা যায়, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পাগলা-বীরগাঁও সড়কটি লাউয়া নদীর ব্রিজ পর্যন্ত পাকা রাস্তা। এখান থেকে যানবাহনযোগে অন্যত্র যাতায়াত করেন স্থানীয়রা। তবে লাউয়া নদীর ব্রিজ থেকে গুইড়া খাল সেতু পর্যন্ত প্রায় এক দেড় কিলোমিটার সড়ক কাঁচা অবস্থায় রয়েছে। বর্ষায় একটু পানি বাড়লেই তলিয়ে যায় সড়কের একাংশ। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পূর্বহাটি থেকে গুইড়া খাল পর্যন্ত। হাওরের দু’পাশের ঢেউয়ের তাণ্ডবে সড়কটি নিশ্চিহ্ন প্রায়। এলজিইডির অর্থায়নে গত বছর প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে গুইড়া খালের উপর একটি সেতু নির্মাণ হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি প্রায় অব্যবহৃতই রয়েছে। এই গুইড়া খাল সড়ক দিয়েই বীরগাঁও বাজার, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ, বীরগাঁও ইমদাদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়, বীরগাঁও ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসাসহ জেলা শহর ও বিভাগীয় শহরের যাতায়াত করে থাকেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি পেশার হাজার হাজার মানুষ। বীরগাঁও ইমদাদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুবাস দাশ বলেন, এক দেড় হাত রাস্তা দিয়ে কোনোভাবে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করি। বৃষ্টিবাদলের দিনে খুব সমস্যা হয় আমাদের। ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন কয়েকশ ছাত্রছাত্রী যাওয়া আসা করেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মহিবুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কারের দাবি করে আসছেন এলাকাবাসী। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। আগামী মৌসুমে এই সড়কে কাজ না হলে সড়কে এক মুঠো মাটিও থাকবে না। তখন স্থানীয়দের যাতায়াতে নৌকা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। তাই আগামী শুষ্ক মৌসুমে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নূর কালাম বলেন, আমরা সড়কটি সংস্কারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দাবি জানিয়ে আসছি। গুইড়া খাল থেকে বীরগাঁও বাজার পর্যন্ত সড়কের পাকাকরণের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নূর হোসেন বলেন, লাউয়া নদী থেকে গুইড়া খাল পর্যন্ত সড়কে মাটি ফেলা ও পাকাকরণের জন্যে একটি প্রকল্প এলজিইডিতে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই প্রকল্পের অনুমোদন হয়ে আসবে।
জানা যায়, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পাগলা-বীরগাঁও সড়কটি লাউয়া নদীর ব্রিজ পর্যন্ত পাকা রাস্তা। এখান থেকে যানবাহনযোগে অন্যত্র যাতায়াত করেন স্থানীয়রা। তবে লাউয়া নদীর ব্রিজ থেকে গুইড়া খাল সেতু পর্যন্ত প্রায় এক দেড় কিলোমিটার সড়ক কাঁচা অবস্থায় রয়েছে। বর্ষায় একটু পানি বাড়লেই তলিয়ে যায় সড়কের একাংশ। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পূর্বহাটি থেকে গুইড়া খাল পর্যন্ত। হাওরের দু’পাশের ঢেউয়ের তাণ্ডবে সড়কটি নিশ্চিহ্ন প্রায়। এলজিইডির অর্থায়নে গত বছর প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে গুইড়া খালের উপর একটি সেতু নির্মাণ হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি প্রায় অব্যবহৃতই রয়েছে। এই গুইড়া খাল সড়ক দিয়েই বীরগাঁও বাজার, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ, বীরগাঁও ইমদাদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়, বীরগাঁও ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসাসহ জেলা শহর ও বিভাগীয় শহরের যাতায়াত করে থাকেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি পেশার হাজার হাজার মানুষ। বীরগাঁও ইমদাদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুবাস দাশ বলেন, এক দেড় হাত রাস্তা দিয়ে কোনোভাবে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করি। বৃষ্টিবাদলের দিনে খুব সমস্যা হয় আমাদের। ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন কয়েকশ ছাত্রছাত্রী যাওয়া আসা করেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মহিবুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কারের দাবি করে আসছেন এলাকাবাসী। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। আগামী মৌসুমে এই সড়কে কাজ না হলে সড়কে এক মুঠো মাটিও থাকবে না। তখন স্থানীয়দের যাতায়াতে নৌকা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। তাই আগামী শুষ্ক মৌসুমে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নূর কালাম বলেন, আমরা সড়কটি সংস্কারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দাবি জানিয়ে আসছি। গুইড়া খাল থেকে বীরগাঁও বাজার পর্যন্ত সড়কের পাকাকরণের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নূর হোসেন বলেন, লাউয়া নদী থেকে গুইড়া খাল পর্যন্ত সড়কে মাটি ফেলা ও পাকাকরণের জন্যে একটি প্রকল্প এলজিইডিতে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই প্রকল্পের অনুমোদন হয়ে আসবে।