বিশ্বজমিন
তিন তালাক: গৃহবধুকে পুড়িয়ে হত্যা
মানবজমিন ডেস্ক
১৯ আগস্ট ২০১৯, সোমবার, ৪:১০ পূর্বাহ্ন
তিন তালাক দেয়ার বিরুদ্ধে পুলিশে রিপোর্ট করার কারণে ভারতের উত্তর প্রদেশে ২২ বছর বয়সী গৃহবধু সাঈদাকে তার ৫ বছর বয়সী মেয়ের সামনে গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তার স্বামী নাফিজ (২৬) ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এতে জীবন্ত সাঈদা পুড়ে মারা গেছেন। এ খবর দিয়েছে ভারতের অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
শুক্রবার দিনশেষে সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে উত্তর প্রদেশের শ্রাবস্তি জেলার গাদরা গ্রামে। নিহত সাঈদার পিতা রমজান খান অভিযোগ করেছেন, তার জামাই নাফিজ কাজ করে মুম্বইতে। গত ৬ই আগস্ট সে টেলিফোনে সাঈদাকে তিন তালাক দেয়। এ নিয়ে অভিযোগ করতে থানায় যান সাঈদা। কিন্তু পুলিশ কেস নিতে অস্বীকৃতি জানায়। তারা তাকে বলে, তার স্বামী মুম্বই থেকে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে। ১৫ই আগস্ট নাফিস বাড়ি ফিরে যায়। এদিনই পুলিশ নাফিজ-সাঈদা দম্পতিকে থানায় তলব করে। তাদের সঙ্গে কথা বলে। তারা সাঈদাকে নাফিজের সঙ্গেই থাকতে বলে দেয়।
ওদিকে সাঈদার মেয়ে ফাতিমা পুলিশের কাছে বলেছে, শুক্রবার দুপুরে নামাজ আদায় করে বাড়ি ফেরে আমার পিতা। তিনি মাকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন। কারণ, তাকে তিন তালাক দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে বেরিয়ে আসেন আমার দাদা আজিজুল্লাহ, দাদী হাসিনা, ফুপু গুড়িয়া, নাদিরা। এ সময় মার চুল টেনে ধরে রাখে আমার পিতা। তাকে নির্দয় নির্যাতন করে। অন্যদিকে আমার ফুপু নাদিরা ও গুড়িয়া আমার মায়ের শরীরে কেরোসিন ঢেলে দেয়। আর দাদা আজিজুল্লাহ ও দাদী হাসিনা আগুন ধরিয়ে দেয়।
ফাতিমাকে থানায় নিয়ে গিয়েছিলেন সাঈদার ভাই রফিক। সেখানেই পুরো ঘটনা বর্ণনা করেছে ফাতিমা। এরপরই ঘটনাস্থলে একদল পুলিশ পাঠানো হয়। সাঈদার মৃতদেহ পাঠানো হয় ময়না তদন্তের জন্য। শনিবার পুলিশ একটি মামলা নথিভুক্ত করেছে। রফিক বলেছেন, এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয় নি। প্রয়োজন হলে আমি অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাবো।
শ্রাবস্তির এসপি আশীষ শ্রীবাস্তব বলেছেন, নাফিজ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে হয়রানি, হত্যার অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। তিন তালাক বিষয়ে নিহতের পিতা যে অভিযোগ করেছেন, তা তদন্ত করে দেখা হবে। ৬ই আগস্ট নির্যাতিতা পুলিশ স্টেশনে যাওয়ার পর কেন মামলা নেয়া হয় নি তাও দেখা হবে।
শুক্রবার দিনশেষে সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে উত্তর প্রদেশের শ্রাবস্তি জেলার গাদরা গ্রামে। নিহত সাঈদার পিতা রমজান খান অভিযোগ করেছেন, তার জামাই নাফিজ কাজ করে মুম্বইতে। গত ৬ই আগস্ট সে টেলিফোনে সাঈদাকে তিন তালাক দেয়। এ নিয়ে অভিযোগ করতে থানায় যান সাঈদা। কিন্তু পুলিশ কেস নিতে অস্বীকৃতি জানায়। তারা তাকে বলে, তার স্বামী মুম্বই থেকে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে। ১৫ই আগস্ট নাফিস বাড়ি ফিরে যায়। এদিনই পুলিশ নাফিজ-সাঈদা দম্পতিকে থানায় তলব করে। তাদের সঙ্গে কথা বলে। তারা সাঈদাকে নাফিজের সঙ্গেই থাকতে বলে দেয়।
ওদিকে সাঈদার মেয়ে ফাতিমা পুলিশের কাছে বলেছে, শুক্রবার দুপুরে নামাজ আদায় করে বাড়ি ফেরে আমার পিতা। তিনি মাকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন। কারণ, তাকে তিন তালাক দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে বেরিয়ে আসেন আমার দাদা আজিজুল্লাহ, দাদী হাসিনা, ফুপু গুড়িয়া, নাদিরা। এ সময় মার চুল টেনে ধরে রাখে আমার পিতা। তাকে নির্দয় নির্যাতন করে। অন্যদিকে আমার ফুপু নাদিরা ও গুড়িয়া আমার মায়ের শরীরে কেরোসিন ঢেলে দেয়। আর দাদা আজিজুল্লাহ ও দাদী হাসিনা আগুন ধরিয়ে দেয়।
ফাতিমাকে থানায় নিয়ে গিয়েছিলেন সাঈদার ভাই রফিক। সেখানেই পুরো ঘটনা বর্ণনা করেছে ফাতিমা। এরপরই ঘটনাস্থলে একদল পুলিশ পাঠানো হয়। সাঈদার মৃতদেহ পাঠানো হয় ময়না তদন্তের জন্য। শনিবার পুলিশ একটি মামলা নথিভুক্ত করেছে। রফিক বলেছেন, এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয় নি। প্রয়োজন হলে আমি অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাবো।
শ্রাবস্তির এসপি আশীষ শ্রীবাস্তব বলেছেন, নাফিজ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে হয়রানি, হত্যার অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। তিন তালাক বিষয়ে নিহতের পিতা যে অভিযোগ করেছেন, তা তদন্ত করে দেখা হবে। ৬ই আগস্ট নির্যাতিতা পুলিশ স্টেশনে যাওয়ার পর কেন মামলা নেয়া হয় নি তাও দেখা হবে।