বাংলারজমিন
নোয়াখালীতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ধর্ষণ মামলার বাদী
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
১৯ আগস্ট ২০১৯, সোমবার, ৭:৪২ পূর্বাহ্ন
নোয়াখালীতে কলেজছাত্রী ধর্ষণ মামলার বাদী সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার বসুরহাট পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের নূর নবীর বাড়িতে গত ২৬শে মে দুপুর ২টায়। এলাকাবাসী জানায়, জেলার শহরতলীর বামনী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় ২ মাস ২৪ দিন অতিবাহিত হলেও ধর্ষক আশ্রাফুল ইসলাম পুলিশের নাকের ডগার উপর ঘুরে বেড়ালেও রহস্যজনক কারণে গ্রেপ্তার হচ্ছে না। তদন্তকারী এস আই তাজুল ইসলাম মানবজমিনকে জানায়, কবিরহাট উপজেলার জৈনতপুর গ্রামের সাদেক মেম্বারের বাড়ির আলমগীর হোসেন ও হাসিনা আক্তারের পুত্র আশ্রাফুল ইসলাম সরকারি মুজিব কলেজে পড়ালেখার সুবাধে বামনী কলেজ দূরে হওয়ায় চর কাঁকড়ার ৪ নং ওয়ার্ডের আইয়ুব খান ও সাজেদা বেগমের কনিষ্ঠ কন্যা একই ক্লাসে ক্লাস করতো। ক্লাসমেট পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে নানা ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সখ্য গড়ে তুলে ২ জনই মোবাইলফোনে কথা ও একাদশ শ্রেণিতে দেখা-সাক্ষাতে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিগত ২ মাস আগে আসামি আশ্রাফুল ইসলাম (২০) মোবাইলে তার পারিবারিক অনুষ্ঠানের কথা বলে দাওয়াত দিলে সরল বিশ্বাসে তার ভাড়া করা বাসায় গেলে দেখতে পায় কেউ নেই। কলেজছাত্রী লোকজন ও অনুষ্ঠানের কথা জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিবাদী জানায়, তার আত্মীয় অসুস্থ হয়ে পড়ায় সবাই সেখানে চলে গেছে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। উক্ত বিবাদী রমজানের ঈদের পরদিন ৬ই জুন তার বন্ধু ইমনকে এক রুমে বসিয়ে রেখে অসহায় কলেজছাত্রীকে অন্য রুমে নিয়ে দুপুর দেড়টায় ফের ধর্ষণ করে। গত ৭ই জুন ধর্ষিতা তার বড় বোন মাহিনুরের ঢাকার বাসায় যায়। কলেজছাত্রীর বিষয়টি খালামণি মেরী আক্তারকে জানায়। পরে বেবী টেস্ট টিউবের মাধ্যমে পরীক্ষা করলে দেখা যায় ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা। সে ধর্ষককে মোবাইলে বিষয়টি জানালে বাচ্চা নষ্ট করে ফেলার জন্য বলে। সে রাজি না হয়ে আসামিদের পরিবারকে জানালে উল্টা বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি দিলে ধর্ষিতা স্থানীয় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। গর্ভবতী এ কলেজছাত্রী বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরলে ধর্ষকের ভাই আরিফুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের ভাড়াটিয়া ক্যাডারদের দিয়ে গুম ও খুনের দফায় দফায় হুমকির মুখে ধর্ষিতা বসতভিটা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ভিকটিমের মা আসামি ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২ মাস ২৪ দিনেও ধর্ষক গ্রেপ্তার না হওয়ায় জনমনে ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।